চাঁদের পথে জাপান ছবি – সংগৃহীত
উত্তরাপথঃ এ যেন হঠাৎ করে শুরু হওয়া বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে চাঁদে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। ভারতের পর এবার চাঁদের পথে পারি দিল জাপান । চাঁদের জন্য SLIM নামে তাদের নিজস্ব মুন ল্যান্ডার উৎক্ষেপণ করেছে জাপান। মহাকাশযানটি ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮.৪২মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটিতে জাপানের নিজস্ব H2A রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই মহাকাশ যানটি তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাপান এটিকে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১০ দিন দেরিতে উৎক্ষেপণ করল। মহাকাশযান SLIM ছাড়াও একটি মহাকাশ টেলিস্কোপও পাঠিয়েছে জাপান।উভয় মহাকাশযান এক ঘন্টার মধ্যে তাদের নির্দিষ্ট পথে পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ (SLIM) প্রায় চার মাস পর চাঁদে অবতরণ করবে।
জাপান সফল হলে চাঁদে যাওয়া পঞ্চম দেশ হবে।জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) বলেছে যে SLIM-এর লক্ষ্য হল এমন যন্ত্র তৈরি করা যার ক্ষমতা বেশি হবে, কিন্তু আকার ও ওজনে ছোট হবে। এটি সৌরজগতের অন্যান্য মিশন পরিচালনায় কাজ করবে এর পাশাপাশি চাঁদে যাওয়ার জন্য পিনপয়েন্ট ল্যান্ডিং প্রযুক্তি খুঁজে বের করবে। চাঁদে পৌঁছাতে এর সময় লাগবে চার মাস । এরপর SLIMঅত্যাধুনিক অপটিক্যাল ও ছবি প্রসেস করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করবে এছাড়াও চাঁদে পাথরের মধ্যে ধাতব খনিজের সন্ধান করবে। এই SLIM এর সাথে কোনও রোভার থাকছেনা।
SLIM একটি ছোট মহাকাশযান, যার উচ্চতা ২.৪ মিটার, দৈর্ঘ্য ২.৭মিটার এবং প্রস্থ ১.৭ মিটার । টেক অফের সময় এর ওজন ছিল ৭০০কেজি । কিন্তু এর ওজনের ৭০ শতাংশই ছিল জ্বালানি । যেখানে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মোট ওজন ছিল ৩৯০০ কেজি । যার মধ্যে রয়েছে ২১৪৮কেজি প্রোপালশন মডিউল, ১৭৫২ল্যান্ডার এবং ২৬ কেজি রোভার । SLIM চাঁদে একটি দীর্ঘ লুপিং এবং কম জ্বালানী পথ নেবে, চন্দ্র কক্ষপথে পৌঁছাতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।
চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানোর পরও তা অবিলম্বে অবতরণ করবে না । এটি এক থেকে দুই মাস চন্দ্র পৃষ্ঠের উপর নজর রাখবে । তারপরে এটি শিওলি ক্রেটারের ভিতরে অবতরণ করার চেষ্টা করবে, এটি একটি ৩০০-মিটার গভীর গর্ত যা চাঁদের কাছাকাছি ১৩ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থিত । এই মিশনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হল নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করা । SLIM ১০০ মিটার এলাকায় অবতরণ করবে, যা পূর্ববর্তী ল্যান্ডারের তুলনায় আরো নির্ভুল হবে । এ কারণে একে স্নাইপারও বলা হচ্ছে । জাপানের এই সাফল্য নাসার চাঁদ অভিযানে বড় ভূমিকা রাখবে ।
আরও পড়ুন
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত শেষ করার জন্য G7 ঐক্যমত
উত্তরাপথ: বিশ্বের সাতটি ধনী দেশের শক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রীরা সম্প্রতি জ্বালানি এবং পরিবেশগত ইস্যুতে উত্তর জাপানের শহর সাপোরোতে বৈঠক করেন। G-7 বৈঠকে জড়ো হওয়া বিভিন্ন দেশের আধিকারিকরা তাদের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দিয়ে একটি কমিউনিক জারি করেছে। বৈঠকে বর্তমান সঞ্চিত জ্বালানি সংকট এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নেতারা দক্ষ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং দূষণ মুক্ত শক্তির উৎস সন্ধানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগেও .....বিস্তারিত পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি
ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন