Sustainable Energy: সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি

উত্তরাপথ

ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি ১২% উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এই পুনর্নবীকরণযোগ‍্য সম্পদের ব্যবহার আমাদের অ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের বিকল্পের দিকে ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে।

সৌর এবং বায়ু শক্তির ব্যবহারের দ্রুত বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণ দ্বারা চালিত হয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তির অগ্রগতি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইনগুলি এখন আগের চেয়ে আরও দক্ষতার সাথে সূর্য এবং বায়ু থেকে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, যার ফলে বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধিকন্তু, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার জরুরি প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ফলে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের উন্নয়ন ও স্থাপনাকে উৎসাহিত করার জন্য অনুকূল নীতি ও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যার লক্ষ্য হল জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিকল্পগুলির সাথে প্রতিস্থাপন করা।

সৌর এবং বায়ু শক্তির ব্যবহারের সুবিধা শুধুমাত্র আমাদের পরিবেশগত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়।এয় আমাদের অর্থনৈতিক  ক্ষেত্রকেও প্রভাবিত করে।এই সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইনগুলির স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন, যা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগকে উদ্দীপিত করে।

কিছু অঞ্চলে, সৌর এবং বায়ু শক্তি বিদ্যুতের সবচেয়ে সস্তা উৎস হয়ে উঠেছে, যা ঐতিহ্যগত জীবাশ্ম জ্বালানী-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরচের থেকে অনেক কম। খরচের এই সাশ্রয় , উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশের জন্যই  প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিতে সৌর এবং বায়ু শক্তি গ্রহণকে আরও প্ররোচিত করেছে,এবং একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসাবে তুলে ধরেছে।

২০২২সালে বিশ্বব্যাপী সৌর ও বায়ু চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২% রেকর্ড বৃদ্ধিভ পেয়েছে যা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এর আগে ২০০৫ সালে সৌর ও বায়ু চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫% ছিল।কিন্তু এখনও কয়লা বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানে থেকে গেছে। বিজ্ঞানীরা এবং ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বলেছে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ১.৫ সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ করার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত হ্রাস করতে হবে।সুতরাং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এখন আর শক্তির বিকল্প উৎস নয় বরং এটি আগামী দিনে বিশ্বের ব্যবহৃত  শক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে চলেছে। যাইহোক, এখনও অনেক অগ্রগতি করা বাকি আছে, কারণ এর মুহূর্তে  সারা বিশ্বের লক্ষ্য এখন সবার জন্য একটি উজ্জ্বল এবং সবুজ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা।

সেই কারণে, সরকার, ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের সম্মিলিতভাবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের উপর গবেষণা ও কাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে। সৌর এবং বায়ু শক্তির দক্ষতা এবং ক্ষমতা উন্নত করার জন্য প্রযুক্তিতে আরও অগ্রগতির প্রয়োজন। উপরন্তু, বিদ্যুত গ্রিড আধুনিকীকরণের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বৃহত্তর শেয়ার একীভূত করার জন্য তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত।সৌর এবং বায়ু বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদন আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভরতা হ্রাস এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ তৈরিতে বড় অবদান রাখবে ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মণিপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন বর্তমান সমস্যার সমাধান হতে পারে

উত্তরাপথ: মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি অব্যাহত রাখবে এবংআন্দোলন তীব্রতর করবে বলে খবর। অন্যদিকে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ, কিছু পাহাড়ি উপজাতির একটি তড়িঘড়ি তৈরি করা ছাতা সংগঠন,তারা মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।  কিন্তু এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে দীর্ঘ .....বিস্তারিত পড়ুন

যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top