উত্তরাপথ


২০১৬ সালে এলন মাস্ক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, নিউরালিংক মানুষের মস্তিষ্কে এমন ডিভাইস ইমপ্লান্ট করার পরিকল্পনা করেছে যার দ্বারা স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তবাও তাদের মন দিয়ে কম্পিউটার বা রোবোটিক অঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। মাস্ক বলেছেন যে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে এক ধরণের মানসিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান । সম্ভবত তিনি এমন এক ডিভাইস আবিস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে একজন মানুষ টেলিপ্যাথিক যোগাযোগে সক্ষম হবেন।
ইতিমধ্যে নিউরোটেকনোলজি কোম্পানিটি তার প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালুর অনুমতি পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) তার প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালু করবে।ইলন মাস্ক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে অনুমোদন “একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে যা একদিন আমাদের প্রযুক্তিকে অনেক লোককে সাহায্য করার অনুমতি দেবে।”
কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রযুক্তিটি প্রাথমিকভাবে পক্ষাঘাত এবং অন্যান্য স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার উপর গুরুত্ব দেবে, যদিও Neuralink অবশেষে অ-চিকিৎসা এটি প্রয়োগ করতে চায়। নিউরালিংক বলেছে তাঁরা মানুষের মাথায় একটি কয়েনের আকারের কম্পিউটিং ডিভাইস বসাবে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই। মানুষের মাথার খুলির একটি অংশ খোদাই করে এটি স্থাপন করা হবে এবং তার মাধ্যমে এটি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। শুধু মস্তিষ্কই নয়। নিউরালিংক শরীরের অন্যান্য অংশেও এটি ইমপ্লান্ট করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ইলন মাস্ক নিজেই এই মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস ছাড়াও দু’টি প্রোডাক্টের উপর কাজ হচ্ছে বলে জানান। বর্তমানে তাঁর সংস্থা এমন একটি ইমপ্লান্ট তৈরি করছে, যা কিনা মেরুদন্ডে বসানো হতে পারে। এটি প্যারালাইসিসে ভুগছেন এমন ব্যক্তির স্নায়ু গতিবিধি পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে দাবি করেছেন ইলন মাস্ক। অন্যদিকে একটি অকুলার ইমপ্লান্টের বিষয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে রীতিমতো ডেমো-ও প্রস্তুত করে সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাঁদরের মাথায় এই কম্পিউটার চিপ বসানো হয়েছে। এরপর সেই বাঁদরটি সামনের স্ক্রিনে ‘টেলিপ্যাথিকলি টাইপিং’ করছে। অর্থাত্, এই একই বিষয় মানুষের ক্ষেত্রেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিউরালিংকের। খুব সহজ ভাষায়, নিউরালিংকের এই ডিভাইস স্নায়ুর উত্তেজনাকে ডেটাতে অনুবাদ করে। এটি এরপর কম্পিউটার ব্যাখ্যা করে। ইলন মাস্কের বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে এই ডিভাইস একদিন মূলধারার প্রতিবন্ধী সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হবে। মানুষ এবং মেশিনের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের ব্যবস্থাই পাল্টে দেবে এই প্রযুক্তি।
ডেমো প্রকাশের পর বর্তমানে সকলে এই ডিভাইসের কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। সকলে আশাবাদী খুব শীঘ্র এই ডিভাইসটি নার্ভ রোগীদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এমন ডিভাইস যে তৈরি করা সম্ভব, তা বহু বছর আগেই জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
আরও পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন