ছোট গল্প -একটি কাল্পনিক চিঠি

কাল্পনিক চিঠি ‘র কাল্পনিক চরিত্র সুচরিতা

অসীম পাঠক।।কাল্পনিক চিঠি।। সুচরিতা- কি লিখবো তোমায় নতুন করে আর ??? তবুও লিখলাম বেদনার অশ্রুতে একরাশ অভিমান নিয়ে বোঝা না বোঝার সীমানা পেরিয়ে অনেক দূরে চলে যাও তুমি । তখন আমি অথৈ জলে হাবুডুবু খাই … বুঝে উঠতে পারিনা , সময় পরিস্থিতির সাথে লড়তে লড়তে ক্লান্ত দিশেহারা হয়ে যাই । আজ সত্যিই আমি অনেক ক্ষত বিক্ষত বিধ্বস্ত ক্লান্ত প্রান এক ….. অসফল হেরে যাওয়া একটা মানুষ ।
কয়েকটাদিন চরম অসুস্থতায় মৃত্যু কে যেনো প্রত্যক্ষ করলাম । মনে হয়েছে একবার , একবার যদি বলা যায় ভালোবাসি অনন্ত সময়ের জন্য । বলা হয়ে ওঠেনি । অবকাশ থাকলেও অবসর থাকলেও সামর্থ্য ছিলো না ….. আজ আমি বাস্তবের মাটিকে দেখছি , স্বপ্নের উড়ান থেকে সরে গিয়ে …. কি নির্মম কি রুক্ষ … কি অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে বাস্তবকে প্রত্যক্ষ করছি …. ছোটবেলায় অভিনয় করা রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটক টা বারবার মনে পড়ছিলো।
সেই অসুস্থ কিশোর অমলের অসহায়তা , তার রুগ্ন অবস্থায় গৃহবন্দী অবস্থা …. আমি যেনো যৌবনের অস্তাচলে তাকে দেখছি শুধু নয় ,,, অনুভব করলাম।
একটা সময় আসে যখন মন প্রান এক হয়ে যায় … অতীন্দ্রিয় চেতনার রাজ্যে শুধু নিঃশব্দ নিষ্পলক ভালোবাসার হাতছানি।
কথা কি এতো সহজেই শেষ হতে পারে ????
গান কবিতা র অপূর্ব সঙ্গমে ব্রহ্মপুত্রের বুক দিয়ে নৌকোয় ছুটে চলা এখনো বাকি … হাতে হাত রেখে টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখা বাকি …. আর বাকি … জীবনের সেই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি হওয়া , যা চিরন্তন যা জন্মান্তর …. আসলে শেষ বলে কিছু হয় না , শেষ মানেই নীরবতা ভেঙে নতুন করে বলা, কাছে এসো …. বিশ্বকবির কথায় , জগতের শত শত অসমাপ্ত কথা যতো শেষ হয়ে হইল না শেষ ….
রাজনৈতিক সমস্যা আমাকে স্তব্ধ করলেও আমার জীবন আদর্শ কে চিরতরে থামিয়ে দিতে পারে না ।
আমার অভ্যাস নিয়ে , নীরবতা নিয়ে , জীবন প্রনালী নিয়ে , কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে । কিন্তু আমার নিষ্কলুষ পবিত্র ভালোবাসা নিয়ে কারো কোন প্রশ্নের অবকাশ ই নেই ।
সাম্প্রতিক কিছু সমস্যা নিয়ে আমি আলোহীনতায় ডুবে নিস্তব্ধ যতোখানি , বলতে পারো ভালোবাসার প্রদীপে ততটাই উজ্জ্বল ।
আমার শুভাকাঙ্ক্ষী রা বলে , কোন সমস্যা আমাকে বেশীসময় বেঁধে রাখতে পারে না । নিজেকে বারবার সঠিক প্রমানের জন্য আমার লড়াই অব্যাহত । যারা কাছ থেকে অসীমকে দেখেছে তারাই বলে , বাঘ যেমন শিকার ধরার আগে কয়েক পলক নিস্তব্ধ হয়ে যায় আমি নাকি সেরকমই রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবার আগে নিজেকে গুটিয়ে রাখি ….

জীবনের প্রতি পলে প্রতি অনুভবে তোমাকে নিয়েই আমি পথ চলি সমুখপানে । নাইবা থাকলে তুমি আমার নয়ন সমুখে । নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই। তাইতো আবেগে অধিকারে অস্তিত্বের মাঝখানে নতুন এক ভালোবাসার মহীরুহ আমাকে ছায়া দেয় , শক্তি দেয় , ,,,,,,, অদৃশ্য এক বন্ধন ।হয়তো আমার কিছু সাময়িক ভুল আমাকে শিক্ষা দিয়ে গেলো ,,,,, আরও বৃহত্তর লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গেলো ….. আমি তৈরী ।
তবে কয়েকটা দিনের নীরবতার মধ্যে আমি একটা ই ভাষা পড়েছি , সেটা ভালোবাসার। মন্দিরে শঙ্খধ্বনি , বৃষ্টির টুপটাপ , বাতাসের শনশন , গাড়ির হর্ন , কোলাহল ময় রাজপথে অগনিত মানুষের যাতায়াতের মাঝে আমি শুনেছি একটাই শব্দ ,,,, ভা লো বা সি ।
এটা ছিলো আ্যাসিড টেস্ট … নিজেকে পোড়ানোর।
ক্লান্তি বিহীন চলার পথে পরিকাঠামো সাজানোর । পরিকল্পনা শুধরে নেবার ….
নিজেকেই পোড়ালাম …. বেদনার অশ্রুতে।
বিরহের দহন জ্বালায় …. অসহ্য স্নায়ু বিদীর্ণ করা প্রতি মুহূর্তে তোমার ডাক শুনেছি । সীমাহীন শারীরিক যন্ত্রণা য় বাঁচতে চেয়েছি একবার শেষ কথা বলার জন্য ।
ভালো থেকো । ভালো থাকতেইই হবে ।
স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বাঁচে , আমার স্বপ্ন আমার আকাঙ্ক্ষা সে তো শুধু তোমার কাছে বন্দী …… তোমার কাছেই গচ্ছিত থাক আমার অসমাপ্ত স্বপ্ন মিলনের প্রত্যাশা নিয়ে …. পরম মমতায় পরম যত্নে …….

শেষ অবধি আর পারলে না , মুখ মুখোশের বেড়াজালে ভালোবাসার নির্মম পদপ্রান্তে আমার প্রনতি রেখে গেলাম।
দেখো বার বার বলতাম এভাবে শেষ বলে কিছু হয়না , সামান্য সময়ের অসামান্য সব মুহূর্ত হারিয়ে গেলো কালের কঠিন আঘাতে । সেই তো শেষের লগ্নে দাঁড়িয়ে ,,,, আজ আর কোন কৌতূহল নেই , ফেরানোর আকাঙ্ক্ষাও নেই । কষ্ট আছে হয়তো থাকবে আমৃত্যু । জানবো এটুকুই আমার ভালোবাসার প্রাপ্তি।
কখনও দেখবো প্রোফাইলের ছবি পাল্টেছে , কখনও দেখবো নতুন সুরের ইন্দ্রজালে রামধনুর চ্ছটায় নতুন এক বসন্ত তোমার জীবন আকাশ জুড়ে । এভাবেই ভালো থাকবে । আর ভুলে যাবে শীতের সকাল গ্রীষ্মের সন্ধ্যা , ভুলে যাবে একফোঁটা বৃষ্টি । আবার হয়তো কিছুই দেখতে দেবে না দূর থেকে , আনফ্রেন্ড ব্লক এসব কখন হুট করে মাথা গরম করে করে বসবে , আর কেও ব্যাকুলতা অনুভব করার থাকবে না । আর হয়তো বিনিদ্র রজনী উৎকণ্ঠা য় কাটাবে না জীবনপুরের কোন পথিক । তবুও থাকবে স্নায়ু বিদীর্ণ করা প্রতিটি মুহূর্ত।

সম্পর্কের কেমিস্ট্রি গুলো খুব অদ্ভুত হয় , তাই না ? ছেড়ে যাওয়া টা যেনো সহজাত অধিকার । প্রতি বার ছাড়তে আর বাঁধতে , গড়তে আর ভাঙতে কত শব্দের অপচয় করেছো । কতোবার ঘৃনা আর অবজ্ঞায় সাময়িক খেয়াল কে দমিয়ে রেখেছো , এখন তো সব অতীত । তাই না ? আর কোনো ক্লান্তি নেই বিরক্তি নেই তোমার জীবনে। সোমরসের মতো কবিতার মৃত সঞ্জীবনী সূধায় তুমি আমাকে সিক্ত করেছো অসংখ্য দিবস রজনী, সে সময়ের হিসাব আর নাই বা করলাম।
আসলে কোন সম্পর্কে র শেষ টা মধুর মতো মিষ্টি হয় না । হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি সে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরাই পেরেছে । আমি তো ভালোবাসার বিপ্লবে ব্যার্থ । তবুও আমার জীবনের কবিতায় চাঁদনী রাতের মতো আলোর ঝর্নাধারা তুমি এনেছিলে । পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর তা সাময়িক । জীবনের ক্যানভাসে সৌন্দর্যের বিস্তারে আমার ব্যার্থতার অসম্পূর্ণতার ছবিটা আমার কাছেই জমা থাকলো।
আমার সামনের পরিবেশ জুড়ে ভালোবাসার তীব্র অবাধ্যতা অনুভূত হবে , সব জায়গাতেই কৃষ্ণের রাধা দেখার মতো তোমাকেই ভেবেছিতো । জীব জড়ের পার্থক্য পেরিয়ে আমি যে বিমূর্ত প্রেমে ডুবেছি । এখনও ডুবেই আছি।
কে বলে ভালোবাসা একতরফা হয়না বলে ।
ভালোবাসা একতরফা ই । আমার অনুভূতি আমার নিজের। জাগ্রত বিবেকের সত্তা জুড়ে সে অনুভূতিতে ভালোবাসা র রঙমশাল , যা নিভতে জানে না । যা শুধু স্মৃতি রোমন্থনে জীবন কাটাতে পারে ।
একটা জন্মের সীমারেখা পেরুলো না , জন্মান্তর শুধু কবিতায় বন্দী থাকলো ।
যেভাবে শেষ পরিচ্ছদের সংলাপ বিনিময় , তা কিন্তু প্রত্যাশিত নয় । বিশেষ করে কোন মানুষের ভালোবাসার চরমতম দুর্বল স্থানে যখন কেও আঘাত দিয়ে ফেলে জীবনবৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুটাও তখন যেনো নড়ে ওঠে ।
তোমার কাঙ্ক্ষিত আমার অনাকাঙ্ক্ষিত । অথচ কি অদ্ভুত সারল্যে নিবিড় উষ্ণতায় বারেবারে বলেছো আমার চেয়ে তোমার ভালোবাসা অনেক বেশী ।
বেশী বলেই তো বিকর্ষণও বেশী । বেশী বলেই তো কষ্ট দেবার অধিকার বেশী , বেশী বলেই তো ঘৃনা টাও বেশী । বেশী বলেই তো অবলীলায় বলেছো ভালোবাসতে পারোনি এতোদিন । অথচ আমাকে জড়িয়ে দিনরাত্রি র মালা গেঁথেছো , কয়েক আলোকবর্ষ দূরেও সে মালা রঙিন পেখম মেলে উড়ে যাওয়া প্রজাপতির মতো বৈচিত্র্যময় । সে মালা সুখ দুঃখের কবিতায় গানে গল্পে যেনো চিরনূতনেরে দেয় ডাক।
ভালোবাসার এক স্বর্নালী জগত কে আমায় চিনিয়েছো তুমি , হাতে হাত রেখে শিলাবতীর হাঁটুজলে পা ডুবিয়ে সূর্যাস্ত দেখা আর হয়ে উঠবে না । কঠিন অনুশাসনের লক্ষনরেখায় আমাকে বেঁধে দিলে।
আমার অজ্ঞাত বাস শুরু হলো ভালোবাসার সাথে। তোমার ভালোবাসা চাঁদের আলোর মতো হলেও
বজ্রের মতো নির্মম আঘাত সে দিতে পেরেছে তার কারন সব অনুযোগ অভিযোগ অভিমান আমার বলে । আত্মসমর্পনে কখনও ক্লান্তি ছিলো না , যন্ত্রণা ছিলো না ….. আমরা যন্ত্রণা হীন মৃত্যুর কথা বলি , এও একধরনের তাই ।
ভালোবাসার ফুল শুকিয়ে গেলে জীবনের ছবিটাও বিবর্ন বিকৃত মৃত হয়ে যায় ।
ভালোবাসার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আজ নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগছে । কতো অজস্র মুহর্ত যেনো সরে যাচ্ছে কক্ষ কক্ষান্তরে ।
আশা করি না , প্রত্যাশা রাখি তুমি ভালো থাকবে ।
ভালো থাকবে ।
ভালো থাকতেই হবে তোমাকে। আমার ভালোবাসা মিথ্যা , তোমার তো নয় ….. আর হয়তো কখনও কোথাও কোনোদিন বলার সুযোগ হবে না , তাই শেষবারের মতো বললাম সেই কথাটা , যা কয়েকশো বার কয়েকশো ভাবে বলেছি , আজকের বলাটা সে সব কিছু উচ্ছ্বাস কে ছাপিয়ে , বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়ে বলা ,,,,,
ভা লো বা সি ……. ভাববে পাগলামি , তবুও এই পাগলামি র মধ্যে এক অজানা আনন্দ ….
দেখতে দেখতে বছর অতিক্রান্ত ….
আবার লিখছি , সব লেখাই তোমার , তবুও সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে টাইপের মধ্যে অনেক না বলা কথার মুহূর্ত যেনো উঁকি মেরে যায় ….
এরকমই আগষ্টের রিমঝিম বৃষ্টিমেদুর একটা সময়ে সম্পর্কের শুরুর বার্তা … সময়টা যেনো জীবনে ভালোবাসার পরিপূর্নতা এনে দিয়েছে ,,,,, তারুণ্যের আবেগ উন্মাদনায় ডুবে থাকা এক উজ্জ্বল সময় … টুকরো টুকরো কথা , দৃপ্ত হেঁটে চলা …-ভালোবাসার পূর্বরাগের যেনো একটা নীরব ছবি …. এটুকু স‍ম্বল করে সামান্য স্মৃতিটুকু আগলে জীবনের দীর্ঘ সময় অতিক্রম করা …
এই সময়ে তুমি কি পেয়েছো আমি জানি না , কিন্তু আমি পেয়েছি এক আলোকিত জীবন , সব কিছুর মধ্যে কোন প্রত্যাশা না রেখেই যে সবার অগোচরে অন্তরালবর্তিনী হয়ে সব সামলে যায় ….
এই দুবছর তোমার অনেক পাগলামি অনেক বিরক্তি সইতে হয়েছে তাই না ?
কি করবে বলো …. ভালোবাসা র অমোঘ আকর্ষণ আমার কাছে এরকমই। যত কথা বলি ততই কম পড়ে …. মুহূর্ত গুলো যেনো দ্রুত শেষ হয়ে যায় …. আমাকে যেনো রাঙিয়ে দিয়েছো তোমার নিষ্পাপ পবিত্র নিঃশব্দ ভালোবাসায় ।
আমাকে সিক্ত করেছো , অভিনিষিক্ত করেছো তোমার মনের মনিকোঠায় । অনেক না বলা কথা , না পাওয়া মুহূর্ত শব্দের মালায় সেজে উঠৈছে কবিতার পাতায় ….
তোমাকে কখনও ভোলা যায়না , সম্ভব নয় …. সোশ্যাল মিডিয় তোমার ভালোবাসার দুরন্ত স্রোতে অবগাহন করেই যেনো কবিতা গল্পের আমন্ত্রণ। কখনও ভাবিনি রাত জেগে আবার লিখবো জীবনের মধ্য বয়সে তোমাকে অনুভূতির কথা । অস্পষ্ট স্বপ্নের কথা ।
কতোবার নিস্তব্ধ রাতে চ্যাটিং এ মনে হয়েছে , এই তো আমার সামনে তুমি । পাশে বসে আছো …. তোমার ক্লান্ত সুন্দর মুখে অবিন্যস্ত চুল আমি ঠিক করে দিচ্ছি, কখনও আপনমনে বলে উঠছি , চলো অন্ধকার রাতে হাতে হাত রেখে কয়েক পা হাঁটি …. কখনও যেনো মনে হয় বলবো , চলো বৃষ্টিতে ভিজবে ? ভুলে যাই বুড়ো হয়ে যাচ্ছি ….. এক অনির্বচনীয় ঝংকার যেতো তোমার ভালোবাসার রাগিনী …. আমার অনেক প্রশ্ন ছিলো তোমার কাছে …..
আজ আর সত্যিই কিছু জানতে ইচ্ছে করে না ….
সব উত্তর আমি পেয়ে গেছি ।
তোমার মনোবীনায় ভালোবাসার স্বরগম টা আমার পড়া হয়ে গেছে ….
তোমার ব্যাক্তিত্বকে কুর্নিশ জানাই …. আত্মসংযমের এক আশ্চর্য ঘেরাটোপে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছো তুমি …..
সোনালী অতীতের কয়েটুকরো এলেমেলো অনুভূতি , কলেজের সিঁড়ি রিডিং রুম , একনম্বর হল সব যেনো চোখের সামনে , মনে হয় এই তো কাল ই তোমাকে দেখলাম , এক মোহময় অনুভূতি র বর্ননিবিড় উচ্ছ্বাস।

ভালোবাসার ফল্গুধারা য় বিধৌত হয়েছে জীবনের অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত।
মনের যতোটা কাছে থাকলে এক আকাশ কবিতা র জন্ম হয় , আমার ঠিক ততটাই কাছে আছো তুমি । দূরে থেকেও ছড়িয়ে আছো , জড়িয়ে আছো অন্তরে । দুটো বছরে এমন একটা দিন ও আসেনি , যেদিন তোমাকে মনে হয়নি …… মনে হয় তোমার চোখে চোখ রেখে অনন্ত সময় যদি মুখোমুখি বসতে পারতাম …. এ জন্মে ভালোবাসা শুধু আমার পরীক্ষা ই নিলো …. তাইতো অন্য কেও যখন ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছে , কাছে আসার কথা বলেছে মেসেজে তখন অবলীলায় তাদের কে ইগনোর করেছি , কেননা মনে হয়েছে আর কারো সাথে রোমান্টিক কনভারসেশন করলে তোমার কাছে ছোট হয়ে যাবো … মনের আকাশ তোমার দখলে ।

ভালোবাসা সেই শাশ্বত অনুভূতি সেই বোধ যা একটাঢ় মানুষের চেতনাকে বদলে দেয় …
বিশেষ কিছু মানুষের উপস্থিতি, হৃদয় কে ভীষণ দোলা দেয়া। যেন কত আপন কত টা কাছের মানুষ । অথচ কোন জন্মগত সম্পর্কের আদান-প্রদান নেই…. যেটুকু আছে পুরোপুরি হৃদয় গত …. মনের গহন গভীরে তার শিকড়ের বিস্তার। তাকে মুছতে গেলে জীবন দিয়ে মুছতে হয়। মৃত্যুর হিমশীতল অনুভুতি তেও সে যেনো ভালোবাসার বার্তা দেয় ….. সমস্ত মন জুড়ে শুধুই অনুভবের উপস্থিতি,বার বার হৃদয় ছুঁয়ে থাকে এক অলিখিত ভালো বাসার আবেশ জড়ানো উপলব্ধি। হঠাৎ আগমন আবার হঠাৎই অভিমানের সাগরে অবগাহন ….. আবার হঠাৎ করেই কোনো কিছু না বলে বিরহের অগ্নিস্নানে সারা মন জুড়ে অশেষ ভালোলাগা।
তপ্ত দুপুরে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী যেমন বৃষ্টির সুখ দেয় … কিছুটা সেই রকম মনের নিভৃতে বিন্দু বিন্দু অনুরাগ গুলো ভালোবাসার সঞ্চার ঘটায়।এটা ঠিক প্রেম বা ভালোবাসা নয় ‘… হয়তো তার চেয়েও বেশী …. এটা অনুভবের স্পন্দন….. জীবনের উপলব্ধি তে সেই চিরন্তন প্রেমের প্রতিফলন …. হয়তো অন্য সংজ্ঞায় …. অন্য চেতনায় ….
তবুও প্রেম আছে বলে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা আছে …. দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণার নীরব অনুভূতির মাঝে লড়াইয়ের প্রেরনা আছে ….. ছেড়ে থাকা নয় , শিকড়ের দুর্বার টানে মান অভিমানে জড়িয়ে থাকা …… এই ভালোবাসার অমল আলোতেই আমার মুক্তি।

নতুন করে আর কি নামে ডাকবো তোমাকে ?
নীলাঞ্জনা টা যে বড্ড অচেনা , আচ্ছা নীল নয়না হরিনী তো বলা যায় ? না না না , একে শেষ চিঠি , তার উপরে আবার ঝগড়া …. আচ্ছা ভালোবেসে দেওয়া নামটা যেটা হয়তো তুমি ভুলে গেছো ,,,, বা হয়তো ভুলতে চেয়েছো ….. শেষবারের মতো সেটাই বলি …. তোমার পছন্দের ফুলের নাম
লিলি ….
আর হয়তো কখনও সময় সুযোগ আসবে না …. ভালোবাসার বন্ধ দরজার ভিতর থেকে লক্ষ যোজন দূর থেকে প্রতিধ্বনিত হবে , ভালোবাসি ভালোবাসি। আসলে যখন কারো চিতায় বা কবরে ভালোবাসার অশ্রু পড়ে তখন যে মৃত্যু ও সুন্দর হয়ে যায় …. …..
জানো সব আছে … সেই তেঁতুল গাছটা , যেখানে অজস্র কথার ঝাঁপি তোমার ব্যাস্ত সময়কে ব্যাকুল করে রাখতো … সেই অর্জুন জঙ্গলের ঘন গভীর নির্জনতা , সেই ছোট ছোট নুড়ি টিলা ….কালো পিচ ঢাকা রাস্তার দুপাশে মোবাইল কানে হেঁটে যাওয়া …. বাড়ির সামনে লাল সিঁড়ি …. যেখানে তোমার অবাধ যাতায়াত ছিলো ….. সেই প্রাচীন মন্দিরের বেদী …. সব থাকবে ঝড়ে বৃষ্টিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে …. হয়তো আর কারো অপেক্ষায় দিন গুনবে না ….. সময়ের স্রোতে ব্যার্থ প্রত্যাশার মালা গাঁথবে না আর … সত্য শিব সুন্দরের আরাধনা য় যেদিন আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিজ্ঞা জীবনের ভালোবাসার অপূর্ব সুন্দর রামধনু কে ছুঁয়েছিলো ,আজ তা কালো মেঘে ঢাকা …. সীমানার অতীত পার থেকে যে মৃদু সুর ভেসে আসতো নিখিল যৌবনের রঙ্গভূমির নেপথ্য থেকে যে ডাক , তা মিলিয়ে গেলো । তুমি জন্মান্তরের কথা বলতে না , অথচ দেখো কি আশ্চর্য এক গোটা জীবন না , অর্ধেক সময়ের ভগ্নাংশ ও আমরা পেরুলাম না …. বলতে পারো হয়ে উঠলো না । সময়কে শাসন করতে ব্যার্থ আমরা । মান অভিমান এর লুকোচুরি তে আর কথায় কথায় কেও বলবে না , আর কিছু ? তখন ফোনের ওপার থেকে ভাসবে না সেই পরিচিত স্বর অনেক কিছু । এই মুহূর্তে জন অরণ্যের মাঝেও তুমি বড্ড একা । সাদা শার্ট আর লাল শাড়ির কম্বিনেশন মিললো না …. তোমার মেকআপের আড়ালে চোখ বলে তুমি ঝপসা দেখছো । স্বার্থপরতা র অভিনয় করতে করতে যে ক্লান্ত বিধ্বস্ত …. আমি যে তোমার মুখের রেখা পড়তে পারি …. তীব্র দহন জ্বালায় জ্বলছে সব মোহময় অনুভূতি …. পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তিল তিল করে গড়ে তোলা ভালোবাসার সাম্রাজ্য। হলুদ সর্ষেক্ষেত জুড়ে যে ভালোবাসার পরিধি সেখানে যে নিজের চোখেই সর্ষে ফুল দেখা…. জানি সকালে র আলো ফুটলে আর খুঁজে পাবে না কোথাও তোমার মনের মর্মমূলের সেই অবাধ্য ভালোবাসার দুরন্ত সুনামি কে …. তবে হ্যাঁ এটুকু বুঝেছি যে কষ্টের বোঝা বাড়ায় , যাকে বারবার ছুঁড়ে ফেলায় অবহেলা য় , যেখানে বোধনেই বিসর্জনের বাজনা …. সে আর যাই হোক তোমার ভালোবাসার অংশীদার হতে পারেনি । সবটুকু ব্যার্থতা র দায়ভার তার ই ….. আর তো কাওকেই বলা যাবে না , একফোঁটা বৃষ্টির মতো ভালোবাসি । সেও প্রত্যুত্তরে বলবে না তোমার চেয়ে অনেক বেশী ।
সব কিছু বন্ধন থেকেই মুক্তি । এই মুহূর্তে ভালোবাসার কারা প্রাচীর পেরিয়ে জীবন নাটকে মঞ্চে তুমি একা । আমি তোমার সাথে নেই পাশে নেই …. থাকার দরকার ও নেই । আমি যে তোমার অনুভূতি তে মিশে । তোমার সংলাপে আমার বিরহ মিলনের স্বগত প্রলাপ । তোমার চোখের জলে আমার বেদনার বাষ্প । তোমার ঠৌটে আমার কামড়ে দেবার ছবি ।
আচ্ছা শেষ চিঠিতে কি এতোসব কেও বলে ? তবে অপূর্ণ থাকলো শিলাবতীর হাঁটু জলে পা ডুবিয়ে সূর্যাস্ত দেখা । হয়তো এই অপূর্ণতা ই আবার ….. না থাক …. কোনো কথাই নয় …. আমার মেরুদন্ড সোজা আছে কিনা , আমার ব্যাক্তিত্ব থাকলে আর বলবোনা , এমন কথা ই তো শুনেছি । তাই যাবার বেলায় নীরবতা কেই বড়ো করে দেখেছি । নীরবতার অপার স্রোতে মন্ত্রমুগ্ধের মতো হারিয়ে যাবার আগে ছোট্ট একটা কথা মনে করিয়ে দিই , অর্ধনারীশ্বর সত্যিই আজকের দিনে বড্ড অসহায়। পার্বতী আর সাদা বাঘের গল্পের ইতি এখানেই । শিব তো বনে বাদাড়ে শ্মশানে ছাই মেখে ঘুরে বেড়ায় …. আর ক্লান্ত পার্বতী র মুখে যখন সহস্র বলিরেখা ফুটবে …. তখন ঠিক তখন শেষবারের মতো সব নীলাভ পর্দা ছিঁড়ে সেই জাগতিক সত্যের প্রতিধ্বনি শোনা যাবে , দূর থেকে দূরে বনান্তরে ….. ভালোবাসি ভালোবাসি …. বৌ কথা কও পাখীর ডাক আর রাতের কালো আঁধারে অসহায় টুনটুনি ছানার গল্প আর বাজবে না।
আচ্ছা সব শেষে কি লেখা যায় ,,,, প্রাক্তন ????
আরে দূর বিয়েটাই তো ভাঙেনি,না ভুল বললাম ভেঙেছে । মন যেখানে নেই সেখানে সামাজিক বন্ধন যে অপবিত্র। যদিও আমার বৌ অগ্নিশিখা র মতো পবিত্র উজ্জ্বল , নবোদিত সূর্যের মতো উচ্ছল প্রাণবন্ত

ভালোবাসার সীমারেখায় দাঁড়িয়ে এই লেখা মর্মন্তুদ অসহায় আকুতির বহিঃপ্রকাশ ভাবতেও পারো আবার নাও পারো .. শুধু মর্মস্পর্শী কিছু শব্দ রেখে গেলাম নির্মম ভালোবাসার পদপ্রান্তে আমার প্রনতি জানিয়ে …..
সম্পর্কে যখন অবসন্নতা আসে তখন ঠিক এরকমই কাছের মানুষ অচেনা হয়ে যায় । মনে হয় সে বুঝি তার ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্যে ব্যাক্তি গরিমায় আঘাত করছে , তার আভিজাত্য শিক্ষা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলছে। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কাটাছেঁড়া করছে দীর্ঘ ভালোবাসার ।
এতো বোঝাপড়ার অভাব নিয়ে এতো আক্রমণের নগ্নতা নিয়ে ঘাড়ধাক্কার অর্থ ই হলো অপরপক্ষ পারলো না তার সবচেয়ে কাছের মানুষের কথা গুলো শুনতে , তাকে বোঝার চেষ্টা করতে ।
তুমি ও তাই করেছো …. যদি প্রানভরে ভালোবেসে থাকি তাহলে কর্পোরেট রিলেশন নয় ,,,,, কিসের দূরত্ব … কিসের লোক দেখানো ভদ্রতা ,,,, যেখানে মন খুলে কথা বলার আবহ থাকে না ।
বোঝাপড়া শব্দ টা আর কতোবার কতো ভাবে রিটার্ন আসবে আমার মনের চোরাকুঠুরিতে ….
শ্রদ্ধা আবেগ বিশ্বাস সব আছে বলেই তো অকপট সারল্যে নিজের অসহায়তা খারাপ লাগা মুহূর্ত অবলীলায় শেয়ার করেছি ….. তুমি নিতে পারোনি বা বুঝতে পারোনি এটা আমার ই ব্যার্থতা মনে করলাম , মন মানসিকতা যখন তীব্রভাবে একজনের সবকিছু কে সুন্দর করে তোলে মনের ক্যানভাসে। ভালোবাসা সেটাই।
আজ আর জানার ইচ্ছে কৌতুহল কিছুই নেই , যে তোমার ভালোবাসার মধ্যে মোহময় অনুভূতি তে আমার অবস্থান কতোখানি নীচে নেমেছে। কি হবে ব্যার্থ প্রত্যাশার মালা গেঁথে।
পৃথিবীতে চব্বিশ ঘন্টায় যতো সম্পর্ক নষ্ট হয় , তার সিকিভাগ হয়তো ঘৃনা বা বিদ্বেষে নয় ….
বেশী ভালোবেসেও বিকর্ষন আসে অভিকর্ষজ ভালোবাসায় । জন্মান্তর দূরের কথা …. একটা গোটা জীবনের ভগ্নাংশ ও তো পারলাম না আটকে রাখতে । অগ্নিস্নাত পরিশুদ্ধ নির্মল সে ভালোবাসার অধিকার নিয়ে আর দাঁড়াবো না আমার ভালোবাসার আয়নার সামনে, আমার মনের মানসীর সামনে।
যদি কখনও বাদল দিনের বাদল হাওয়ায় এক ফোঁটা বৃষ্টি তোমার ফর্সা সুন্দর নিটোল গালে এসে পড়ে। জেনো আমি বেঁচে আছি তোমার অভিনন্দন ভরা বানীতে। যদি কখনো ঝরা কুসুমকে পায়ে মাড়িয়ে দিয়ে যাও, জানবে ওটাই আমার পুরষ্কার শেষ বেলার।
অনেক নির্ঘুম রাত আমাকে শেখালো জীবন কাব্য নয়। কবিতা গল্পের সমাহার ও নয় …. সাহিত্য এক জীবন বোধ। জীবন তার কিছু বিক্ষিপ্ত অংশমাত্র। “কাছে এসো” কথাটা অকাল অন্ধকার গর্ভে সলিল সমাধি নিলো। তেঁতুল গাছ অর্জুন জঙ্গল কালো পিচ ঢাকা রাস্তা, বাড়ির ছাদ ব্যালকনি,বাজার হাট, কালীমন্দির, খেলার মাঠ, সর্ষেক্ষেত, গ্রীষ্মের দুপুর , শীতের সন্ধ্যা , রিমঝিম বর্ষামুখর দিন। সব থাকবে ,,,,, তুমি থাকবেনা …. এটাই সত্য ও ভবিতব্য। “নিয়তি কে ন বাধ্যতে “। সময় কতো নিষ্ঠুর তাই না ? চাইলে সে সব ঠিক করতে পারতো। কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো নির্মম রুক্ষ বাস্তবকে । আমি না হয় জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া অসফল একটা মানুষ। ভালোবাসার পাশাখেলায় নতুন এক ছলনায় আমার নিশ্চিত পরাজয় সেদিনই বুঝেছিলাম , যেদিন ঈশান কোনের দামাল হাওয়ায় প্রথম কেও বুঝতে চায়নি আমার অভিমানের দিনলিপি। যে সময় খুব কাছের একজন রক্তাক্ত করেছে আমার হৃদয় … আমার বেদনাবিধুর মনে তার চলে যাবার ছেড়ে যাবার আকুতি বারবার নিঃসঙ্গ চাতকের মতো আমাকে যন্ত্রনাদীর্ন দিন মাস উপহার দিয়েছে ….. সব অবলীলায় ভুলে চেয়েছিলাম তার সাথেই বাকী কটা বর্নময় বসন্তে পথ হাঁটবো।
আমার সেই চাওয়ার মধ্যে কোন রাগ অভিমান বা হাহাকার ছিলো না, ছিলো ভোরের আলোর পবিত্রতা , স্নিগ্ধতা। আকাঙ্ক্ষা ছিলো নবতর উপলব্ধির। তুমি আমার কবিতার মডেল বা সাধনসঙ্গিনী ছিলে না। ছিলে ক্লান্ত মনের শূণ্য বাগিচায় এক ঝলক টাটকা রোদ্দুরে ভেজা শ্বেতশুভ্র রজনীগন্ধা। দেবীর মতো। ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো এক পরম প্রাপ্তি।
দেড় বছরের একশো কবিতা তোমাকেই দিলাম।
কখনও এই একঝাঁক রোমান্টিক কবিতার বই প্রকাশিত হলে কালো কালিতে অনুপ্রেরণায় জ্বলজ্বল করবে তোমারই নাম। যতোই তুমি লাল দাগ টেনে দাও তোমার আমার ভালোবাসায়।
আমার অবচেতন মন আমার শূন্য হৃদয় মন্দিরে তোমার অধিষ্ঠান। কালের করাল গ্রাসে মন্দির মসজিদ ভেঙে পড়ে,ঐতিহ্য সংস্কার এসবের বিনাশ নেই। তুমিও এরকম নিষ্পাপ সুন্দর পবিত্র জ্যোৎস্নার মতো, উচ্ছ্বল ঝর্নার মতো, সময়ের স্রোতে কখনও আমার কাছে বদলাবে না। চুল পড়ে যায় দাঁত ভেঙে যায় … সহস্র বলিরেখা তোমাকে ঘিরে থাকবে ,,, তখনও এভাবেই ভালোবাসবো দূর থেকে। আমার প্রেমের বিনাশ নেই। ভালোবাসার মানুষ ঘৃনাভরে চলে গিয়েছে তো কি হয়েছে।তার মনে মন মেলাতে পারিনি বলেই সে পারলো না জীবন অভিযোজনে বদলাতে তার মানসিকতা . সব দায়ভার আমার।

“অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে “।আত্মার যেমন মৃত্যু নেই তেমনই ভালোবাসা তার নিজস্ব উপলব্ধি তার ও বিনাশ নেই। তবে তোমাকে জন্মান্তরে চেয়ে আর তোমার কষ্টের বোঝা বাড়াবোনা। অস্বস্তি যেটুকু প্রকাশ পেয়েছে হয়তো দ্বন্দ্ব সংঘাত তার কয়েকগুণ বেশী রক্তাক্ত করেছে তোমার হৃদয় …. ভালোবাসার শ্বেত গোলাপ আমি আমার বুকের রক্তে লাল করে পাঠালাম আমার চরমতম দুর্দিন। মনের গহন গভীরে জমা থাকলো সব সুন্দর মুহূর্তগুলো। তোমার চুলের গন্ধ মাখা বালিশ শুণ্য বিছানা শুধু নয়, ব্রহ্মপুত্রের বুকে নৌকোয় ভাসা হলো না , হলো না শিলাবতী র হাঁটু জলে পা ডুবিয়ে কাঁধে মাথা রেখে সূর্যাস্ত দেখা।
হয়ে উঠলো না হাতে হাত রেখে সাত পা হাঁটা ।
স্বাক্ষী থাকলো মহাকাল । তার তান্ডব নৃ্ত্যে আবারও মহা প্রলয় ….. দেবীর রুদ্র রোষে অশুর বিনাশ প্রলয়ঙ্করী মূর্তি ……. সব যেনো ধ্বংসের ইতিহাস।
শেষ খোলা চিঠিতে আক্ষেপ নেই , অনুযোগ নেই , অভিযোগ নেই , কোন অভিমান ক্ষুব্ধতা নেই, যা আছে তা শুধু ই নিষ্পাপ নিষ্পলক প্রেম ….. প্রেম আছে বলেই তোমার অমৃত দীপ্ত কথা ” তুমি মরলে বাঁচি ” মাথায় তুলে নিলাম …… সবটুকু স্মৃতি বিস্মৃতির অন্তরালে প্রদীপ শিখার মতো প্রজ্বলিত থাক …… তোমার আলোকিত ভুবনে সুখে থেকো। শান্তির সুরক্ষা বলয়ে তোমার বিস্তারিত ডানায় পেখম মেলে গাইতে থাকো তোমার জীবনের গান। আমি শুধু বলে যাই …. “তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা “

বিদায় …… হয়তো একথাই শেষ কথা। এ দেখাই শেষ দেখা নয়। সীমানার ওপারে যেখানে কোন বেড়া নেই সেখানেই অপেক্ষা করবো একঝলক দেখার। ওখানেই সব শেষ সব শান্তি সব শান্ত ।
বিদায় …. এতো রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা নয়। জীবনের কবিতা, উপলব্ধি র কবিতা।
অনেক লেখা বাকি থাকলো , অসম্পূর্ণ অসমাপ্ত একটা উপন্যাস …শেষ চিঠিটাও অসমাপ্ত।
ভালো থেকো, আর খুঁজবে না জানি , আর মন খারাপ করবেনা জানি , আর হাসির ঝর্নায় ভাসাবেনা জানি। জানি হারিয়ে যেতে নেই মানা। তবুও বলি , পারলে একা বৃষ্টিতে ভেজো, আমি কায়াহীন ছায়া দূর থেকে নয় তোমার অন্তর থেকে বলবো তুমি আমার প্রেমের মুক্তা। আমি তোমার মনের ভুল।
পারলে ক্ষমা করো।
ইতি
না থাক কিছু না… (কাল্পনিক চিঠি)

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


জানুন ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ শীলা অসোপা'র কথা

ত্তরাপথঃ ডঃ শীলা অসোপা, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যাম সদন, যোধপুরের অধ্যক্ষা, তিনি ১৭ বছর ধরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।তাঁকে শিশুদের শেখানোর নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, স্কুলের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়।  ডঃ অসোপাকে, যোধপুরে শ্যাম সদন, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১০ মাস আগে বদলি করা হয় । সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মাত্র দুটি কক্ষ ছিল।মেয়েরা টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে পড়াশোনা করত।  ঘর কম থাকায় গাছের নিচেও ক্লাস হত । তার কথায় ,সেই সময়টা বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে । এরপর টিনের চালা দিয়ে তৈরি কক্ষে কাঠের পার্টিশন দিয়ে ৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল

অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন

সালাদ খাওয়া'র সেরা সময়: খাবার আগে না পরে?

উত্তরাপথঃ আজকাল অনেক ডাইয়েটিশিয়ান সুস্থ থাকতে খাবারে বিশেষ করে সালাদ অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।  কারণ এতে অনেক ধরনের শাকসবজি, ডাল এবং ফল রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারি। কিন্তু সালাদ খাওয়ার সেরা সময় কখন তা নিয়ে মানুষ খুব বিভ্রান্তিতে পড়ে, খাবার পরে না আগে খাবে বুঝতে পারে না।কেউ কেউ যুক্তি দেন যে খাবারের আগে সালাদ খাওয়া হজমে সহায়তা করে এবং  বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করে,আবার আরেক দল বিশ্বাস করে যে খাবারের পরে এটি খাওয়া আরও উপকারী। আসুন উভয় দৃষ্টিভঙ্গি অন্বেষণ করি এবং প্রতিটি পদ্ধতির সম্ভাব্য সুবিধাগুলি বিবেচনা করি। খাবার আগে সালাদ খাওয়া: খাবারের আগে সালাদ খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। শাকসবজির উচ্চ ফাইবার সামগ্রী এবং জলের উপাদান পূর্ণতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে, যা মূল কোর্সের সময় ক্যালোরি গ্রহণকে হ্রাস করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top