

উত্তরাপথঃ এখনও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এন্টিবায়োটিক ছাড়া কোনো রোগ থেকে দ্রুত নিরাময় করা যায় না। তাদের এই বিশ্বাস থেকে তারা কাশি, সর্দি এবং জ্বরের মতো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাতেও মুঠ মুঠ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে চলেছে। ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, ১৯৯০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইমিউন ওষুধের অকার্যকরতার কারণে মারা যাচ্ছে, সেই সাথে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে আগামী ২৫ বছরে ৩.৯ কোটিরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।
সেই সাথে সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রকৃতপক্ষে, এই বয়সের মধ্যে মৃত্যুর হার ৮০% এর বেশি ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা বা ভুলভাবে ব্যবহার করা শরীরের ভাল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুধুমাত্র একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন এবং সঠিক ডোজ অনুসরণ করুন।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং নীতিনির্ধারকরাও অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ে চিন্তিত। তারা এই ওষুধের অপব্যবহার রোধে প্রবিধান কঠোর করতে চায়।ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো দেশে সমস্যা আরও খারাপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে । আমরা কীভাবে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করছি সে সম্পর্কে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য ডিজাইন করা এই ওষুধগুলি অকার্যকর হয়ে যায় কারণ জীবাণুগুলি এই ওষুধগুলিকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বিকাশ করে।বয়স্ক ব্যক্তিরা এ ধরনের ওষুধ বেশি ব্যবহার করছেন। তাই তাদের উপর অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রভাব অনেক বেশী ।এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে বিশেষজ্ঞদের, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন করা উচিত। সেইসাথে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং নীতি নির্ধারকদেরও এই ধরনের ওষুধের ব্যবহার ও বিক্রয় সংক্রান্ত বিধিবিধান কঠোর ভাবে অনুসরণ করা উচিত।
মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ আপনার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে সর্বদা একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং সুস্থ থাকার জন্য তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
আরও পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন