#PanchayetElection2023 পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সাথে অশান্তি শুরু জেলাগুলিতে

উত্তরাপথ

গতবারের দেখান পথেই হাঁটছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যে ত্রি স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ১১ জুলাই ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেই একাধিক ইস্যুতে বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস একাধিক বিষয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিজেপি ও কংগ্রেস ইতিমধ্যে মনোনয়নের জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।মুলত পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। দিনক্ষণ বাড়ানো বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণে আদালত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। এখনও পর্যন্ত ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ বেধে দেওয়া আছে।সেইমত শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় মনোনয়নের প্রক্রিয়া। তবে একাধিক জায়গায় মনোনয়নের প্রস্তুতি সাড়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে ধরে বিরোধীরা। শনিবার সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা একাধিক জায়গায় মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।

অন্যদিকে, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একাধিক অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী ভাবছে, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে চাইছে কিনা সে বিষয়ে কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই মনোনয়নের জন্য জেলা জেলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জেলা প্রশাসন, সে বিষয়ে জেলা শাসকদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের কাজ চলছে, ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় বিরোধী দলকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এই আবহে গত ১৩ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top