রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশীর ভাগ দায়িত্ব শুভেন্দুর

উত্তরাপথ

ছবি সৌজন্যে:টুইটার

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশীর ভাগ দায়িত্ব শুভেন্দুর হাতে। ইতিমধ্যে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ের সভা, সমাবেশ শুরু করে দিয়েছে।তাতে সভার সংখ্যা কিংবা জেলার দায়িত্বে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।রাজ্য বিজেপির তালিকা অনুযায়ী অঙ্কের হিসাবে সুকান্ত ঘুরবেন সাতটি জেলায় আর শুভেন্দু নয় টিতে। সুকান্তর জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া,নদিয়া,কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া ও বীরভূম । অন্য দিকে, শুভেন্দুর দায়িত্বে রয়েছে  ঝাড়গ্রাম ,হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর,আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়া। বিজেপির দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ যে সব জেলা তার সবগুলিতেই শুভেন্দুকে পাঠাচ্ছে দল।গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় ভাল ফলের আশা করছে বিজেপি। এই জেলাগুলিতে শুভেন্দুর কমপক্ষে একটি করে বড় মাপের সভা করার কথা। তার নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে তিনটি বড় সভা করার দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

অন্যদিকে সুকান্তের সভা করার কথা যে সব জেলায়, সেগুলিও বিজেপির পক্ষে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে তিনি বড় মাপের জোড়া সভা করবেন ৫ ও ৬ জুলাই। আবার বিজেপির ‘পাখির চোখ’ কোচবিহারেও একটি সভা করবেন সুকান্ত। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও থাকার কথা। এছাড়াও বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে কোচবিহার,আলিপুরদুয়ারে একাধিক সভার করবেন বলে খবর।এছাড়াও দার্জিলিং জেলার মূল দায়িত্ব তার।তেমনই সাগরের জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরে বেশ কয়েক বার ওই জেলায় তিনি গিয়েছেন। এ ছাড়াও নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদেও বড় সভা করবেন দিলীপ ।  মুর্শিদাবাদের সভায় দিলীপের সঙ্গে থাকবেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। মালদহের বড় সভায় প্রধান বক্তা অবশ্য রাহুল একাই।

ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু বৃহস্পতিবার সভা করলেও আরও একটি বড় সভা হবে সেটিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। পশ্চিম বর্ধমানে অবশ্য বিজেপি প্রথম সারির নেতাদের কাউকেই দায়িত্ব দেয়নি। একটিই সভা হবে সেখানে থাকার কথা তিন সাংসদ— লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর। তবে এই তিন জনকেই নিজেদের জেলা অর্থাৎ হুগলি, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় সভার দিনে মঞ্চে থাকতে হবে। রাজ্য বিজেপির পক্ষে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব সাংসদ, বিধায়কেরাই নিজের নিজের জেলায় বড় সমাবেশে থাকবেন। যেমন পাহাড়ের সব কটি সভাতেই মঙ্গলের সঙ্গে থাকবেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি।  ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।  আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি।  এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।  সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে।  এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top