উত্তরাপথঃ চা ভারতের অন্যতম প্রিয় পানীয়।ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ এটি ছাড়া তাদের দিন শুরুর কল্পনাও করতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে দিনের যেকোনো সময় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনও ঋতুতে ভারতীয়দের চা-এ না নেই কখনও। ভারতে চা মানুষকে একত্রিত করে তা সে কর্মক্ষেত্র, রাস্তার ধারের প্রিয় স্টলে বা বাড়িতে বন্ধু/পরিবারের সাথে সর্বত্র চা কে কেন্দ্র করে চলে বিশাল আসর। সম্প্রতি, জনপ্রিয় খাদ্য ও ভ্রমণ নির্দেশিকা TasteAtlas ২০২৩- ২৪-এর জন্য তার বছরের শেষ পুরস্কারের অংশ হিসাবে পুরষ্কার প্রাপকের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারতীয় রন্ধনপ্রণালী, রেস্তোরাঁর পাশাপাশি রান্নার বইগুলিও বিশ্বতালিকায় স্থান পেয়েছে। TasteAtlas বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় অ্যালকোহল-বিহীন পানীয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মাসালা চা।
একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে খবরটি প্রকাশ করে, TasteAtlas লিখেছে,মসলা চা একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা ভারতে পাওয়া যায়। এটি কালো চায়ের দানা এবং দুধের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। এতে একটি মসলার মিশ্রণও দেওয়া হয়, যার মধ্যে সাধারণত এলাচ, আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি এবং কালো গোলমরিচ থাকে।যদিও মশলার পছন্দ এবং সঠিক অনুপাত প্রায়শই পরিবর্তিত হয়।
অন্যদিকে অ্যালকোহল-বিহীন পানীয়র তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে মেক্সিকোর আগুয়াস ফ্রেসকাস। TasteAtlas অনুসারে এই পানীয়টি “ফল, শসা, ফুল, বীজ এবং শস্যের মিশ্রণে চিনি এবং জলের সাথে মিশ্রিত করা হয়”।তালিকায় আশ্চর্যজনক ভাবে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারতের আম লস্যি। এর আগে, এটি ‘বিশ্বের সেরা দুগ্ধ পানীয়’ খেতাবও পেয়েছিল আম লস্যি।
খবরটি দেখে ভারতীয় নেটিজেনরা আনন্দিত। বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁরা। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমাদের মসলা চা,ভারতে অতিথিকে স্বাগত জানানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরন।“ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “মাসালা চা একটি পানীয় নয়, এটি একটি আবেগ।“
এর আগে, TasteAtlas ভারত থেকে আসা বাসমতিকে বিশ্বের সেরা চাল বলেছিল।তাদের ব্যাখ্যায় এই নির্দিষ্ট ধানের জাতটিকে যা আলাদা করে তা হল “একবার রান্না করা হলে, বাসমতির দানাগুলি পৃথক থাকে এবং একে অপরের সাথে লেগে থাকে না। শস্য যত দীর্ঘ হবে, চাল যত ভালো, এছাড়াও সেরা বাসমতি দানার চালে একটু সোনালি আভা থাকে।
আরও পড়ুন
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত শেষ করার জন্য G7 ঐক্যমত
উত্তরাপথ: বিশ্বের সাতটি ধনী দেশের শক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রীরা সম্প্রতি জ্বালানি এবং পরিবেশগত ইস্যুতে উত্তর জাপানের শহর সাপোরোতে বৈঠক করেন। G-7 বৈঠকে জড়ো হওয়া বিভিন্ন দেশের আধিকারিকরা তাদের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দিয়ে একটি কমিউনিক জারি করেছে। বৈঠকে বর্তমান সঞ্চিত জ্বালানি সংকট এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নেতারা দক্ষ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং দূষণ মুক্ত শক্তির উৎস সন্ধানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগেও .....বিস্তারিত পড়ুন
ব্রিজভূষন সরণ সিং ও মোদী ইমেজ
উত্তরাপথ: কে এই ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং ? কি করে তিনি হঠাৎ খবরের শিরোনামে ? তার বিরুদ্ধে ভারতীয় রেসলারদের অভিযোগ সত্বেও কেন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছেনা ? বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করছে তবু সরকার চুপ ? এটা কি মোদী ইমেজে ধাক্কা নয় ? না কি ২০২৪ এর রাজনীতির বাধ্য বাধ্যকতা ? প্রথমে আসা যাক ব্রিজভূষন সরণ সিং প্রসঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপির বাহুবলী নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা, কায়সারগঞ্জ এবং বলরামপু .....বিস্তারিত পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন
পরম সুন্দরী
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: চাকরির বাজার ভীষণ মন্দা। পাত্র সৃজিত এম. এস.সি পাশ করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না। অগত্যা পরিবারের ব্যাবসার হাল ধরেছে। পারিবারিক সূত্রে তাদের মিষ্টির বেশ বড় দোকান রয়েছে। সৃজিত পড়াশোনা তে বেশ ভালো ছাত্র ছিল। প্রতিদিন সকালে পেপারে চাকরির বিজ্ঞাপন খোঁজা তার একটি কাজ। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, বয়স তো থেমে থাকবে না। বাবা মা ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তারা কিছু দিনের মধ্যেই ছেলের বিয়ে দেবেন এরকম স্থির করেন। মোনালিসা ভূগোলে সদ্য এম.এ, পি. এইচ. ডি করে একই ভাবেই চাকরির খোঁজ করে যাচ্ছে। বাবা সুভাষ বাবু সরকারি .....বিস্তারিত পড়ুন