

উত্তরাপথঃ টিম ইন্ডিয়ার কোচ থাকবেন রাহুল দ্রাবিড়। বিসিসিআই তার মেয়াদ বাড়িয়েছে। ২৯ নভেম্বর বুধবার বোর্ড এর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত এর আগে ভারতীয় দলের কোচের পদে রাহুল দ্রাবিড়ের একটা দোটানার সৃষ্টি হয়েছিল।ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হতেই মাথাচাড়া দিয়েছিল এই প্রশ্ন। এমনকী রোহিত শর্মাদের নতুন কোচের দৌড়ে ভেসে উঠেছিল বেশ কয়েকটি ভারতীয় নামও। তবে আপাতত সেসব জল্পনা দূরে সরিয়ে ফের একবার কোচ হওয়ার দৌড়ে শোনা যাচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম (Rahul Dravid)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (WT20) শেষ হলেই রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। এমনটাই বোর্ড সূত্রের খবর। তবে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দাবি তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না!
রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের হাতে করে তৈরি করেছেন। তাঁদের শক্তি, দূর্বলতা হাতের তালুর মতোই জানেন দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দীর্ঘ ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। এছাড়াও গত দুবছরে কোচ হিসেবে তাঁর রেকর্ডও খারাপ নয়। তাই বিসিসিআই এখনই দ্রাবিড়কে নাকি আলবিদা বলতে নারাজ। শোনা যাচ্ছে, আরও দুবছর নাকি কোচ হিসেবে তাঁর মেয়াদ বাড়াতে চায় বিসিসিআই। তবে তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ টিম ইন্ডিয়া খেলবে তাঁর কোচিংয়েই।
এই প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই নাকি দ্রাবিড়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহর। তবে এখনও নতুন করে কোনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি যে ভারতীয় দলের সঙ্গেই যাবেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, চুক্তি চূড়ান্ত না হলে কি আদৌ দ্রাবিড় এই সফরে যেতে রাজি হবেন?তাছাড়া আসন্ন আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্ট (Lucknow Super Giants) কিংবা নিজের পুরনো দল রাজস্থান রয়্যালসে (Rajasthan Royals) ফিরতে পারেন ভারতীয় দলের এই কোচ।
তবে এখন পর্যন্ত যা খবর, আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই ফোকাস বোর্ডের। যেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে না থাকলেও ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে যোগ দেবেন দ্রাবিড়। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেতে পারেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া বলেছেন যে রাহুল দ্রাবিড় তার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না কারণ ভারতের কোচিং চাকরি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দ্রাবিড় রবি শাস্ত্রীর কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দুই বছরের জন্য নিযুক্ত হন যা ভারতকে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সাহায্য করে। বিসিসিআই দ্রাবিড়ের সাথে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল গত দুই বছরে তিনি যে কাঠামো তৈরি করেছিলেন তা ভারতীয় দলের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছে।তবে ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ কে হতে চলেছেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
আরও পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন