আনন্দ ধাম

অসীম পাঠকঃ কাল্পনিক সংলাপ হয়তো বা বেদনাবিধুর ভালোবাসার অমলিন ছবি

[প্রস্তাবনা — হিমাচল প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ের কোলে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমাহারে এক সুসজ্জিত আশ্রম ….. সেখানে আনন্দ মহারাজ ধর্ম আলোচনা করেন প্রতিদিন সহস্র শিষ্য শিষ্যা সমভিব্যাহারে … দিল্লি থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের ফেমাস ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগরওয়াল ….. হঠাৎই আশ্রমের কথা শুনে তার ইচ্ছা হয় বিশাল কম্পাউন্ডের ভেতরে আসতে …. সিকিউরিটি কে নিজের পরিচয় দিয়ে সোজা আনন্দ মহারাজের ড্রইংরুমে ঢোকে ঊর্মি, সাদা চাদরে কাঁচা পাকা দাড়িতে সোফার উপরে ধ্যান মৌন আনন্দ মহারাজ …. ধূপ ধূনার গন্ধে শঙ্খধ্বনি তে আবিষ্ট গোটা ঘর …. একটু আগেই সন্ধ্যা আরতি হয়ে গেছে ……]

আনন্দ – দীপো জ্যোতি পরং ব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ। দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।

ঊর্মি – গুড ইভিনিং মহারাজ আমার প্রনাম নেবেন।

আনন্দ – কর্পূরগৌরং করুণাবতারং, সংসারসারম্ ভুজগেন্দ্রহারম্ সদাবসন্তং হৃদয়ারবিন্দে, ভবং ভবানীসহিতং নমামি।

ঊর্মি – ক্ষান্ত হও, ধীরে কও কথা। ওরে মন, নত করো শির। দিবা হল সমাপন, সন্ধ্যা আসে শান্তিময়ী। তিমিরের তীরে অসংখ্য-প্রদীপ-জ্বালা এ বিশ্বমন্দিরে এল আরতির বেলা।

আনন্দ – (অপলক তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ) বসুন

ঊর্মি- হ্যাঁ বসতে তো হবেই। এতো বড়ো বিস্ময় আমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছিলো একটু আগেও তা বুঝিনি। কি বুঝলে তোমার গলার স্বর শুনে আমি বুঝতে পারবো না , জীবনের মূল্যবান পাঁচটা বছর ….. থাক এসব কথা। তারপর ভালো আছো তো আলোক। বাঃ প্রেসিডেন্সির ব্রাইট স্টুডেন্ট আলোক মুখার্জি আজ আনন্দ বাবাজী।
কিন্তু কেনো …. কেনো এরকম করলে আলোক?

আনন্দ – চুপ করো দেবী, এখানে আমার আগের আর কোন পরিচয় নেই , আমার শিক্ষা পরিবার পরিজন কিছুই নেই … আমি শুধু পরম প্রেমময় ঈশ্বরের সেবক।

ঊর্মি – আমি চিৎকার করে বলবো তুমি একটা ভন্ড , তুমি প্রতারক। তুমি আমাকে ভালোবেসে আমার মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছো। লজ্জা করে না কাপুরুষ।

আনন্দ – আজ সব জাগতিক অনুভূতির বাইরে। তুমি শান্ত হও।

ঊর্মি – কি করে শান্ত হবো বলতে পারেন আনন্দ বাবাজী। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মতো পনেরো বছর ধরে বোবা যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আর আজ দেখি আমার সেই যন্ত্রনা ময় অতীত আমার সামনে।

আনন্দ- জানি আমি অপরাধী। জানি ভালোবেসে পালিয়ে গেছি। আসলে আমার তো আর কিছুই করার ছিলো না ঊর্মি। আমি ভীষণ অসহায় হয়ে চারদিকে ঠোক্কর খেয়ে আর পারিনি।

ঊর্মি – একবারও ভাবলে না আমার কথা, ভাবলে না সেই ঝোড়ো রাতের কথা।

আনন্দ- চুপ করো ঊর্মি চুপ করো। আমি আর পারছি না। প্রতি মুহূর্তে ওই অসহ্য যন্ত্রনা টা আমাকে কুরে কুরে খায়। আমি উন্মাদের মত সব ভুলতে চাই।

ঊর্মি – হায় রে পুরুষ সত্যিই স্যালুট। পুরুষ হৃদয়হীন, মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।

আনন্দ- এখনো তোমার গলায় সুন্দর কবিতা আসে।

ঊর্মি – আর হ্যাঁ আপনার গলায় বেদমন্ত্রের মাধুর্য্য।

আনন্দ- কেমন আছে সবাই ?

ঊর্মি – কেমন রেখেছো তুমি ? আজ আমার সবকিছু , বাড়ি গাড়ি সন্তান স্বামী ক্যারিয়ার … কিন্তু একটা কাঁটা সবসময় যেনো বিঁধে চলে ….

আনন্দ – হ্যাঁ সব জানি। দেখি তো ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগর ওয়াল অনেক টপ পজিসনে। আমার এই ছোট্ট আশ্রমের সীমানা ওতোদূর পৌঁছায় না। তবে আকাশ তো বড়ো …..
আমাদের গলায় কই সেই উদ্দাম উল্লাস,ঘাসের ঘাগরায় দুরন্ত সমুদ্র -দোলা?
কেমন করে থাকবে?
আমাদের জীবনে নেই জ্বলন্ত মৃত্যু,
সমুদ্র নীল মৃত্যু পলিনেসিয়ার!
আফ্রিকার সিংহ- হিংস্র মৃত্যু!
আছে শুধু স্তিমিত হয়ে নিভে যাওয়া,
– ফ্যাকাশে রুগ্ন তাই সভ্যতা!

ঊর্মি – সভ্যতাকে সুস্থ করো, করো সার্থক।
আনো তীব্র, তপ্ত, ঝাঁঝালো, মৃত্যুর স্বাদ,
সূর্য আর সমুদ্রের ঔরসে যাদের জন্ম,
মৃত্যু- মাতাল তাদের রক্তের বিনিময়।
ভরাট -করা সমুদ্র আর উচ্ছেদ করা অরণ্যের জগতে
কি লাভ গ’ড়ে কৃমি -কীটের সভ্যতা,
লালন ক’রে স্তিমিত দীর্ঘ পরমায়ু কচ্ছপের মত?
অ্যামিবারও ত’ মৃত্যু নেই।
মৃত্যু জীবনের শেষ সার আবিষ্কার আর শিব নীলকন্ঠ!

আনন্দ – আমি পারিনি তোমার জীবনের আলো হতে, হয়েছি অভিশাপ। ভেবেছিলাম দূরে বহুদূরে চলে যাই, এসেও শেষ রক্ষা হলো না। এখানেও মূর্তিমান বাস্তব বিভীষিকার মতো যেন প্রেত নৃত্য করে।

উর্মি – সত্যের সামনে দাঁড়াতে এতো ভয় কেনো আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু আনন্দ মহারাজের ?

আনন্দ – সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। সে কখনো করে না বঞ্চনা।

ঊর্মি – ঠিক কি হয়েছিলো বলোতো? সেই গেষ্ট হাউস ঝড় জলের রাত, আর তার পরদিন তুমি বর্ধমানে তোমার দেশের বাড়ি বেরিয়ে গেলে …. ভাবলে না একবারো একটা মেয়ের জীবনের চরম সর্বনাশ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে।

আনন্দ – পারছি না, আর পারছি না ঊর্মি।

ঊর্মি – বলতে তোমাকে হবেই। ভাগ্যিস অরুন সব জেনেও আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো, নাহলে কি পিতৃ পরিচয় হ‍তো তোমার ছেলের ?

আনন্দ – আমার ছেলে ?

ঊর্মি – আকাশ থেকে পড়লে আলোক ? এতো নির্লজ্জ স্বার্থপর তুমি ….

আনন্দ – বলো বলো যা মন চায় বলো। তবে আমার ছেলে এখন কতো বড়ো হয়েছে ? কেমন দেখতে হয়েছে ?

ঊর্মি – তোমার ছেলে তোমার মতোই। তবে অরুন তার কোন অভাব রাখে নি। সে একজন আদর্শ স্বামী , আদর্শ বাবা।

আনন্দ- অরুনকে আমার বুকভরা ভালোবাসা।

ঊর্মি – আর ঊর্মিকে ?

আনন্দ – আমি সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। জাগতিক মোহ আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেক দূরে। হ্যাঁ তোমার সন্তানের জন্য অনেক শুভকামনা। একবার আমাকে দেখাবে ?

ঊর্মি – না, ওটাই তোমার বাকি জীবনের শাস্তি, হ্যাঁ প্রতারনার শাস্তি। একটা মেয়ের সরল বিশ্বাস নিয়ে খেলার শাস্তি।

আনন্দ- যা শাস্তি দেবে সব অবনত মস্তকে স্বীকার। অপরাধ আর অপরাধ …. একটার পর একটা অপরাধ আর পালিয়ে বেড়ানো …. আদৌ কি পেরেছি সব ভুলতে ? পারিনি , আমি পারিনি ঊর্মি ।

ঊর্মি – আমি সবটা জানতে চাই আলোক। সময়ের ধূলিকণা সরিয়ে সত্যি টা জানতে চাই। আমার কাছ থেকে না হয় পালিয়ে গেলে কিন্তু।নিজের পরিবার, নিজের ক্যারিয়ার, তোমার সমস্ত স্বপ্ন কে বিসর্জন দিয়ে একাকী নির্বাসনে কেনো? কেনো নিজেকেই শাস্তি দিয়ে চলেছো সবসময়? তুমি পালিয়ে গিয়েও ভালো নেই আলোক। তোমার চোখে বিমর্ষ মৃত্যুর ছায়া। তুমি নিস্পৃহ, তুমি যেনো যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত।

আনন্দ- শোনো তাহলে, সেই ঝড়জলের রাত পেরিয়ে ভোরে যখন আমি বর্মানের কালনার বাড়িতে আসি তখন আমি জীবনের যে চরম সত্য কে প্রত্যক্ষ করেছি তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।

ঊর্মি – বলো আলোক বলো তারপর

আনন্দ- আমার বাবাকে হারিয়েছি অনেকদিন। তিনি হঠাৎই কার একসিডেন্টে মারা গিয়েছিলেন। আমার মা আমার কাছে ধ্রুবতারার মতো ছিলেন। যখন দেখলাম সেই মা …. পারছি না ঊর্মি আর বলতে পারছি না।

ঊর্মি – বলো আলোক, বোবা পাষানভার টাকে নামিয়ে দাও বুক থেকে। আমি ক্রিমিনাল ল ইয়ার। অপরাধ বিজ্ঞান আমার হাতের তালুর মতো চেনা।

আনন্দ – মা কে আমি বাড়িতে বাবার বন্ধুর সাথে অবৈধ অবস্থায় দেখি। অথচ বাবার মৃত্যুর পর ওই বাস্টার্ড টাকে আমি আমাদের অভিভাবক ভাবতাম। আমি মাথা ঠিক রাখতে পারনি। দেওয়ালে ঝোলানো বাবার শখের তরবারি টা নিয়ে সজোরে ঢুকিয়ে দিলাম রাস্কেলটার পেটে। এলোপাতাড়ি সেই তরবারি চালিয়ে নৃশংস মেরে ফেললাম তাকে। মা যেনো অবাক বিস্ময়ে হতবাক।

ঊর্মি – তারপর, তারপর কি হলো আলোক

আনন্দ- কি ভাবছো রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার … হয়তো তাই।

ঊর্মি – তা নয় আলোক, প্রতিদিন এতো বিচিত্র ক্রিমিনাল আর হরেক লাল নীল ক্রাইম দেখি যে এসব এখন জলভাত। আশ্চর্য হই না কারন অপরাধীর চোখের ভাষা আমি পড়তে পারি।

আনন্দ- তারপর সেই ব্যাভিচারী মা আমার হাত থেকে সেই ধারালো তলোয়ার টা নিয়ে আমাকে বাড়ির বাইরে ধাক্কা মেরে বের করে দরজা বন্ধ করে নিজেই আত্মঘাতী হলো। পুলিশ রিপোর্টে প্রমান হলো মা তার প্রেমিককে মেরে আত্মঘাতী।
আমি পালিয়ে গেলাম দূরে বহুদূরে।নিজের থেকে নিজে পালাতে পালাতে একদিন পুনা স্টেশনে সর্বানন্দ মহারাজকে পেলাম । তিনি আমাকে এখানে এনে নতুন নাম দিলেন আনন্দ। আলোক আজ মৃত।

ঊর্মি – হুম …. আসলে সময় কখন কার জন্য কি নিয়ে অপেক্ষা করছে , তা আমরা কেও জানি না। কেন মোরে দূর করে দাও
দূর করে দাও আকাশ তলে ।
লাগে তীক্ষ্ণ রোদের ছটা আলোর ঘটা
মোর কপালে ।

আনন্দ- কঠিনের আরও কঠিন
পরখ জোটে কিসের ছলে?
ধৈর্য্যের বাঁধ অটুট যাহার আছে বাহার
গড়া সে বাঁধ পলে পলে।
চাইলেও যায় না ভাঙা মাটি রাঙা
যতই যায় তার তলে তলে।
মাথার ‘পরে আছেন যিনি দেখেন তিনি
রক্ষা করেন আপন বলে ।।
মাতাল হাওয়া যায় বহে যায়
উড়িয়ে চুল তাল বেতালে।
আমি যে একটা ভয়ংকর অপরাধী ঊর্মি।

উর্মি- আমি বলবো তুমি পরিস্থিতির শিকার। সবদিন ই একটুতেই রেগে যেতে। আর পছন্দ মতো যা চাইছো তা না পেলে সব তছনছ করে ফেলতে। তোমার মধ্যে একটা বন্যতা ছিলো। আজ ঠিক ততোখানি শান্ত। তবে আমাদের আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতা আমাদের মধ্যেই বন্দী থাকবে। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম আলোক …. সরি আনন্দ মহারাজ। আজ্ঞা দিন , আমি এবার যাই।

আনন্দ – হ্যাঁ জানি তবে যাই না বলে আসি কি বলা যায় না ?

ঊর্মি – না, কেননা আমি আর এখানে আসবো না। আপনার আর আমার জগত আলাদা আলাদা। আপনি তো আমার উপরে ভরসা রাখেননি, পালিয়ে বেড়িয়েছেন। আমার আলোককে আমি আজো ভালোবাসি। তার দুরন্ত দুর্নিবার আকর্ষনের কাছে আমার সবটুকু সঁপে দিই বারবার। আমার আলোক আমার প্রানে নিত্য জাগরুক।

আনন্দ – হ্যাঁ সেই মৃত আলোক তোমার বুকেই শান্তি তে ঘুমাক। নিঃস্ব রিক্ত এই আনন্দ মহারাজ শূন্যতা বুকে নীলকন্ঠ হয়ে থাক।

ঊর্মি – দূরের পথিক! তুমি ভাব বুঝি তব ব্যথা কেউ বোঝে না, তোমার ব্যাথার তুমিই দরদী একাকী, পথে ফেরে যারা পথ-হারা, কোন গৃহবাসী তারে খোঁজে না, বুকে ক্ষত হ’য়ে জাগে আজো সেই ব্যথা-লেখা কি? দূর বাউলের গানে ব্যথা হানে বুঝি শুধু ধূ-ধূ মাঠে পথিকে?

আনন্দ- এ যে মিছে অভিমান পরবাসী! দেখে ঘর-বাসীদের ক্ষতিকে!
তবে জান কি তোমার বিদায়-কথায় কত বুক-ভাঙা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিছে কোথায় পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালোবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথা পেয়ে যেয়ো না, ওগো যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেয়ো না ।।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top