সুজলা বাংলা

উত্তরাপথ

কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত আদমশুমারি বলছে জলাশয়ের সংখ্যার দিক থেকে দেশের শীর্ষ পাঁচটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং আসাম । দেশের মোট জলাশয়ের প্রায় ৬৩ শতাংশ এই রাজ্যগুলির অধীনে। এই প্রথম জলশক্তি মন্ত্রক দ্বারা এই জাতীয় সমীক্ষা চালানো হল । আদমসুমানিতে  ভারতে মোট ২৪,২৪,৫৪০ টি জলাশয় গণনা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৭.১ শতাংশ অর্থাৎ ২৩,৫৫,০৫৫ গ্রামীণ এলাকায় এবং মাত্র ২.৯ শতাংশ  অর্থাৎ ৬৯,৪৮৫ শহরাঞ্চলে রয়েছে ।

আদমশুমারিটি গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মধ্যে বৈষম্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে  সীমাবদ্ধতার উপরে আলোকপাত করেছে এবং দেশের জল সম্পদের বিন্যাস  সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। শহুর এলাকায় জলাশয়ের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় শীর্ষ পাঁচটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং আসাম। আদমশুমারিতে আরও বলা হয়েছে যে ৫৯.৫ শতাংশ জলাশয় হল পুকুর, তারপরে ট্যাঙ্ক ১৫.৭ শতাংশ, জলাধার ১২.১ শতাংশ,  জল সংরক্ষণ প্রকল্প/চেক ড্যাম ৯.৩ শতাংশ , হ্রদ ০.৯ শতাংশ  এবং অন্যান্য ২.৫ শতাংশ।  আদমশুমারিতে আরও বলা হয়েছে  ৫৫.২  শতাংশ জলাশয় ব্যক্তি মালিকানাধীন ।  আদমশুমারিতে জলাশয়গুলির ধরন, অবস্থা, দখলের অবস্থা, ব্যবহার, সংরক্ষণের ক্ষমতা, স্টোরেজ সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


ওসাকা ক্যাসেল – ঐতিহাসিক এক দুর্গ ভ্রমণ

ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী, টোকিও, জাপান: কেল্লা বা দুর্গ এই নাম শুনলেই কল্পনায় ঐতিহাসিক ঘটনায় মোড়া রোমাঞ্চকর এক ভ্রমণক্ষেত্রের দৃশ্য ভেসে ওঠে। জাপানে এমন শতাধিক দুর্গ আছে যার সৌন্দর্য আজও যেমন বিমুগ্ধকর ঠিক তেমনি তার অতীতের সাদা কালো দিনের গল্প দর্শনার্থীকে অবাক করে। প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে দুর্গ তৈরি হয়ে আসছে, তবে ইতিহাস বলছে দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন ও গৃহ যুদ্ধের কারণে ১৫ শতকের গোড়া থেকে দুর্গের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। সামন্ত যুগে, জাপান বেশ কিছু ছোট ছোট স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়ই যুদ্ধ ঘোষণা করত এবং .....বিস্তারিত পড়ুন

কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

আগামী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কি সলমন খানকেও দেখা যাবে কলকাতায় ?

উত্তরাপথ: একেই বলে রথ দেখা কলা বেচা। এলেন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে,আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ।  কালো টয়োটা এসইউভি ডব্লিউবি০২এএন৬৬৪৯ গাড়িতে করে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে পৌঁছেযান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। অবশ্য রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়ের জন্য দু'বার দাঁড়াতে হয়েছিল গাড়িতে থাকা সুপারস্টারকে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকে সলমন খান। আগেই নিজের টালির চালার বাড়ির সামনে আটপৌড়ে শাড়িতে অপেক্ষায় .....বিস্তারিত পড়ুন

পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে

উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top