

ছবি – টুইটার
উত্তরাপথঃ আইপিএলের ‘মূল্য ও সম্পদ এবং ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে নজির গড়ল আইপিএলের ১৬তম মরশুম। তবে শুধু পুরুষ আইপিএলই নয়, উদ্বোধনী মরশুমে নজর কাড়ল মহিলা আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালুও। এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হউলিহন লকি।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বর্তমানে সম্পদ হিসেবে আইপিএলের (IPL 2023) মূল্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে যা ছিল ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে একলাফে উন্নতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। সেই সঙ্গে এই টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৬,৬০০ কোটি টাকা। ব্র্যান্ড ভ্যালুর নিরিখে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির তালিকার শীর্ষে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। এরপরই তালিকায় রয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)।
প্রথমবার গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের তরফে আইপিএলের ব্র্যান্ড মূল্যের হিসেব করা হল।বর্তমানে এই টুর্নামেন্টটি দেশের জন্য ঠিক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, এই রিপোর্টে সেই বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। হউলিহন লকির দাবি, আগামী দিনে এটি আরও জনপ্রিয় হবে। আর সেই সৌজন্যে ভবিষ্যতে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আই পি এলের প্রতিটি দলের ব্রান্ড ভ্যালু কার কত-
লখনউ সুপার জায়ান্টস – ৭০৯০ কোটি। ফার্স্টপোস্ট জানিয়েছে যে RPSG গ্রুপ ২০২১ সালের IPL নিলামে লখনউ-ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিড জিতেছে। RPSG গ্রুপের ট্রান্সমিশন, পাওয়ার এবং এনার্জি এবং ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস কোম্পানি রয়েছে।
গুজরাট টাইটানস – ৫৬০০কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, আহমেদাবাদ-ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটানসকে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম, সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারস ৫৬০০ কোটি টাকায় কিনেছে। GT ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স -৮৫০কোটি। মুকেশ আম্বানি ২০০৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে কেনার জন্য ৮৫০ কোটি টাকার বিড করেছিলেন, যা আইপিএল দলগুলির জন্য প্রথম নিলামে কোনও মালিকের দ্বারা ব্যয় করা সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর – ৮৪৫ কোটি টাকা। বিজয় মালিয়া ৮৪৫ কোটি বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করে ব্যাঙ্গালোর-ভিত্তিক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি RCB-এর জন্য বিড জিতেছেন।
চেন্নাই সুপার কিংস – ৬৮৯ কোটি। CSK হল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে সফল দল যা বিখ্যাত সিমেন্ট নির্মাতা এবং সরবরাহকারী, ইন্ডিয়া সিমেন্টস দ্বারা কেনা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানিটি বিড জেতার জন্য ৬৮৯ কোটি টাকা চালায়।
দিল্লি ক্যাপিটালস – ৬৩০ কোটি টাকা। দিল্লি ক্যাপিটালস ২০১৮ পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নামে পরিচিত ছিল এবং তারপরে এটি বর্তমান নামে পরিচিত হয়।
পাঞ্জাব কিংস – ৫৭৬ কোটি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নামে পরিচিত পাঞ্জাব কিংসকে ৫৭৬ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল। বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এবং একদল ব্যবসায়ী নেস ওয়াদিয়া, করণ পল এবং মোহিত বর্মণ দলটি কিনেছিলেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স – ৫৬৯কোটি। রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং মেহতা গ্রুপ কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার জন্য ৫৬৯ কোটি টাকা দিয়েছে। রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট শাহরুখ খানের মালিকানাধীন, আর মেহতা গ্রুপের মালিক জুহি চাওলার স্বামী, জয় মেহতা।
রাজস্থান রয়্যালস – ৫০৮ কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রেসকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইমার্জিং মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে যৌথ অংশীদারিত্বে ৫০৮ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ – ৪২৫ কোটি। ডেকান চার্জার্স লিগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ২০১২ সালে SUN গ্রুপ দ্বারা কেনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন