এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী

মিঠুন চক্রবর্তী এ বছর ‘দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার’ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে এই তথ্য শেয়ার করেছেন। ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অভিনেতাকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।

তিনি লিখেছেন, ‘মিঠুন দা’র দুর্দান্ত সিনেমাটিক যাত্রা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে! আমি ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে দাদাসাহেব ফালকে সিলেকশন জুরি ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার উজ্জ্বল অবদানের জন্য মহান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 ৮ অক্টোবর, ২০২৪-এ ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মান দেওয়া হবে। মিঠুন চক্রবর্তী তার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৩৫০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি হিন্দি, বাংলা, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র সহ বিভিন্ন ভাষার অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে ক্যারিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে মিঠুনের ছবি তেমন একটা সাফল্য লাভ করতে পারেনি। শোনা যায়, কঠোর পরিশ্রমের পরও তিনি তার ক্যারিয়ারের গতি দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন এবং পরিচালক বব্বর সুভাষ তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন – কী হয়েছে? এ বিষয়ে অভিনেতা তাকে বলেছিলেন যে তিনি তার কাজে এত কঠোর পরিশ্রম করছেন কিন্তু তিনি যে অবস্থানের জন্য এত পরিশ্রম করছেন তা তিনি পেতে পারছেন না। এর পর বি. সুভাষ মিঠুনকে ‘ডিস্কো ডান্সার’ অফার করেছিলেন এবং এখান থেকে তার ভাগ্য এমনভাবে বদলে যায় যে তাকে আর ফিরে তাকাতে পারেননি।

১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপি অতিক্রম করেছিল, যা সেই সময়ের চলচ্চিত্রগুলির জন্য একটি বড় বিষয় ছিল। এর আগে  ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৃগ্য’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। মিঠুন এ পর্যন্ত ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘পেয়ার জুকতা না’, ‘স্বর্গ সে সুন্দর’, হাম পাঁচ’, ‘সাহস’, ‘ভারদাত’, ‘বক্সার’, ‘পেয়ারি বাহানা’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে কাজ করেছেন। মুজরিম এবং ‘অগ্নিপথ’, ‘দ্য তাসখন্দ ফাইল’ ছাড়াও সাম্প্রতিক ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো অনেক ছবিতে কাজ করেছেন।

প্রসঙ্গত ১৯৮০ সাল থেকে ৯০ এর দশকের শুরুর দিকে মিঠুনকে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিঠুনই একমাত্র অভিনেতা যিনি তার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ডিস্কো এবং দেশি ফিউশন স্টাইলে নাচের জন্য দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৩ সালে ‘তাহাদের কথা’ ছবির জন্য দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার এবং ১৯৯৬ সালে ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ ছবির জন্য তৃতীয় জাতীয় পুরস্কার পান। এছাড়াও, তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি।  ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।  আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি।  এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।  সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে।  এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top