‘অ্যানিম্যাল’(Animal) ছবির সংগ্রহ ‘জওয়ান’কেও ছড়িয়ে যাবে বলে অনুমান

‘অ্যানিম্যাল’ (Animal) ছবির পোস্টার এক্স হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া।

উত্তরাপথঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজই মুক্তি পাচ্ছে রণবীর কাপুর অভিনীত হাইভোল্টেজ ছবি ‘অ্যানিম্যাল’।ইতিমধ্যেই অগ্রিম বুকিংয়ে বক্স অফিসকে হাতের মুঠোয় করে নিয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’(Animal)। মনে করা হচ্ছে এই ছবির সংগ্রহ  ‘জওয়ান’কেও ছড়িয়ে যাবে।  

বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ‘অ্যানিম্যাল’ (Animal)ছবিটি প্রথম দিনেই সংগ্রহের রেকর্ড করতে প্রস্তুত যা সম্ভবত ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দিনের জন্য অগ্রিম সংগ্রহ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ছবির হিন্দি সংস্করণটি ১৯.৭ কোটি টাকা হয়েছে বলে খবর।, তেলেগু ডাব সংস্করণটি ২,৪৪ কোটি টাকা অগ্রিম সংগ্রহ অর্জন করেছে। তামিল ডাব সংস্করণটি প্রায় ৭.১৬ লাখ টাকা আয় করেছে যেখানে কন্নড় ১.৯৫ লাখ টাকা আয় করেছে। মালয়ালম সংস্করণটি আনুমানিক ১,৬০০ টাকা অগ্রীম সংগ্রহ করেছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই এই ছবির প্রচারে শহরে শহরে ঘুরছেন রণবীর। সেই প্রচারেই রণবীর জানিয়েছিলেন, ‘অ্যানিম্যাল ছবির দৈর্ঘ্য অনেকটাই বড় ছিল। অনেক কষ্টে ছবিটাকে তিনঘণ্টার মধ্যে আনা হয়েছে। এখনও অনেকটা বলা বাকি অ্যানিম্যাল-এর।’ রণবীরের এই কথা থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, ‘অ্যানিম্যাল’ -এর সিক্যুয়েল আসবে। তবে ছবির প্রযোজক ভূষণ কুমার যেন সেই ইঙ্গিতটাকেই স্পষ্ট করেছেন।

 সম্প্রতি ভূষণ কুমার জানিয়েছেন, ‘অ্যানিম্যাল’(Animal) ছবিতে বড়সড় চমক রয়েছে। যা কিনা ছবির শেষে দর্শক জানতে পারবেন। প্রযোজকের এই কথাতেই লোকে মনে করছে ‘অ্যানিম্যাল’(Animal) ছবির সিক্যুয়েলের খবর। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিটিতে রণবীর একটি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যিনি একটি অতি-হিংসাত্মক প্রতিশোধের মিশনে গিয়ে তার প্রিয় বাবাকে আক্রমণ করেছেন তার বাবা-মায়ের উদ্বেগের জন্য। তার বাবাকে আক্রমণ করার পর, রণবীরের চরিত্রটি তার পরিবারের থেকে ছেড়ে না যাওয়ার শপথ করে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেয়। ‘অ্যানিম্যাল’  ছবিটিতে  আরও অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর, ববি দেওল এবং রশ্মিকা মান্দান্না এবং আরও অনেকে।CBFC থেকে এটিকে একটি ‘A’ রেটিং সিনেমা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে যা ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের সিনেমা দেখতে সীমাবদ্ধ করে।

প্রসঙ্গত, হিংসা-প্রতিশোধ, রক্তাক্ত অতীত-ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার বন্য গল্পকে ট্রেলারে এমন রোমাঞ্চকরভাবে তুলে ধরেছে ‘অ্যানিম্যাল’, যা দেখে উত্তেজনায় ফুটছেন দর্শকরা। পয়লা ডিসেম্বরের অপেক্ষায় রয়েছে সকলে! তাই ২৫ নভেম্বর, শনিবার থেকে অগ্রীম বুকিং শুরু হতেই তোলপাড়। দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের একাধিক মেট্রো সিটিতে ‘অ্যানিম্যাল’-এর টিকিটের দাম উঠেছে ২২০০ টাকা অবধি। যা কিনা অবিশ্বাস্য!

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top