যুদ্ধের মাঝে খবরের সত্যতা নিয়ে মানুষ সত্যতা শান্তির খোঁজে ছবি – উত্তরাপথ
‘বিভ্রান্তি’ আজকাল একটি আকর্ষণীয় শব্দ। সদ্য শুরু হওয়া ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধকে নিয়ে খবর সময়ের সাথে সাথে, এটি একটি সাধারণ ইভেন্টের পর্যায়ে চলে গেছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে কেবলমাত্র শব্দ ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্যকল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। খবর তুলে ধরার এই প্রতিযোগিতায় যে ঘটনা দেখান হচ্ছে ,তা ঘটতেও পারে আবার নাও। ঘটনাগুলিকে এমন একটি বিন্দুতে চিত্রিত করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে হেরফের করা হচ্ছে।কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভিডিও গেমের ছবিকে যুদ্ধের ছবি বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে চালানো হচ্ছে।খবরের সত্যতা নিয়ে মানুষ আজ বিভ্রান্ত।
রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদপত্রের মাধ্যমে সরকারগুলি নিয়মিতভাবে “সংবাদে” কারসাজি করে চলেছে।তাঁর থেকে আরও উদ্বেগজনক হল, ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে দেখানো ইভেন্টগুলির ব্যাখ্যা – যা এখন তথাকথিত “ডিপ ফেক” প্রযুক্তি ব্যবহার করে ম্যানিপুলেট করা হচ্ছে । বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ‘এক্স’ এবং ‘ইন্সট্রাতে’ মানুষ যে কোনও পুরাতন ভিডিওকে যুদ্ধের বলে শেয়ার করে চলেছে।এই পরিস্থিতিতে কে ঠিক করবে কোনটা বাস্তব, আর কোনটা নয়?
দ্বন্দ্বের সময় সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং মিথ্যা ছড়ানোর বিষয়টি সহ প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। সংঘর্ষের সময় এই ভুল তথ্যের প্রচার উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শান্তি ও বোঝাপড়ার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলি মিথ্যা তথ্যের বিস্তার রোধ করার দায়িত্বের সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ভারসাম্য রক্ষার কাজ নিয়ে লড়াই করছে। এই সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বিভ্রান্তিকর বা ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু সনাক্ত এবং অপসারণ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদম এবং মানব মডারেটর নিয়োগের মতো বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। তথ্যের যথার্থতা যাচাই করার জন্য তারা সত্য-পরীক্ষাকারী সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
তবে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে মিথ্যা যে মাত্রায় এবং গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে প্রযুক্তিবিদদের পক্ষে সমস্যাটিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ভুল তথ্য কৌশলের বিকশিত প্রকৃতির দ্বারা সমস্যাটি আরও জটিল হয়ে উঠছে।এই ভুল তথ্যের পরিবেশন দুই পক্ষকে উৎসাহিত করছে আর বেশি সহিংসতায় , যা স্থানীয় সাধারণ মানুষের জীবন অসহনীয় করে তুলেছে।গত কয়েক দিন ধরে চলতে থাকা সহিংসতায় কয়েক হাজার মানুষ প্রান হারিয়েছেন।দ্রুত যদি এই সহিংসতা থামানো না যায় তাহলে এই সংখ্যাটা লাখ ছুঁয়ে যাবে ।
বাড়তে থাকা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টার জন্য একটি মাল্টি-স্টেকহোল্ডার পদ্ধতির প্রয়োজন, যাতে প্রযুক্তি কোম্পানি, সরকার, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং ব্যবহারকারীদের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা জড়িত থাকতে হবে। মিডিয়াগুলিকে যথেষ্ট সতর্কতা ও দক্ষতার সাথে খবর পরিবেশন করতে হবে, যাতে জনগণ সহজেই সঠিক এবং মিথ্যা তথ্যের মধ্যে ভালভাবে পার্থক্য বুঝতে পারে। সংঘাতের সময় মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই করাটাও একটি চলমান যুদ্ধ, এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তাদের সিস্টেম এবং নীতিগুলিকে উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে।আর এই সবের মধ্যে খবরের সত্যতা নিয়ে মানুষ আজ বিভ্রান্ত ।
আরও পড়ুন
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত
উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
জোকোভিচ প্রস্তুত ইউএস ওপেনের জন্য ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট তুলে নেওয়ার পর
উত্তরাপথ: এই বছরের ইউএস ওপেনে খেলতে পারবে নোভাক জোকোভিচ । ইউএস সরকার ঘোষণা করেছে তারা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের উপর কোবিদ-১৯ ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট তুলে নিচ্ছে।২০২১ সালের নভেম্বরে ভ্যাকসিনের আদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে জো কোভিচ, টিকা ছাড়া থাকা সর্বোচ্চ প্রোফাইল ক্রীড়াবিদদের একজন। সেই কারনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে সক্ষম হননি। ৩৫ বছর বয়সী জোকোভিচ বিশ্বে ১নম্বর টেনিস তারকা । তিনি ২০২১ এ সর্বশেষ ইউএস ওপেন খেলেছিলেন, তারপরে ২০২২ সালে তাকে খেলার .....বিস্তারিত পড়ুন