জীবনকুমার সরকার
হঠাৎ একদিন বিপ্লবকে মোবাইলে কল করে বিমল জানায়, দাদা, একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো তোমাকে।
বিপ্লব বলে, হ্যাঁ বলো। যত ইচ্ছে বলো। অসুবিধা কোথায়?
বিমল অল্প কিছুদিন মেলামেশা করতে করতে জানতে পেরেছে বিপ্লবের মানসিকতা কেমন। বিপ্লব শিক্ষা ও সৌজন্যতায় অমায়িক গোছের ছেলে। গোটা পাড়া সে কথা জানে। আর বিমল তো খুব কাছ থেকে মিশে মিশেই জানে। তবু ওর মনে একটা ভয় ও সংকোচ কাজ করছিলো অনেকদিন থেকে। সংকোচের প্রাবল্যে ও কথাটা কোনোদিনই বলতে সাহস পায়নি। তাই সে আজ বলবে মনে করেই কল করেছে।
মানুষকে সুসম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে কত ধরনের সাবধনতা অবলম্বন করে যে চলতে হয়, তার হিসেব নেই। এ জগৎ সংসারে সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার শেষ নেই। এই ভাঙছে। এই গড়ছে। এই করতে করতে প্রত্যেকের মানবজীবন সাঙ্গ হয়। রয়ে যায় কেবল স্মৃতিটুকু। এ খেলার অন্তর্ভুক্ত আমরা সবাই।
যা হোক , অবশেষে বিমল কথাটা বলেই ফেলে, তোমার একজন খুব কাছের আত্নীয় বেলাইন হয়ে গেছে। আজ দু’বছর হলো।
বেলাইন হয়ে গেছে বলতে? ——-বিপ্লব প্রশ্ন করে।
খানিকটা গলার স্বর নরম করে বিমল বলে, তোমার শালী দীপিকা অন্য একটি ছেলের পাল্লায় পড়েছে।
বলো কী? বিমলের এসব কথা শুনে বিপ্লব অবাক হয়। অবাক হলেও সে ভালো করেই জানে এসব আজকাল মামুলি বিষয়।
তারপর একসময় বিপ্লব ধীরে ধীরে সব ইতিহাস জেনে নেয়। বিমলও দু’বছর ধরে যা যা গচ্ছিত রেখেছে, তার সব বলে দেয়।
বিপ্লবের ঘুম চলে যায়। কে সে ভাগ্যবান? এমন রূপসী শালীর সঙ্গে মেলামেশা করে । বিয়ের পর থেকে বিপ্লব কোনোদিনই তার শালীর ব্যবহারের জন্য ভালো লাগতো না। তবু তার রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারতো না। কিন্তু আর কী করা যাবে। গুণ না থাক, রূপ তো আছে। যৌবন তো আছে। শালীর রূপে বিপ্লব প্রথম থেকেই মুগ্ধ। বিপ্লব বহুবার দীপিকার সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে লক্ষ করেছে, পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে যে কোনো পুরুষই দু’বারের বেশি ঘুরে তাকায়। শাড়ি পরে বেরোলে তো কোনো কথাই নেই।
বিমলের কথা শুনে বিপ্লব বহুবার কৃষ্ণপল্লি গিয়ে ঘোরাঘুরি করে দেখার চেষ্টা করেছে, কোন লোকটির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তার শালী। বিমলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নজরে ধরা পড়েনি। তারপর শোনা যায়, বিপ্লবের শালী দীপিকা তারই কলেজের একজন ডি-গ্রুপের কর্মীর সঙ্গে চুটিয়ে লাইন মারছে। ছেলেটির বাড়ি মঙ্গলবাড়ি । বয়স বেশি নয়। বরং, লতিকার চেয়ে অনেক ছোটো। এই কচি ছেলেটিকে পেয়ে নাকি দীপিকা কলেজে ক্যাজুয়াল পোস্টে ঢোকার পর থেকেই পাকড়াও করে নেয়। তখন কৃষ্ণপল্লির ওটাকে বাতিল করে দেয়। কী আশ্চর্য! তাহলে এটা প্রেম কোথায়? এ তো একধরনের খেলা। শরীরের খেলা, যে খেলায় হৃদয় নেই। আছে যৌনতা আর বিনোদন।
মালঞ্চপল্লি থেকে মঙ্গলবাড়ি একটু দূরে বলে বিপ্লব আর খোঁজখবর রাখার তেমন চেষ্টা করে না। কিন্তু তার কৌতূহল তো সহজে যাচ্ছে না। সে তার শালী দীপিকার ফ্ল্যাটের আশেপাশে সময় পেলেই ঘোরাঘুরি করে। একদিন লতিকা তার ফ্ল্যাট থেকে একটি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বেরোয় রাস্তায়। বিপ্লব দেখতে পেয়ে,পরে জেনে নেয় ছেলেটির বাড়ি মঙ্গলবাড়ি।
মঙ্গলবাড়ির এই ছেলেটি অবিবাহিত। যতবারই বিপ্লব দীপিকার সঙ্গে ছেলেটিকে দেখতে পেয়েছে, ততবারই তার মুখে সবসময় হাসি দেখতে পেয়েছে। এ হাসি সাধারণ হাসি নয়। দেখেই বোঝা যায়, যেন বিশ্বজয়ের হাসি। খুব স্বাভাবিক। এই বয়সে শরীরের স্বাদ পেলে এই অনুভূতি স্বাভাবিক। তারপর ছেলেটি লাগালে পেয়েছে দীপিকার মতো একটি শরীরের খেলায় পাকাপোক্ত রমণীকে। বাংলা সিরিয়ালে দেখা কচি কাকীমা গোছের লতিকার শরীরটাকে কি আর ছেড়ে কথা বললে মঙ্গলবাড়ির ছেলেটি। ফলে দেদার টানাটানি করে দীপিকাকে নিয়ে। কখনও তার বাড়িতে । কখনও দীপিকার নির্জন ফ্ল্যাটে । কখনও হোটেলে। কলেজ ছুটি থাকলে চার চাকায় শহরের বাইরে দু’জনে নিরুদ্দেশ।
একদিন বিপ্লব হঠাৎ শুনতে পায়, এই ছেলেটির নাকি এবার বিয়ে। বিয়ের কার্ড দিতে আসবে মঙ্গলবাড়ি থেকে ।
ওগো তুমি বাড়ি থেকো সন্ধ্যায়——— এ কথা বলে বিপ্লবের বউ দেবলীনা। বিপ্লব বুঝে যায়, তাহলে দেবলীনা জানে না তার দিদির এই খেলা। জানবার মতো বুদ্ধিসুদ্ধি দেবলীনার কোনোদিনই নেই। তাছাড়া দিদিকে দেবলীনা অগাধ বিশ্বাস করে। অন্ধভাবে ভালোবাসে। দীপিকাও যে কোনো বিষয়ে বোনকে অতি সহজে পটাতে পারে। দিদি অন্যায় করলেও তার মুখের সামনে বলবার মতো সাহস দেবলীনার নেই।
সন্ধ্যায় মঙ্গলবাড়ির ছেলেটি কার্ড দিতে আসে। বিপ্লব অবাক হয়ে দেখতে থাকে ছেলেটিকে। সামনাসামনি এই প্রথম পরিচয়। চা-বিস্কুট আর মিষ্টি খাইয়ে দেবলীনারা আপ্যায়ন সারে। বিপ্লব মনে মনে ভাবে যেতেই হবে বিয়েতে। দীপিকা এই বিয়েতে ঠিক কী করে দেখতে হবে তা। বৌভাতের দিন বিপ্লব বউ আর মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল হাজির। চুপচাপ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। আর অপেক্ষা করতে থাকে দীপিকার জন্য। দীপিকা কখন আসবে, আর তাদের চারচোখে কী কথা হয়, সে-সব বিপ্লব দেখবে। কিন্তু রাত দশটা বেজে যাবার পরও দীপিকা এলো না দেখে বিপ্লব বউ আর মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
এই ঘটনার কিছুদিন পর বিপ্লব জানতে পারে, দীপিকা ছেলেটির এই বিয়ে মন থেকে একেবারে মেনে নিতে পারেনি। কান্নায় বার বার ভেঙে পড়েছে সে। নিজের স্বামীর কোনো আঘাতেও এমন করে কান্না করেনি লতিকা। করবে না? এত সুখ কে দেবে এরপর?
স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য, কবে থেকে থেকে দূরত্ব দুজনের মধ্যে। তাই দীপিকা মনে করে এই শরীর ফাঁকা ফেলে রেখে লাভ কী? শরীরের জন্য তো একটা মৌমাছি দরকার। অবশ্য স্বামী কাছে থাকতেই লতিকা একটু একটু করে এই খেলায় মাঠে নামে। এখন তো সে আরও দুরন্ত। দুরন্তপনায় মনের মতো একটি ছেলে ছিলো মঙ্গলবাড়ির এই ছেলেটি। সেও গেলো! কী দুঃখ লতিকার!
ঘরে একা একদম মন বসাতে পারে না দীপিকা। ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে বসে বসে প্রতিদন দেখে, আজকালকার ছেলেমেয়েরা রাস্তাঘাটে কীভাবে জড়াজড়ি করে যায় আসে। ঘরের ডাগর ডাগর বউয়েরা যে যার মতো মধ্যবয়সী পুরুষের সঙ্গে বাইকে চেপে হুঁশ করে কোথায় চলে যায়। আবার এসে নামিয়ে দেয় বাড়ির আশেপাশে। সে এসব দেখে সাহস পায়। ভয় পাবে কেন? শরীরের খেলায় ভয় পেলে চলে না, এটা দীপিকা বুঝে গেছে। তাছাড়া সে ভয় করবে কাকে? স্বামী তো প্রায় আট বছর আগেই ছেড়ে চলে গেছে বলা যায়। তিনি শহরেই একটি আলাদা বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দেখা সাক্ষাৎ হয় না দু’জনের। একমাত্র মেয়ে, সেও বিয়ের পর থাকে বাঙ্গালোর। ফলে একা খাটে ঘুম আসে না দীপিকার। তার একটা পুরুষসঙ্গী চাই। ঘটনাটি দীপিকার পাড়ার কেউ কেউ জেনেও গেছে। কিন্তু আগের মতো মানুষ আর এসব নিয়ে নাকগলায় না। শহরে এই ধরনের পরকীয়ার খেলা এত বেড়েছে যে, মানুষ কতজনকে কী বলবে। তাছাড়া পরকীয়া এখন আইনস্বীকৃত। দীপিকার বান্ধবীরাও কেউ কেউ এই খেলায় তুমুল মত্ত। সেসবও লতিকার প্রেরণা।
দীপিকা আবার মাঠে নামে। এবারে পেয়ে গেছে প্রায় পঞ্চাষোর্ধ্ব একজন পুরুষ। পঞ্চান্ন ছুঁই ছুঁই। গায়ের রং কালো। একটু মোটাসোটা । চোখ দুটো শরীরের তুলনায় একটু ছোটো। কিন্তু শরীরী খেলায় উন্মত্ত পুরুষ। সবসময় জিন্স প্যান্ট আর টী-শার্ট পরে দীপিকার কাছে আসে। ঘুরতে গেলেও তাই। সেও থাকে কলোনীর একটি ফ্ল্যাটে। তার অবশ্য বউ আছে। ছেলেমেয়ে আছে কিনা জানে না বিপ্লব। কিন্তু বউয়ের সঙ্গে সঙ্গে কখনও কখনও বাইরে দেখতে পাওয়া যায়। বয়স যাই হোক, লতিকার দরকার একজন পুরুষ। যে পুরুষ তাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে, ঠাঁটবাট করার জিনিস কিনে দেবে। রাতে রাতে রেস্টুরেন্টের নিঝুম আলোয় বসিয়ে নানারকম খাবার খাওয়াবে। শহরে রেস্টুরেন্টের তো এখন অভাব নেই। মালদার মতো শহরে প্রেম করার জন্য রেস্টুরেন্টগুলোই নিরাপদ জায়গা। খাবার অর্ডার দিয়ে বসে বসে নানারকম গল্প সেরে নেওয়া যায়। কিংবা, যেদিন বাইরে ঘুরতে যেতে পারবে না, সেদিন খাবার ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেবে। ফাঁক বুঝে ফ্ল্যাটে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে যাবে। বিছানা লণ্ডভণ্ড করে যাবে। সুখ দিয়ে যাবে।
একদিন ঠিক রাত আটটায় বিপ্লব দেখতে পায়, দুটো এগরোল ক্যারিব্যাগে ঢুকিয়ে হাতে করে ঝুলিয়ে সেই মধ্যবয়সী লোকটি সন্তর্পণে দীপিকার ফ্ল্যাটের দিকে এগোচ্ছে। যখন হেঁটে যায় লোকটি, তখন দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তিনি এমন খেলায় মত্ত। মনে হয় লোকটির আগের অভিজ্ঞতা মাথায় আছে। হাঁটা চলার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। যখন দীপিকার ফ্ল্যাটের দিকে যায়, তখন একমনে হাঁটে। আর ফ্ল্যাটে ঢুকে যাবার পর মোটামুটি দু’ঘন্টা মতো কাটায়। বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে যে কত মজা তা টের পায় দুজনে।
দীপিকার বয়স হয়েছে। যৌবন গেছে। চেহারার জেল্লাও গেছে। মনে মনে ভাবে এবারে মাঠ থেকে উঠে যাবে। কথায় কথায় আজকাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তবে কি মনে মনে নিজের স্বামী অপরেশকে খোঁজে সে? হয়তো তাই। আবার মাঠে নামবে লতিকা । এবারের মাঠে শরীর থাকবে না । সংসার চায় আবার সে। আশ্রয় চায়। শরীরের মধ্যে মুক্তি নেই, যৌবন চলে যাবার পর হাড়ে হাড়ে টের পেলো দীপিকা। জীবনস্রোতে কত ধরনের যে শ্যাওলা ফোঁটে,তার হিসেবে কে রাখে। দীপিকা এখন নীড়ে ফিরতে চায়। কিন্তু তার স্বামী অপরেশ কি আর মেনে নেবে এখন? তারও তো মন আছে। জেদ আছে। ইগো আছে। দীপিকার বেপরোয়া আচার আচরণে একদিন সে বাড়ি ছেড়েছিলো। তারপর তার তার কাছে এ খবরও আছে, দিনের পর দিন দীপিকা পুরুষ এনে ফ্ল্যাটে ফুর্তি করে।
অপরেশ নাকি বন্ধুদের কাছে বলেছে, চাকরি থেকে অবসর নেবার পর কোনো একটি আশ্রমে চলে যাবো, তবু দীপিকার কাছে যাবো না আর। অভিমানের মাথায় বাড়ি ছেড়েছিলাম, তাই বলে এত বড়ো সুযোগ নেবে দীপিকা ; সে স্বপ্নেও ভাবেনি। আর দীপিকার অভিভাবকরাও কেমন যেন। দীপিকা যা বোঝালো, তাই তারা মেনে নিলো। এভাবে হয় নাকি? বাস্তব যে কল্পনাকেও মাঝে মাঝে ছাপিয়ে যায়, তা আগে জানতো না অপরেশ। শেষমেষ নিজের জীবনে এমন হবে, ভাবেনি সে। নানা দুশ্চিন্তা আর অভিমান নিয়ে একা একা পড়ে থাকে একটা ভাড়াটে ঘরে। নিজেই রেঁধেবেড়ে খায়। অসুখবিসুখ হলে এক গ্লাস জল এগিয়ে দেবার কেউ নেই। অথচ, গৌড়রোডে তার পৈত্রিক বড়ো বাড়ি আছে। দাদা-বৌদি, ভাই-ভাইয়ের বউ, তাদের ছেলেমেয়ে, সব মিলিয়ে ভরা সংসার। সেখানে থাকলে অপরেশের এই একাকীত্ব জীবনের লড়াই থাকে না। তবু সে কোনোভাবেই সেখানে যেতে রাজি নয় সে। কিন্তু অপরেশ মনে মনে আজও সেই লতিকাকে খোঁজে, যার পিঠখোলা ব্লাউজ,সিল্কের শাড়ি, আর আলুথালু চুল। চোখেমুখে উথালপাতাল ঠাসা যৌবনের উন্মত্ততা। আর তাকে একা ঘরে যখন তখন জড়িয়ে ধরে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া জীবন।
বয়স হয়েছে বলে মনের জোর কমে এসেছে দীপিকার । মুখে ঝোপ ঝোপ দাগ। অসংখ্য ব্রণ।
প্রেমিক পুরুষের কাছে কদর কমছে। সব বোঝে দীপিকা।
কিন্তু এতদিনের অভ্যাস কী করে যাবে?
দীপিকা ভাবে, এ জীবনে পর পুরুষ নিয়ে খেলা অনেক হলো।
একদিন সন্ধ্যায় লতিকা পিঠখোলা ব্লাউজ,সিল্কের শাড়ি , চুল ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে অপরেশের ভাড়াবাড়ির দিকে। পেছনে পরে থাকে দীপিকার নিরিবিলি ফ্ল্যাট।
আরও পড়ুন
শূন্য বর্জ্য নীতি গ্রহনে জাপান আজ বিশ্বগুরু
উত্তরাপথঃ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ শহর জাপান । সম্প্রতি তার শূন্য বর্জ্য নীতি-এর কারণে খবরের শিরোনামে । Zero Waste বা শূন্য বর্জ্য হল- অযথা খরচকে ন্যূনতম রেখে উৎপাদিত আবর্জনা কমানোর প্রচেষ্টা। ১৯৯৬ সালে , অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর ক্যানবেরা বিশ্বের প্রথম শূন্য-বর্জ্য শহরের শিরোপা অর্জন করে।এরপর Zero Waste ধারণাটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, উদাহরণস্বরূপ কানাডার টরন্টো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো নিজেদের শূন্য-বর্জ্য শহর হিসাবে ঘোষণা করে । পরিবেশ সচেতনতার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭০% পৌরসভা নিজেদের শূন্য-বর্জ্য পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করেছে।এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, জাপানের পাঁচটি শহর নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে।জাপানের তোকুশিমা প্রিফেকচারের কামিকাতসু টাউন প্রথম নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করার পর, ধারণাটি পুরো জাপানে ছড়িয়ে পড়ে। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাজা মহম্মদ ও সি সেল মিউজিয়াম
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ রাজা মহম্মদ, এমন একজন মানুষের নাম, যার ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কাছে হেরে যায় সব বাধা। ইচ্ছার চেয়ে বলা ভালো নেশা। সামুদ্রিক প্রাণীদের খোল সংগ্রহের নেশা। যা তাঁকে ছোটবেলা থেকেই ছুটিয়ে নিয়ে বেরিয়েছে প্রায় তিরিশ বছর ধরে। আর সেই দীর্ঘ পথের শেষে , তিনি সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন এশিয়ার বৃহত্তম ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সি সেল মিউজিয়ামটি বর্তমানে চেন্নাইয়ের মহাবলিপূরম মন্দিরের সন্নিকটে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। রাজা মহম্মদ ছোট্ট বেলা থেকেই সমুদ্র তট থেকে সংগ্রহ করতেন বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর দেহাংশ। কুড্ডালোর থেকে রামেশ্বরম এর সমুদ্রতট, সেখান থেকে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশে গিয়েছেন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে। সংগ্রহ করেছেন অসাধারণ সব সামুদ্রিক .....বিস্তারিত পড়ুন
শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু কলকাতা পুরসভা এবং বন্দর কতৃপক্ষের
উত্তরাপথঃ শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনের, প্রতিমা বিসর্জনে এ বার বিশেষ বন্দোবস্ত করছে কলকাতা পুরসভা।এ বছর ২১ অক্টোবর দুর্গা পুজা শুরু এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। বিজয়া দশমীর পর আরও দু’দিন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। তাই সেই প্রতিমা বিসর্জন পর্ব মসৃণ করতে কলকাতা বন্দর এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সোমবার কলকাতা পুরসভায় প্রাক্-পুজোর বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি, ছিলেন কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি-সহ একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকেরা। .....বিস্তারিত পড়ুন
মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন
উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন