

হরিয়ালী অমাবস্যা উপলক্ষে মহিলা মেলা ছবি – উত্তরাপথ
উত্তরাপথ: সম্প্রতি হ্রদের শহর (City of Lake) উদয়পুরে হয়ে গেল ১২৫ বছরের পুরাতন হরিয়ালী অমাবস্যা মেলা । প্রতি বছর এই সময় উদয়পুরে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয় ,সেই কারণে পাহাড় ঘেরা শহর উদয়পুরে সর্বত্র থাকে সবুজের সমারোহ। এই শহর সবুজকে স্বাগত জানানোর জন্য হরিয়ালী অমাবস্যা মেলার আয়োজন করে। প্রতিবছর এই মেলার আকর্ষণে বহু পর্যটক এখানে আসেন। দুই দিন ধরে চলতে থাকা এই মেলার বিশেষত্ব হল মহিলা মেলা, অর্থাৎ একটি দিন শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য বরাদ্ধ । দুই দিন ধরে চলতে থাকা মেলার প্রথম দিন পুরুষ – মহিলা সকলের অবাধ প্রবেশ। কিন্তু মেলার দ্বিতীয় দিন শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য । সেইদিন কোনও পুরুষ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে না । মেলায় যাতে কোনও পুরুষ প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য প্রশাসণের পক্ষ থেকে পুলিশ নিয়োগ করা হয়।
এই বিশাল মেলাটি শহরের প্রধান সহেলী কি বাড়ি মার্গে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসে ।মেলাটি শহরের ইউআইটি পুলিয়া থেকে ফতেহাপুরা চৌরাস্তা পর্যন্ত হয়, যা সুখদিয়া সার্কেল পর্যন্ত বিস্তৃত।হরিয়ালী অমাবস্যা উপলক্ষে একদিন উদয়পুরের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকে । এখানকার কালেক্টর এই দিনে সরকারী অফিসে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেন।এই মেলায় শতাধিক দোকান, দোলনা ও অন্যান্য জিনিস বিক্রি হয় ,কিন্তু মেলার বেশীর ভাগ লেনদেন হয় ডিজিটাল মাধ্যমে।
এই মেলার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যার সাথে উদয়পুরের লোকেদের এক আবেগ জড়িয়ে আছে। উদয়পুরের লোকেরা বিশ্বাস করে যে ১৮৯৮ সালে, হরিয়ালি অমাবস্যার দিনে, মহারানা ফতেহ সিং মহারানী চাউদির সাথে ফতেহসাগর হ্রদে পৌঁছেছিলেন। এখানে পৌঁছে জলে উপচে পড়া ফতেহ সাগর দেখে তারা খুব খুশি হলেন।এরপর তারা এখানে প্রথমবারের মতো শহরে মেলার আয়োজন করেন।সেইসময় চাউদি রানী মহারানাকে বলেছিলেন মেলায় শুধুমাত্র মহিলাদের যেতে দিতে।
এরপর মহারানা মেলার দ্বিতীয় দিন শুধু মহিলাদের জন্য বরাদ্দ রাখার ঘোষণা করেছিলেন।তারপর থেকে মেলার প্রথম দিনে সবাই যায়।পরের দিন, এই মেলা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য অনুষ্ঠিত হয়।এ কারণেই উদয়পুরের রক্ষণশীল রাজপুত সমাজের মহিলারা এই মালায় এসে খুব আনন্দ পায় । এই মেলার আকর্ষণে দূর দুরান্ত থেকে মহিলারা ছুটে আসে। দ্বিতীয় দিনের মহিলা মেলার বিশেষত্ব হল সেদিন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় মহিলা ।যদি কোনও পুরুষ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ভুল করে মহিলা মেলায় প্রবেশ করেন তার জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে মেলায়।
আরও পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন