![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/11/image-3.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/11/image-3.png)
ঋণের টাকা শোধ করতে ছেলেকে বিক্রির সিদ্ধান্ত ছবি প্রতীকী
উত্তরাপথঃ এ যেন শাহরুখ খানের বাস্তবের জবান। ঋণ করে সামান্য কিছু জমি কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঋণই যে কাঁটার মতো গলায় চেপে বসবে তা কে জানত! শেষ পর্যন্ত ঋণের টাকা শোধ করতে ছেলেকে বিক্রি করার জন্য রাস্তায় বসলেন বাবা। চমকে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। ফুটপাথে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বাবা বসে আছেন। প্ল্যাকার্ড হিন্দিতে হাতে লেখা। যার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায়, ‘‘ছেলে বিক্রি আছে। আমি আমার ছেলেকে বিক্রি করতে চাই।’’ এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আবার প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থা।
আলিগড়ের ই-রিক্সা চালক রাজকুমার। দারিদ্রের সঙ্গে নিত্য সংঘর্ষই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ই-রিক্সাটিই রোজগারের একমাত্র উপায়। সেই রাজকুমারই নিজের ছেলেকে বিক্রি করতে ফুটপাথে বসেছেন। ৫-৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।কিন্তু কেন ছেলে বিক্রি করতে হচ্ছে রাজকুমারকে?
সূত্রের খবর, ছোট্ট একটি জমি কেনার জন্য স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন রাজকুমার। কিন্তু অভিযোগ, ওই মহাজনের হস্তক্ষেপে রাজকুমার আর সেই জমি কিনতে পারেননি। ঋণ করা টাকাও জলে যায় রাজকুমারের। ঋণের দায়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজকুমার। অন্য দিকে, মহাজন টাকা তুলতে অত্যাচার শুরু করেন। রাজকুমারের অভিযোগ, একাধিক বার তাঁর পরিবারকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে মারধরও করা হয়েছে । এমনকি টাকা না পেয়ে রাজকুমারের ই-রিক্সাটিও মহাজন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সব হারিয়ে অসহায় রাজকুমার স্থির করেন, নিজের ছেলেকেই বিক্রি করে দেবেন। সেই অনুযায়ী, প্ল্যাকার্ড লিখে ফুটপাথে বসে পড়েন স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে।
রাজকুমার বলেন, ‘‘টাকা ফেরত চেয়ে মহাজন মাঝেমাঝেই আমার ছেলেমেয়ের সামনে আমাকে মারধর করতেন। বাড়ি থেকে আমাদের কত বার বাইরে বার করে দিয়েছেন। আমার উপার্জনের একমাত্র পথ রিক্সাটিকেও বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছেন। থানায় গেলে ধমক দেয়। আমার এফআইআর-ও নেয়নি পুলিশ।’’ রাজকুমারের দাবি, ইতিমধ্যেই তিনি ঋণের ছ’হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাকি টাকাও ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মহাজনের অত্যাচার সীমা ছাড়ায়। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঋণের টাকা শোধ করতে ছেলেকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মোতাবেক ফুটপাথে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন। এমন দৃশ্য সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। লাগে রাজনীতির রং। বিষয়টিকে প্রকৃত অমৃতকালের সঙ্গে তুলনা করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব। তার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত মহাজনকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয়। রাজকুমারও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি: স্লিপ অ্যাপনিয়া দীর্ঘ কোভিড ঝুঁকির সাথে যুক্ত
উত্তরাপথ: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিকভার ইনিশিয়েটিভ এবং এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের একটি সমীক্ষা অনুসারে কোভিড পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণগুলির জন্য ১২-৭৫% কোভিডের ঝুঁকি বেড়েছে, যা সরাসারি স্লিপ অ্যাপনিয়ার সঙ্গে যুক্ত । অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি প্রায় নেই । .....বিস্তারিত পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত শেষ করার জন্য G7 ঐক্যমত
উত্তরাপথ: বিশ্বের সাতটি ধনী দেশের শক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রীরা সম্প্রতি জ্বালানি এবং পরিবেশগত ইস্যুতে উত্তর জাপানের শহর সাপোরোতে বৈঠক করেন। G-7 বৈঠকে জড়ো হওয়া বিভিন্ন দেশের আধিকারিকরা তাদের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দিয়ে একটি কমিউনিক জারি করেছে। বৈঠকে বর্তমান সঞ্চিত জ্বালানি সংকট এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নেতারা দক্ষ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং দূষণ মুক্ত শক্তির উৎস সন্ধানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগেও .....বিস্তারিত পড়ুন
যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি
ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন