উত্তরাপথঃইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এবং লাভজনক T20 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। লক্ষ লক্ষ ভক্ত তাদের প্রিয় দলগুলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার জন্য টিউন ইন করে, এটি একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা হয়ে উঠেছে। যাইহোক, আইপিএল জুয়া খেলার প্রচার করছে নাকি আসলেই ক্রিকেটারদের স্তরকে উন্নত ও উন্নীত করতে সাহায্য করছে তা নিয়ে চলমান বিতর্ক রয়েছে।
আইপিএলের বিরুদ্ধে একটি যুক্তি হল এটি জুয়াকে উৎসাহিত করে। ম্যাচগুলিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজি ধরার সাথে, উদ্বেগ রয়েছে যে লিগ ভক্তদের মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন জুয়া খেলাকে উত্সাহিত করতে পারে। উপরন্তু, অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাপের বিস্তার ব্যক্তিদের পক্ষে ম্যাচগুলিতে বাজি রাখা সহজ করে তুলেছে, যা সমাজের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আরও উদ্বেগের দিকে পরিচালিত করে।
যাইহোক, এটাও যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে আইপিএল আসলে ভারত এবং সারা বিশ্বের ক্রিকেটারদের স্তর বাড়াতে সাহায্য করছে। টুর্নামেন্টটি তরুণ, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যাতে তারা বিশ্বব্যাপী তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে এবং মূল্যবান এক্সপোজার লাভ করে। অনেক খেলোয়াড় যারা আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেছে তারা তাদের জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছে।
উপরন্তু, IPL ক্রিকেট খেলার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, উদ্ভাবনী কৌশল, নতুন কৌশল এবং দ্রুত গতির ফর্ম্যাটের প্রবর্তনের মাধ্যমে। এটি খেলোয়াড়দের তাদের দক্ষতা বিকাশ করতে এবং গেমের বিকাশমান প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করেছে। আইপিএল-এর তীব্র প্রতিযোগিতাও খেলোয়াড়দের ক্রমাগত তাদের কৌশলগুলির উন্নতি ও পরিমার্জন করতে বাধ্য করেছে, যার ফলে ক্রিকেট খেলার উচ্চ মানের দিকে পরিচালিত হচ্ছে।
যদিও আইপিএলে জুয়ার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ থাকতে পারে, ক্রিকেটারদের উন্নীতকরণ এবং উন্নীত করার ক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিকগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল তরুণ খেলোয়াড়দের তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে, খেলার পদ্ধতিতে বিপ্লব এনেছে এবং খেলোয়াড়দের ক্রমাগত উন্নতি ও মানিয়ে নিতে ঠেলে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত, আইপিএলের সাফল্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের প্রতিভা এবং উৎসরর্গের প্রমাণ।
আরও পড়ুন
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত
উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন
হয়ে গেল পরিণীতি ও রাঘবের এনগেজমেন্টে
উত্তরাপথ: আংটি বদলের মাধ্যমে হয়ে গেল পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার এনগেজমেন্টে । পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে একে-অপরকে আংটি পরিয়ে দিলেন রাঘব-পরিণীতি। শনিবারের মায়াবী সন্ধ্যায় রাঘব ও পরিণীতির জুটি থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। এনগেজমেন্টে পরিণীতি পরেছিলেন ক্রিম রঙের সালোয়ার স্যুট। অপরদিকে রাঘব পরেছিলেন সাদা রঙের কুর্তা-পায়জামা। পরিণীতি ও রাঘবের এনগেজমেন্টে তাদের গোটা পরিবারকে দেখা গেল আনন্দ করতে। .....বিস্তারিত পড়ুন
নজরুল গবেষক কল্যাণী কাজী মৃত্যু
উত্তরাপথ: বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী কল্যাণী কাজী শুক্রবার ভোরে কলকাতার পি জি হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্য জনিত কারণে ৮৮ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।কাজী নজরুল ইসলামের পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের সহধর্মিনী এবং নজরুল গবেষক কল্যাণী কাজী।সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শিল্পী কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, .....বিস্তারিত পড়ুন