উত্তরাপথ


ছবি সংগৃহীত
চন্দ্রযান – ৩ প্রকল্পের সফল উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করল দূরদর্শনের মাধ্যমে আপামর ভারতবাসী । চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল এবং ইসরো প্রধান এস সোমানাথও তাদের আনন্দ ভাগ করে নিলেন যখন LVM3 M4 যানটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হল। “চন্দ্রযান-৩, তার সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে, চাঁদের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা শুরু করেছে। ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের সময় মহাকাশযানের অবস্থা স্বাভাবিক ছিল।


ছবি সংগৃহীত
এবার আসাযাক চন্দ্রযান-৩ প্রসঙ্গে । ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের যাত্রা শুরু করেছে চন্দ্রযান-৩।এই অসাধারণ কৃতিত্বের পিছনে রয়েছে অনেক কঠোর পরিশ্রম। শুক্রবার শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু হয় চন্দ্রযান-৩। এর আগে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। তবে উৎক্ষেপিত চন্দ্রযান ২-এর অরবিটরটি সফলভাবে চন্দ্রকক্ষে প্রবেশ করলেও অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, তাই ৬১৫ কোটি টাকা খরচ করে ফের নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে চন্দ্রযান-৩।


ছবি সংগৃহীত
জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণের পরে চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে চন্দ্রযান ৩-এর বেশ অনেকটা সময় লাগবে। ২৩ আগস্ট চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। সেখানে পৌঁছে চাঁদের হিসাবে একদিন কাজ করবে এই চন্দ্রযান, যা পৃথিবীর হিসাবে প্রায় ১৪ দিনের সমান। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে দেখবে চন্দ্রযানের রোভার। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগের বার চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গেলেও সেখানে অবতরণের সময়ে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান। তবে এবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে সেরকম বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।


ছবি সংগৃহীত
পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে মোট ছ’টি ধাপে চাঁদে পৌঁছে যাবে এই চন্দ্রযান-৩। শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথেই ঘুরপাক খাবে চন্দ্রযান। সেখান থেকে ধাপে ধাপে প্রবেশ করবে চাঁদের কক্ষপথে। সেখানে পৌঁছেই প্রোপালশন মডেল থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার। তারপর বিছিন্ন হয়ে যাওয়া ল্যান্ডার থেকেই চাঁদের মাটিতে নেমে পড়বে রোভার। মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় কাজ চালাবে রোভারটি। সেখান থেকেই মিলবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


ছবি সংগৃহীত
এই চন্দ্রযান ৩ তৈরি করতে মোট ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৪৩.৫ মিটার উঁচু ও ৪ মিটার চওড়া এই যানটির ওজন ৬৪০টন।চন্দ্রযানে থাকবে তিনটি মডিউল- প্রোপালশান, ল্যান্ডার ও রোভার। প্রোপালশান মডিউল মূলত একটি রকেট যা চন্দ্রযান ৩-কে উৎক্ষেপন করতে সাহায্য করবে। ল্যান্ডারের কাজ হল চাঁদের কক্ষপথ থেকে রোভারকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামিয়ে আনা। রোভার একটি ছয় চাকা যুক্ত রোবটযান যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটে বেড়াবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ অগস্ট ল্যান্ডার এবং রোভার অবতরণ করবে।


ছবি সংগৃহীত
আরও পড়ুন
নাসার দুই মহাকাশ বিজ্ঞানী "Astronaut Hall of fame -এ অন্তর্ভুক্ত হল
উত্তরাপথ: দুই সুপরিচিত, প্রবীণ NASA মহাকাশচারী রয় ডি. ব্রিজেস জুনিয়র এবং সেনেটর মার্ক ই. কেলিকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে মার্কিন মহাকাশচারী ৬ মে ২০২৩ হল অফ ফেমে (AHOF) অন্তর্ভুক্ত হল, যার ফলে মোট সদস্য সংখ্যা ১০৭ পৌঁছল। উভয় মহাকাশচারীই ৬০ দিনের সম্মিলিত মহাকাশে NASA এর অনুসন্ধান এবং আবিষ্কারের মিশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। রয় ডি. ব্রিজস জুনিয়র জর্জিয়ার আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু জর্জিয়ার গেইনসভিলে বড় হয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য
অনয় কিরণ মাহাতো: কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। এরপর হুমানোইড রোবর্ট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর .....বিস্তারিত পড়ুন
শালডিহা কলেজের ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স
উত্তরাপথঃ বাঁকুড়া জেলার শালডিহা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সমীর কুমার মণ্ডল এর উদ্যোগে এবং Mahindra Group - এর Mahindra Pride Classroom ও Naandi Foundation -এর যৌথ উদ্দগ্যে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য ৭ দিনের (৪০ ঘন্টা) একটি সার্টিফিকেট course -এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে বিশদে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে হল communication skill, soft skill, life skill, presentaion skill ও interview skill ইত্যাদি। Mohindra Educator -এর ভূমিকাই আসেন সরোজ রাই। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ শালডিহার মতো প্রান্তিক কলেজের মেয়েরা খুবই উপকৃত হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে ভবিষ্যতে মাহিন্দ্রা গ্রুপ এই কলেজে ক্যাম্পাসিং এর .....বিস্তারিত পড়ুন