রসায়নে CSIR Young Scientist Awards ২০২২ বিজেতা ড. নির্মল গোস্বামী

উত্তরাপথঃ করোনা মহামারীর পর সম্প্রতি Council of Scientific & Industrial Research আবার তাদের CSIR Young Scientist Awards দেওয়া শুরু করল। প্রসঙ্গত করোনা মহামারীর সময় এই পুরষ্কার প্রদান সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিল CSIR। ড. নির্মল গোস্বামী CSIR – ইনস্টিটিউট অফ মিনারেলস অ্যান্ড মেটেরিয়ালস টেকনোলজি থেকে রসায়নে তার অসামান্য অবদানের জন্য CSIR Young Scientist Awards ২০২২ পেয়েছেন। CSIR Young Scientist Award হল যে কোন CSIR ইনস্টিটিউটে কর্মরত তরুণ বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি ।CSIR এই পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের তরুণ বিজ্ঞানীদের ভারতে করা বিগত ৫ বছরের তাদের অসামান্য গবেষণাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এই পুরষ্কার প্রাপকেরা ২৫ লক্ষ টাকা গবেষণা অনুদান সহ একাধিক সুবিধা পান।

ড. নির্মল গোস্বামী বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজ থেকে রসায়নে সম্মানিক (B.Sc) ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে M.Sc. করেন। তারপর কলকাতার এস.এন. বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস (S. N. Bose National Centre for Basic) থেকে তার গবেষণা শুরু করেন ও ২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে PhD ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি বিস্তৃত গবেষণার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (National University of Singapore; ২০১৪ – ২০১৭ সাল পর্যন্ত) Department of Chemical and Biomolecular Engineering Professor Xie Jianping এর কাছে একজন রিসার্চ ফেলো হিসাবে কাজ শুরু করেন । ২০১৭ – ১৯ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবেও কাজ করেন।

তার গবেষণার বিষয় হল noble metal nanoclusters এবং তাদের biomedical applications। এছাড়াও তার গবেষণায় তিনি সক্রিয়ভাবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থেরাপির মতো কার্যকরী ন্যানোম্যাটেরিয়ালের বায়োমেডিকাল প্রয়োগের ক্ষেত্রটি নিয়েও কাজ করেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের দেহের কোষের কলাকৌশলের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে ফ্লুরোফোরের সাথে ন্যানোক্লাস্টারগুলি ব্যবহার করাও হয়ে থাকে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাতে ডায়াগনস্টিক কিট হিসাবে এর ব্যাপক প্রয়োগ বানিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে ।

খবরটি শেয়ার করুণ

1 thought on “রসায়নে CSIR Young Scientist Awards ২০২২ বিজেতা ড. নির্মল গোস্বামী”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top