অঙ্গীকার

প্রচ্ছদ অনসূয়া

অসীম পাঠকঃ আমার নীলাঞ্জনা, অতিক্রান্ত সময়ের ভেলায় কখন যেনো দু বছর পেরিয়ে এলাম।
ভালোবাসা বিশ্বাস মর্যাদার দুটো বছর …রাত্রির গভীর বৃন্ত ছিঁড়ে আর একটা ফুটন্ত সকালের অপেক্ষায় …. যেখানে এই লেখা বৃষ্টি ভেজা তরুণীর মনের গহন গভীরে সাজানো।এই সুদীর্ঘ সময় পরিপূর্ণ করেছো ভালোবাসায় তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই–. কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই ॥অনন্ত শাশ্বত প্রেমে আমি যেনো নিমগ্ন।
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।সময়ের খাতায় সম্পর্কের নতুন সমীকরনে তিন বছর হলেও এক অনন্য মর্যাদায় বিভূষিত দু বছরে অনেক কাছ থেকে তোমাকে দেখা। তোমার জন্য একটা জন্ম সত্যিই কম পড়ে যায় …..রাগ অভিমান অনুরাগ বিরহ সবটুকু মোহময় অনুভূতি কবিতা গল্পে অসীমের শব্দ বিন্যাসে আঁকা। কালো অক্ষর গুলো প্রানের অভিষেকে অভিনিষিক্ত।

দু বছরে উজ্জ্বল আলোমাখা মুহূর্তগুলোর কথাই না হয় বলি আজ।
কতবার প্রশস্ত রাজপথ ধরে হেঁটে চলা , তোমার পাগলী কোমরে আমার অস্থির হাত ।
তোমার ভালোবাসার রবিবাবুর গানে কবিতায় দৃপ্ত আত্মপ্রত্যয়ে এক নতুন সকাল।
ফার্ম হাউসে মায়াবী সূর্যাস্তে ছলছল চোখে ভালোবাসার বর্ন নিবিড় উচ্ছ্বাস বুকে তোমাকেই জড়িয়ে থাকা।
রিমঝিম বৃষ্টিতে দোতলার ব্যালকনিতে আমার কাঁধে মাথা রেখে কাঁচের শার্সি তুলে হাত বের করে বৃষ্টির জল এনে আমার গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া। কি দুরন্ত মজা।
নীল সমুদ্রে পা ডুবিয়ে তোমাকে জড়িয়ে আদিম অনুভূতি তে আচ্ছন্ন যেনো আমি।
তারাভরা আকাশের নীচে হাতে হাত রেখে চোখের জলে না বলা কথা গুলোকে অজস্র বার পড়ে নেওয়া।
শারদ উৎসবের সেই আলোভরা রাত …
জঙ্গলমহল সফরে কফিতে চুমুক দিয়ে তোমার সাথে হরেক খুনসুটি।

এই নীলাঞ্জনা কোথায় নেই তুমি ????

তেঁতুল গাছের সেই পেত্নীটা আমার আদরের বউ।
আর বেলতলার শাঁখচুন্নী সেটাইতো আমার সাধনার পরম ধন।

তোমার কথাতেই বলি …. যে কথা আমার মনে গাঁথা — ” “তুমি স্বপ্নের চেয়েও মায়াময়
তাই তোমাকে নিয়ে এত ভয়”….

এ কথার উপরে আমার প্রাপ্তির ভান্ডারে আর কি বাকি আছে বলো সব তো দিয়েছো ……

রোমান্টিক ছেলেবেলার সেই সব অকথিত অসমাপ্ত মিষ্টি প্রেমের অনুভূতি সবটুকু যে তোমায় ঘিরে সুচরিতা।

আকাশের নীলিমায় মাঠের সবুজ গালিচায় রক্তাভ রোদে
মায়াবী রাতে
সব জায়গায় তুমি শুধু তুমি।

চাঁদ আর নীলকন্ঠ পাখির গল্পে দখিণ সমুদ্রের অভিসারে সূর্যের আলোয় লেখা থাকবে আমাদের মিষ্টি প্রেমের গল্প ।
কখনও আমার কথা ভাবতে ভাবতে বুকের জমিনে বুনেছিল একদিন শ্বেতকরবী , আবার কখনও এক সমুদ্র অভিমানে হারিয়ে যাও বিরহী তেপান্তরে।
আমি তখনও ভালোসার জলসাঘরে একা একাই খুঁজে চলি বিরহের যন্ত্রণা ময় দিনলিপি।
নদীরা বয়ে যায় , বয়ে যেতে হয় বলে নারীরা ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভেসে ভেসে একদিন ডুবে যায় মৃত স্বপ্নের দিঘীতে।

যদি কেউ দুরন্ত ঝড়ে হঠাৎ করে ভালোবাসার গল্প বলে, তোমার মনোবীনায় সে ভালোবাসাকে আস্কারা না দিয়ে বরঞ্চ আমায় খোঁজো তোমার শাড়ির ভাঁজে। চেনা বই এর মিষ্টি গন্ধে।

ভালোবাসা বেশি শব্দ বোঝে না বোঝে অখণ্ড নীরবতা , উড়ন্ত পাখির ডানার মতো নিঃশব্দতা।

যতই তুমুল ঝগড়া করি ,হৃদয় রক্তাক্ত করি ,প্রবল তর্ক করি …. তবুও ছেড়ে থাকতে পারি না … এক মুহূর্তের জন্য ও না।

তুমি যখন চিরতরে ছেড়ে যাবার ভয় দেখাও নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমি তোমাকেই খুঁজছিলাম কৈশোর থেকে এতদিন l
তোমীর জন্য খুলে রাখি প্রতিনিয়ত আমার হৃদয়ের নিঃশব্দ বাগানখানি।

মাঝে মাঝে নিস্তব্ধ নিশুতি রাতে একটি অদ্ভূত স্বপ্নে ভিজে যাই দেখি আমার স্বপ্নের বাড়িটা, আমরা যার নাম রেখেছিলাম নীলাঞ্জনা প্যারাডাইস।
ভরা জোছনায় চাঁদনী আলোয় ভেসে যাচ্ছে অবিরত। বেডরুমে খোলা জানালার সামনে টকটকে লাল রঙের নাইট গাউনে স্নান সেরে তুমি যেনো নীল ইশারায় আমাকে ডাকছো। ভেজা চুল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল চুঁইয়ে পড়ছে তোমার বুকে পিঠে , তুমি যেন মোহময়ী।
পর্দা ফুঁড়ে আসা নীলাভ আলোয় তুমি আলেয়া।
আমি তখন স্টাডি রুমে তোমার পছন্দসই কবিতা লিখছি একমনে। নীল পাঞ্জাবীতে ল্যাভেন্ডার ডিউ এর মিষ্টি সুগন্ধে গোটা ঘর আচ্ছন্ন। চোখ তুলে দেখছি তোমাকেই। অস্পষ্ট আলো আঁধারে নরম আদরে আমি যেনো সিক্ত অভিনিষিক্ত তোমার ভালোবাসার নির্ঝরিনী প্রবাহে অবগাহনরত আমি তোমাতেই । কখনও মৃত্যু এলে তাকে বলবো , একটু সময় দাও , আমার সুচরিতা অমার নীলাঞ্জনার কাছে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে আসি ….
আমার স্বপ্নের গভীরে মঞ্জরিত তোমার আকন্ঠ উষ্ণতা আর আমার বুকের গভীরে সঞ্চারিত তোমার নিঃশ্বাস।

You are my ever green love
Among all lovely things my Love had been, Had noted well the stars, all flowers that grew …… My heart leaps up when I behold A rainbow in the sky: So was it when my life began …..

সেই দামাল হাওয়ায় তুমিই তো ছিলে কৈশোরের প্রথম প্রেম , যৌবনের বিলাস আর বার্ধক্যের আশ্রয়।

তুমি যখন উদাস হয়ে গাও , আমি যে তখন তোমারই কোলে মাথা রেখে তোমাতেই বিভোর …

আমার সব দুষ্টুমি তুমি অবলীলায় গায়ে মেখে নাও।

কতগুলো নিস্তব্ধ নিশুতি রাতে শুধু দুজনে …. কথা বলতে বলতেই কখন যেনো সকাল , তবুও কথারা ফুরোইনি …

দু বছরে তুমি আমার বেস্ট টীচার, আমার আইকন। আমার প্রানের প্রতিমা, আমার পার্বতী।

আমার সহযোদ্ধা সহযাত্রী সহধর্মিণী।

হিমালয়ের বুক যেখানে গঙ্গার উৎসমুখ ….
সেখান থেকেই প্রবাহিত আমাদের ভালোবাসা।
সে চাঁদের আলোর মত পবিত্র …. জ্যোৎস্না বিধৌত হৃদয়ের সমভূমি জুড়ে সে যেনো লক্ষ অর্কিডের মেলা। সহস্র শ্বেত শুভ্র ফুলের মতো সুন্দরতর।

তোমার শাসন তোমার ঝগড়া তোমার নিরামিষ নীরবতা আর আমিষ ইমোশন সব যে আমার ভালোলাগার ঊর্ধ্বে

তুমি বিধাতার মহান দান , আমি নতজানু ঈশ্বর আল্লাহর কাছে চিরকাল

তোমার প্রতি অকৃপন সম্মান শ্রদ্ধা য়েনো চিরকাল অটুট থাকে এটুকুই প্রার্থনা।

তুমি বিস্ময়ের আরেক নাম , তুমি বিমুগ্ধ স্বরলিপি আমার হৃদয় স্বরগমের

আমি দিন মাস বছর হিসাব করিনা …. আমি হিসাব রাখি কত সমুজ্জ্বল মুহুর্ত প্রজাপতির মেলায় তুমি আমার গলার মালা হয়ে দুলেছো সেটুকুই রেখে যাবো সময়ের শাসনে বন্দী পৃথিবীর অসহায় প্রহরে।

স্বপ্ন মাখা পড়ন্ত আলোর বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে আমার সব লেখা সমস্ত জাগতিক অনুভূতি তোমার করে নিও ….
এটুকুই আজকের দিনে উপহার তোমাকে

“O breathe a word or two of fire!
Smile, as if those words should burn me,
Squeeze as lovers should—O kiss
And in thy heart inurn me—
O love me truly!”

আমার রক্ত মাংসের সমস্ত সত্তা ছাড়িয়ে সর্বৈব অনুভূতি এক আকাশ অভিমান সাত সমুদ্র ভালোবাসা সেই তোমাকেই
সীমার মাঝে অসীম

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top