

ছবি সৌজন্য – উত্তরাপথ
অসীম পাঠক : অপূর্ব সুন্দর দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। পৃথিবীর পূর্বদিকে সোনার খনি বললেই আমাদের দেশকে সঠিক বোঝানো যায়। বিদেশী শক্তি চিরকালই রত্নগর্ভা এই ভারতবর্ষকে অধিকার করতে চেয়েছে।তারা এখানে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে।১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আম্রকুঞ্জে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ মনুষ্যত্বের অপমানের জঘন্যতম বোঝা ঘাড়ে নিয়ে থাকতে রাজি ছিলোনা।
শোসন শাসন পরাধীনতার বিরুদ্ধে হাজার হাজার দেশের মানুষ প্রান দিয়ে আমাদের দেশকে বৃটিশদের নাগপাশ থেকে মুক্ত করেছেন। ধাপে ধাপে পৌঁছে দিয়েছেন প্রাপ্তির সবুছ দ্বীপে। তাদের রক্তে রাঙা পথ আলোর পথ সূর্যের পথ মুক্তির পথ , অন্ধকার থেকে আলোয় বিবর্তনের পথ, যুগে যুগে নিপীড়িত মানুষের তীর্থের পথ। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট হলো সেই শুভদিন যেদিন আমাদের শৃঙ্খল মোচন হয়েছিল। ১৫ ই আগষ্ট ত্যাগ ও তিতিক্ষার প্রতীক। চিরন্তন মৃত্যু চেতনার শরীক। ৭৫ বছর আগে এশিয়ার পূর্বপ্রান্তে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার এই দেশে বহু প্রান বহু রক্ত বহু শ্রম বহু আত্মবলিদানের মূল্যে এ দেশের ত্যাগব্রতী মানুষ শান্তি মৈত্রী ও স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করেছিলেন দিল্লীর ঐতিহাসিক লালকেল্লায়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবীর বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে লালকেল্লায় উড্ডীয়মান সেই পতাকা শুধুমাত্র একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক ছিলো না। বিশ্বজনীন মৈত্রী ও কল্যানবোধের প্রতীক হিসেবে আমাদের এই ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা সেদিন বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের অকুন্ঠ অভিনন্দন লাভ করেছিলো। দ্বিধাগ্রস্ত পৃথিবীর বুকে মানব মহত্ত্বর বিজয় ঘোষণা করেছিল। দুঃখ ও বঞ্চনা পীড়িত ধরিত্রীর প্রানে অমৃতের চিরঞ্জীব বার্তা বহন করে এনেছিল। ৭৫ বছরের যাত্রাপথে একটি বৈপ্লবিক সত্যের, একটি জাতির দৃঢ় প্রতীতির, এক উজ্জ্বল প্রানময়তার, এক অকল্পনীয় হলদয় শক্তির প্রোজ্জ্বল ইতিহাসকে প্রনাম জানানোই ১৫ ই আগষ্টের উদ্দেশ্য।
ভারতবর্ষের বিগত ৭৫ বছরের ইতিহাস বহু পরীক্ষায় পরীক্ষিত। ভারতবর্ষ শান্তির পূজারী। কিন্তু বারবার এই শুভ ইচ্ছা আহত হচ্ছে প্রতিবেশীর বৈরীতায়। আজ সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ ভারতবর্ষের কাছে শান্তির পথনির্দেশ চায়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ মানব ইতিহাসের ক্রান্তিলগ্ন আজ সমাগত। সভ্যতার আদিম সূর্য মানুষকে অমৃতের সন্ধান দিয়েছিল। সত্য শিব ও সুন্দরের তপস্যায় অমৃত সন্ধানী মানুষ মানব মহত্ত্বর কালজয়ী আশ্বাস বহন করে অনেক যুগান্তর নির্ভয়ে অতিক্রম করে এসেছে। সেই সনাতন বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিকে চূড়ান্ত রূপদানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব এ যুগের মানুষকে সগৌরবে বহন করতে হবে। এ দায়িত্ব নবীন প্রবীন সবার। ভারতবর্ষের যুব সমাজের কাছে ক্লান্ত পৃথিবীর যে আকাঙ্ক্ষা তা যদি তাঁরা বাস্তবায়িত করতে পারেন তাহলে আজকের যে বর্তমান অনাগত প্রজন্মের কাছে অতীত হবে, সেই অতীতের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যৎ বংশধরেরা বলতে পারবে যে তাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁদের সময়ের যথাযথ সদ্ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। জরাজীর্ণ পৃথিবীকে মানুষের বাসোপযোগী করতে পেরেছিলেন। দেশের তরুনরাই হলো দেশের প্রান।
আমাদের সংবিধানে আমরা অঙ্গীকার করেছি সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা ভারতবর্ষের সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে। ভারতবর্ষের সংবিধানে যে গনতন্ত্রের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবল রাজনৈতিক গনতন্ত্র নয় , অর্থনৈতিক গনতন্ত্রও বটে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নানান প্রতিবন্ধকতায় সে লক্ষ্যের পথে সাধারণ নাগরিকেরা কন্টকের অভ্যর্থনা লাভ করছে বারেবারে। তথাপি স্থির নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি ব্যার্থ হবেনা, যদি আজকের ভারতবর্ষের বৈপ্লবিক রনধ্বনি হয় – দারিদ্র্য দূর করো , গরিবী হঠাও।
ভারতবর্ষের গৌরবান্বিত অতীতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই এই সত্য উপলব্ধি করা উচিত যে আমাদের নিয়তি আমাদের সামনে নৈরাশ্যের বিষপাত্র এনে হাজির করেনি। বিশ্বাসের দৃঢ়তায়, উদ্দেশ্যের স্থিরতায় সতর্ক পদক্ষেপে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।যে মহান মূল্যবোধ অতীত ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেছিলো বর্তমানে তা ম্লান হয়ে গেছে। বাঙালির জীবনে আজ নেমেছে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। বেকারত্ব ও বঞ্চনার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে আকাশ অরন্য নদী উত্তাল। ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ের হোলি খেলা চলছে। সন্ত্রাসবাদের কালো হাত ধ্বংসলীলায় মেতেছে। কতো যে তাজা সবুজ প্রান অকালে ঝরে যাচ্ছে কে তার হিসাব রাখে ? চারিদিকে এতো সব সর্বনাশা ধ্বংস তান্ডবের মধ্যে বসে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছি আমরা সবাই। সে যন্ত্রনার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায় যখন দেখি এইসব ধ্বংস ও সর্বনাশের মূলে আছে মানুষ। একদল মানুষের দানবীয় হিংসা লোভ আর চরম অপদার্থতাই এসবের জন্য দায়ী।
আমাদের সংবিধানে আমরা অঙ্গীকার করেছি সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা ভারতবর্ষের সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে। ভারতবর্ষের সংবিধানে যে গনতন্ত্রের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবল রাজনৈতিক গনতন্ত্র নয় , অর্থনৈতিক গনতন্ত্রও বটে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নানান প্রতিবন্ধকতায় সে লক্ষ্যের পথে সাধারণ নাগরিকেরা কন্টকের অভ্যর্থনা লাভ করছে বারেবারে। তথাপি স্থির নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি ব্যার্থ হবেনা, যদি আজকের ভারতবর্ষের বৈপ্লবিক রনধ্বনি হয় – দারিদ্র্য দূর করো , গরিবী হঠাও।
ভারতবর্ষের গৌরবান্বিত অতীতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই এই সত্য উপলব্ধি করা উচিত যে আমাদের নিয়তি আমাদের সামনে নৈরাশ্যের বিষপাত্র এনে হাজির করেনি। বিশ্বাসের দৃঢ়তায়, উদ্দেশ্যের স্থিরতায় সতর্ক পদক্ষেপে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।যে মহান মূল্যবোধ অতীত ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেছিলো বর্তমানে তা ম্লান হয়ে গেছে। বাঙালির জীবনে আজ নেমেছে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। বেকারত্ব ও বঞ্চনার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে আকাশ অরন্য নদী উত্তাল। ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ের হোলি খেলা চলছে। সন্ত্রাসবাদের কালো হাত ধ্বংসলীলায় মেতেছে। কতো যে তাজা সবুজ প্রান অকালে ঝরে যাচ্ছে কে তার হিসাব রাখে ? চারিদিকে এতো সব সর্বনাশা ধ্বংস তান্ডবের মধ্যে বসে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছি আমরা সবাই। সে যন্ত্রনার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায় যখন দেখি এইসব ধ্বংস ও সর্বনাশের মূলে আছে মানুষ। একদল মানুষের দানবীয় হিংসা লোভ আর চরম অপদার্থতাই এসবের জন্য দায়ী।
এতোসব সর্বনাশা তান্ডবের মধ্যে অতিক্রান্ত স্বাধীনতার ৭৫ বছর নতুন কোন আলোর প্রতীক কিনা তা জানার জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত। আজকের অসহায় যৌবন জনগণের অগ্রগামী সচেতন অংশের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চায় , হে নাবিক এ জীবন অপরিমেয় নাকি ? পৃথিবীর ভান্ডার থেকে হেমন্ত ফুরিয়ে গেছে। এখানে কোন সোনালী ফসলের বার্তা নেই, চারিদিকে কেবল নিঃসীম শৈত্যপ্রবাহ।আজকের প্রজন্ম স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর শহীদদের ভাবেন অপাংক্তেয় ফসিল।
আশাবাদী মানুষ ঘর বাঁধে নতুন স্বপ্নে, যে এইসব অজ্ঞতা একদিন দূরীভূত হবে। অন্ধকার ছিন্নভিন্ন হয়ে একদিন সোনালী প্রভাত উদিত হবেই।
ইতিহাসের অমোঘ বিধানে ইংরেজরা এ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলো, পেছনে রেখে গিয়েছিলো দীনতার পুঞ্জীভূত আবর্জনার ভস্মস্তূপ। কিন্তু ৭৫ বছরে এই সর্বগ্রাসী দীনতার বিরুদ্ধে দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সংস্কৃতিবান মানুষেরা সংগ্রাম করে চলেছেন। সমাজের অবহেলিত মানব গোষ্ঠীর জীবনে আজও দারিদ্র্য ও অনগ্রসরতার অভিশাপ তার মর্মান্তিক বোঝা নিয়ে অনড় হয়ে আছে। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৭৫ বছর পরেও যদি সমাজের দুর্বল অংশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব না হয় তাহলে দেশের সার্বিক ঊন্নতি কিভাবে সম্ভব ? একটা জাতি যদি ভন্ডামি মিথ্যাচার ও আত্মপ্রবঞ্চনার মাঝে ডুবে থাকে তাহলে দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥২০॥
ন, জায়তে, ম্রিয়তে, বা, কদাচিৎ,
ন, অয়ম্, ভূত্বা, ভবিতা, বা, ন, ভূয়ঃ,
অজঃ, নিত্যঃ, শাশ্বতঃ, অয়ম্, পুরাণঃ,
ন, হন্যতে, হন্যমানে, শরীরে ॥২০॥
অনুবাদ : আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না৷ তিনি জন্মরহিত শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।
যাঁরা জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে ভাবনাহীন চিত্তে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে ভারতবর্ষের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনেছিলেন তাঁরা আজ আমাদের সাথে নেই। কিন্তু তাঁদের বানী তাঁদের জীবনাদর্শ আমাদের চলার পাথেয়। আদর্শের মৃত্যু হয়না। শহীদদের সেই আলোর পথ ধরে যদি আমরা এগিয়ে যেতে না পারি তাহলে শুধুমাত্র জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কোন অর্থ হয়না।
আজো গায়ে কাঁটা দেয় অগ্নিযুগের সেই লোমহর্ষক কাহিনী, সেই গান
“সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মেঁ হ্যায়”।
কালের কঠোর আঘাতে অমলিন সেই স্বাধীনতার ইতিহাস আমরা যতোবার অনুধাবন করবো , অনুসরন করবো , ঠিক ততবারই কবির কথায় , “আমার সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবে ফুল ফুটবে
আমার সকল ব্যথা রঙিন হয়ে গোলাপ হয়ে উঠবে”। আর যথার্থ শ্রদ্ধাঞ্জলী হবে সোনার ভারত তৈরী। বিদ্রোহী কবির কবিতা আজ কি ভীষণ প্রাসঙ্গিক, “গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।–”
অভুক্ত থাকবেনা কেও যেদিন একমুঠো খাবারের জন্য যেদিন লড়াই থাকবেনা , যেদিন গ্রাম বাংলার মেয়েরা ধর্ষিতা হবেনা, নারী পুরুষ সমানাধিকার আসবে সেদিনই আসবে আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা।।
আরও পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন