কেন্দ্রীয় সরকার, ১৫,০০০ SHG-কে ড্রোন সরবরাহ করবে

X-handel

উত্তরাপথঃ সামনেই লোকসভা ভোট, তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দুই বছরের জন্য ১৫,০০০ মহিলা স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীকে (SHG) ড্রোন সরবরাহ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনুমোদন করেছে।  এই প্রকল্পে ১,২৬১ কোটি টাকা খরচ হবে।  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বুধবার (২৯ নভেম্বর ২০২৩) বলেছেন যে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘স্কিমের উদ্দেশ্য হল ২০২৪-২০২৫ এবং ২০২৫-২০২৬ সালের মধ্যে কৃষি কাজের জন্য কৃষকদের ভাড়া পরিষেবা দেওয়ার জন্য ১৫,০০০ নির্বাচিত মহিলা SHG-কে ড্রোন সরবরাহ করা।’প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “মহিলাদের জন্য বিশেষ করে একেবারে নীচু তলার জন্য, তাঁদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।” এই প্রকল্পের অধীনে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির (এসএইচজি) মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠাবেন বলে, এমনটাই জানান হয়েছে।

প্রেস রিলিজে দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই প্রকল্পটির অধীনে অনুমোদিত প্রথম ১৫,০০০ SHG-কে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা এবং জীবিকা সহায়তা প্রদান করা হবে।  এর মাধ্যমে তারা বছরে কমপক্ষে ১,০০,০০০ টাকা অতিরিক্ত আয় করতে সক্ষম হবে।এই ড্রোনগুলি চাষের কাজে সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হবে।

প্রসংঙ্গত পধানমন্ত্রী মোদি, ১৫ অগাস্ট তার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, লাল কেল্লা থেকে ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করার ঘোষণা করেছিলেন।  লাল কেল্লা থেকে ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সরকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং এর লক্ষ্য গ্রামে ২ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করা।

দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার মাধ্যমে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে এই টাকা স্থানান্তর করা হচ্ছে। এই জীবিকা মিশনের অধীনে ৮০ হাজার SHGs এই টাকা পাবে। প্রতি SHG-এর জন্য ১.১০ লক্ষ টাকার কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড রাখা হচ্ছে।

এরপরে, প্রধানমন্ত্রী ২০ হাজার Business Correspondent-Sakhis-দের অ্যাকাউন্টে ৪ হাজার টাকা প্রথম মাসে স্থানান্তর করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কন্যা সুমঙ্গলা প্রকল্পের অধীনে প্রায় এক লক্ষ উপকারভোগীর কাছে ২০ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ হস্তান্তর করা হবে। এই প্রকল্পে কন্যাসন্তানকে  জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে সেই টাকা দেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়

উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে।  সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top