এক অপরিচিত রূপ কথা

 প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ মার্থা ম্যাটিলডা হার্পার নামটির সঙ্গে হয়ত খুব বেশি মানুষ পরিচিত নন কিন্তু তাঁর আবিষ্কার এখনও স্ব মহিমায় বিরাজ করছে আধুনিক যুগে সৌন্দর্য চর্চায়। বহু মানুষ , যাঁরা বিউটি সালন এর উপভক্তা এবং সেখানে চুল কাটাতে যান অথবা হেয়ার স্পা ও চুলের যত্ন নিতে নানা বিধ পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাঁরা কিন্তু মার্থার কাছে চিরঋণী। 

ঘটনাটা আজকের নিরিখে অতি সাধারণ হলেও তার পিছনের ইতিহাসটা চমকে দেওয়ার মত।একজন অতি সাধারণ গৃহস্থ পরিচারিকা থেকে একজন অসাধারণ বিসনেস ওমান হয়ে ওঠা ও পাঁচশোর বেশি হেয়ার সালনের মালকিনে  পরিণত হাওয়া হয়ত সহজ নয়। তবে ইচ্ছা আর ধৈর্য থাকলে যে কোনও কিছুই অসম্ভব নয় তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ এই মার্কিন মহিলা।

মার্থার জন্ম কানাডায় এক দরিদ্র দর্জি পরিবারে। দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করার জন্য মার্থার বাবা মাত্র সাত বছর বয়সে তাঁকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢুকিয়ে দেন। মার্থা প্রায় বাইশ বছর বয়স পর্যন্ত সেই কাজ করে চলেন। তাঁর না ছিল শিক্ষা দীক্ষা না ছিল ব্যাক্তি স্বাধীনতা। দীর্ঘ দিন পর তিনি স্থান বদল করে এক জার্মান ডাক্তারের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে যোগ দেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের। 

ডাক্তার ভদ্রলোক নিজেই ,মাথার চুলের বৃদ্ধির জন্য নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেন আর মার্থা তাঁকে এবিষয়ে সহযোগিতা করতেন। যুবতী মার্থার উৎসাহ দেখে ডাক্তার ভদ্রলোক তাঁকে চুলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, যত্ন ও চুলের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত নানান প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে শিক্ষা দিতে লাগেন। মার্থাও যোগ্য শিষ্যের মত সে বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠলেন। আর নিজের ওপর এমনই সব পদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি হয়ে উঠলেন এক ঢাল ঘন বাদামী চুলের অধিকারিনী। গল্পটা অনেকটা রাপুঞ্জেল এর রূপকথার মতনই। এ হেন সফলতা অর্জনের পর মার্থার ডানা মেলার আয়োজন শুরু হলো। তিনি পারি দিলেন নিউইয়র্কের রচেস্টার শহরে। তখন তাঁর বয়স প্রায় পঁচিশ। কাজ নিলেন নতুন বাড়িতে। সেখানে অবসর সময়ে পিছনের বাগানে চলতে লাগলো তাঁর নিজস্ব ফর্মুলায় হেয়ার টনিক বানানোর কাজ। তৈরি করলেন তিন ব্যাচ ওষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ হেয়ার টনিক। সফলতাও এলো। সেই টনিক ব্যবহারের গুণে তাঁর মালকিন ও পরিচিতদের চুলের বাহার হলো দেখার মত। আর তখনই নিজের একটা ব্যবসা শুরুর সিধান্ত নিতে এক মুহুর্ত দেরী করলেন না মার্থা। নিজের জমানো পুঁজি,মাত্র ৩৬০ ডলার সম্বল করে রচেস্টার শহরে ১৮৮৮ সালে খুলে ফেলেন এক হেয়ার সালন। 

তথাকথিত পরিচিতির জন্য তার নামকরণ করা হলো ‘ মার্থাস মেথড ‘ । প্রচারের জন্য লাগানো হলো তাঁরই মাথা থেকে পা পর্যন্ত লম্বা চুলের  ছবি দেওয়া একখানা পোস্টার। কিন্তু যে যুগে চুলের যত্ন ছিলো সম্পূর্ন ঘরোয়া এক পদ্ধতি সে যুগে এমন অভিনব কর্মসূচি সফল হতে সময় তো লাগারই কথা। মার্থা কিন্তু ধৈর্য হারাননি। যিনি এতো বছর ধরে  সকলের সেবা করে এসেছেন তাঁর পক্ষে নারীদের চাহিদা ও মনোভাব বোঝা তো ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বেশ কিছুদিন কোনও খোদ্দেরই জোটেনি নতুন সালনে । হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন তাঁর দোকানের উল্টো দিকে বেশ কিছু মহিলা তাঁদের বাচ্চাদের মিউজিক অপেরা শিক্ষার জন্য নিয়ে আসেন ও বাধ্য হয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান সেখানে। বুদ্ধিমতি মার্থা তাঁদের আমন্ত্রণ জানালেন নিজের সালনে। আর কথায় কথায় বললেন তাঁর কাজের পদ্ধতি। কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ও সম্পূর্ন পারদর্শিতার সাথে সেখানে চুলের যত্ন নেওয়া হয় । কিভাবে সেখানে আরামদায়ক ভাবে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে হেয়ার টনিক লাগানো হয় ইত্যাদি। ব্যাস। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মার্থা কে। সেই মহিলারা একে একে হয়ে উঠলেন মার্থা র সালনের গ্রাহক। শুরু হল বিসনেস ওমান মার্থা হার্পার এর জয়যাত্রা।

যে বিশেষ চেয়ারে হেলান দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করা হয় এবং যে বিশেষ ধরনের অর্ধবৃত্তাকার ওয়াশিং বেসিন চুল ধোয়ার জন্য ব্যাবহার করা হয় তাও এই বিদুষী মহিলার আবিষ্কার। ভাবা যায়? কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, মার্থা এর কোনোটিরই পেটেন্ট দাবি করেননি।

সময়ের চেয়ে চিন্তা ভাবনা এগিয়ে না থাকলে জীবনে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। মার্থা হার্পার ও ছিলেন এমনই একজন দূরদর্শী মহিলা যিনি অনুভব করেছিলেন তাঁর এই কাজ আরোও ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজন এমন সব মহিলার যাঁরা আর্থিক দিক থেকে দুর্বল ও পরিচারিকার কাজে যুক্ত। যেন অনেকটা নিজের প্রতিচ্ছবির মত। রচেষ্টার শহরে যখন তাঁর ব্যবসার রমরমা, তিনি বেশ কিছু মহিলা কে প্রশিক্ষিত করতে শুরু করলেন তাঁর পদ্ধতি প্রয়োগ করার কাজে। ফলে উপভক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কাজের অসুবিধা আর থাকলো না। এমতাবস্থায় মার্থার এক গ্রাহক বার্থা পামার তাঁকে অনুরোধ জানালেন বাফেলো প্রদেশে মার্থস মেথড এর একটি শাখা খোলার জন্য। মার্থা তাতে সম্মত হলেন একটা শর্তে যে, সেখানে ব্যবহৃত সমস্ত সামগ্রী ও সেই বিখ্যাত চেয়ার কিন্তু সরবরাহ করবেন মার্থা নিজেই এবং সমস্ত পদ্ধতি হবে মার্থার পদ্ধতি অনুযায়ী। অর্থাৎ অধুনিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ধারণার জন্মদাত্রী সেই আজন্ম পরিচারিকার কাজ করা মার্থা হার্পার। আসলে মানুষের নিজের কাজের প্রতি আনুগত্য আর ভালোবাসা তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে সাহায্য করে। মার্থার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিলো। এভাবেই নিজের কাজের মাধ্যমে তিনি আরো হাজার হাজার নারীর উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়েছিলেন যাতে তারা সকলে সুস্থ ও স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। শুধু তাই নয়, হার্পার প্রথম তাঁর কর্মীদের সবেতন ছুটি ও গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর ভিত্তি করে বোনাস দেওয়ায় ব্যবস্থাও করেছিলন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ও তাদেরকে উৎসাহ দিতেন। চুলের সঙ্গে ত্বকের যত্ন ও অন্যান্য পদ্ধতিও ধীরে ধীরে এই সেলুনের কাজে যুক্ত হতে লাগলো। জন্ম হল আধুনিক বিউটি সালনের। আর মার্থা হলেন রোচেষ্টার চেম্বার অব কমার্সের প্রথম মহিলা সদস্য।

তবে শুধু নিজের জন্য নয়, এই কাজে নিযুক্ত মহিলাদের সামগ্রিক উন্নয়নে মার্থা যে বীজ রোপণ করে গেছিলেন তা বর্তমানে মহীরুহের আকার ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক বিশ্বে বিউটি স্যালন যে বৃহত্তর শিল্পকর্মের অংশ সে কথা অস্বীকার করা যায় না। এই শিল্পের অনুসারী শিল্প হিসাবে বিভিন্ন কোম্পানির বিবিধ রূপ সজ্জার সামগ্রী সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

এইভাবে কাজের মধ্যে সময় কখন পেড়িয়ে গেছে মার্থা খেয়াল করেননি। ফলে সঠিক বয়সে সংসার করা তাঁর হয়ে ওঠেনি। আটশট্টি বছর বয়সী মার্থা অবশেষে ঘর বাঁধেন  ঊনপঞ্চাশ বছরের প্রাক্তন সেনা কর্তা ম্যাকবেইন এর সঙ্গে। দুজনে মিলে সামলাতে থাকেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া হেয়ার স্যালন এর সাম্রাজ্যকে।

কিন্তু কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আটাত্তর বছর বয়সী মার্থা ইহজগত থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে তাঁর এতদিনের পরিশ্রমে গড়ে তোলা স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ। মার্থস্ মেথড হারিয়ে ফেলে তার আধিপত্য। কারণ এই কাজের প্রতি মার্থা যেমন কর্তব্যপরায়ণ ও যত্নশীল ছিলেন অন্য করো পক্ষে হয়ত তা করা বা সেই ব্যবসাকে আন্তরিকতার সঙ্গে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলনা। ফলে সেলুনের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মার্থাস মেথড তার বিশেষত্ব হারিয়ে হয়ে ওঠে সাধারন বিউটি পার্লার। অবশেষে একসময় কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন তাঁর স্বামী। শেষ হয়ে যায় মার্থা ম্যাটিলডা হার্পার নামক মহিলাটির সংগ্রামের কাহিনী। কিন্তু আমাদের মধ্যে,বিশেষত নারী জাতির কাছে তিনি চিরজীবী হয়ে থাকবেন এক অদম্য অনুপ্রেরণা হিসেবে। ভালো থাকার জন্য তাঁর অক্লান্ত প্রয়াসকে কুর্নিশ জানাই। 

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top