জোছনা রাতে

অসীম পাঠক

পূর্ণিমার মায়াবী চাঁদের আলোয় বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। পুরুলিয়ার পান্ডব বর্জিত এক গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে গ্রামের শৌখিন যাত্রার আসরে পঙ্গপালের মতো ছুটে চলেছে সব মানুষজন। গোপালপুরে যাত্রা তাও আবার ঐতিহাসিক পালা। ঝলমলে পোশাকের মেলা আর গ্রাম্য বিনোদনের এক অফুরন্ত ভান্ডার, সাথে মেলা জুয়ার আসর, দেশী মহুয়ার চনমনে নেশা। কাঁচের গ্লাসে ফেনায়িত মদ আর ঝালঝাল চাখনা ছোলা মটর বাদাম। আহা রে- জিভ চকচক করে হরিপদর। বেশ রসিক মানুষ হরিপদ কর্মকার, তার রসের ভান্ডারে কতো বিচিত্র অভিজ্ঞতা র গল্প। নাম করা গুনীন, সাপের বিষ নামা থেকে শুরু করে ভূত তাড়ানো অবধি , এমন কি মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব দূর , সাংসারিক কলহ — সব সমস্যার মুশকিল আসান হরিপদ। বৌ ইন্দিরাও বেশ খাসা মেয়ে, বর্ধমানে বাপের বাড়ি, ইন্দিরা বেশ চালাক চতুর কিন্তু ; লোকে বলে মানিকজোড়। হরিপদ ইন্দিরার বিয়ের এখনো দু বছর ঘোরেনি। হরিপদ বিয়ে করবো না করবোনা করে তার এক আত্মীয়ের মেয়ের বিয়েতে কাটোয়া গিয়ে ওখানেই ইন্দিরাকে দেখে বিয়ের সাধ জাগে তার। ইন্দিরার বাবা ইঁট ভাটায় কাজ করতো, গরীব মানুষ। হরিপদ একেবারে রথ দেখা কলাবেচার মতো পাকাদেখা বিয়ে সব সেরে বৌ নিয়ে বাড়ি ফেরে, বুড়ি মা তো খুব খুশী- দুজনের সংসারে আর একজন বাড়তি।
বিয়ের পরে এই প্রথমবার হরিপদ ইন্দিরা কে নিয়ে যাত্রার আসরে এসেছে। অন্যান্য মেলা পার্বনে হরিপদ নিজে চট পেতে জড়িবুটি নিয়ে বসে। সন্ধ্যার পরে এক পাত্তর দেশী গিলে বাড়ি ফেরে হরিপদ, পয়সা কড়ি মন্দ করেনা। গুনীনের বৌ বলে ইন্দিরার বেশ খাতির মেয়ে মহলে। বুড়ি মা বেরুবার সময় বলেছিলো , পোয়াতি মেয়েমানুষ নিয়ে রাতের বেলা যাস না, হরিপদ বলে মা তোর বেটা কে ভূত পেরেত সব যমের পারা ডরায়।
হাতে হাত ধরে যাত্রা আসরে ঢোকে দুজনে, তখন সবার সাজপোশাক চলছে। পালার নাম তাজমহল। হরিপদ বলে , এ বৌ কি লিবি বল – তোর বরতো তাজমহল দিতে লারবেক কিন্তু কাঁচের চুড়ি ইমিটেশনের মালা হাতে মেহেদি আর পেটভরে জিলাপি ফুচকা খাওয়াবেক। ইন্দিরা বলে আর একটা ভেনিটি ব্যাগ লিবো , একটা পুতুল কিনে রাখবো, ঘরেল লাইগে একটা আঁশ বটিন লাইগবেক, চিনামাটির কাপ লাইগবেক। আর তুমার লাইগে একটা গোল টুপি কিনবো মাথায় পরলে বেশ সাহেব পারা লাইগবেক। রোদে জলে বড ঘুরো , মাথা ঠান্ডা থাইকবেক। আর একটা ছোট পারা মতন লুহার কড়াই। বেশ সব কেনাকাটা হয়। কদিন ধরে ঊখানে হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসেছিলো, আজ ধূলাট। শেষ দিনে যাত্রা। মাঠের পাশেই অড়কষা নদী, জল কম পাথর বেশী। বৌ এর হত মেলা ঘুরে থলি ভরর্তি করে সব কেনে ইন্দিরা যা যা বলে … সব । হরিপদ জানে বৌ খুশী থাকলে সব ঠিক। ওই যে সেই মহান কথা … সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে।

হরিপদর চোলাইয়ের আসরে বসতে ইচ্ছে করে। বেশ ঝাল ঝাল চাখনা আর তাজা মহুয়া। যাত্রার আসরে একটা শিরীষ গাছের নীচে আরও অনেক মহিলার সাথে ইন্দিরা কে বসিয়ে সে মাল খেতে যায়, মনটা আজ বেশ ফুরফুরে। পেট পুরে মদ গিলে হরিপদ। পাঁচ খানা গাঁয়ের নামকরা ওঝা বলে কথা। বিষধর সাপকে এক হাতে কাবু করে ফেলে। ইন্দিরাকে বলে , এসব কিছুই না , খালি চোখে চোখ রাইখে উয়ার গতিবিধি টা বুঝতে হবেক।
মদ খেয়ে ঝান্ডির আসরে যায়, চিড়িতন রুপিতন আর ইস্কাপনের খেলা। মোটা দাঁও মারে হরিপদ। আহা কি মজা , বৌয়ের চাঁদ বদন দেখেই তো তার ঘুম ভেঙেছিলো। বৌটা তার কপাল খুলে দিয়েছে।
মনে মনে হরিপদ ইন্দিরার মুখ খানা ভেবে নিয়ে অদৃশ্যে হাত বাড়ায় , যেনো পারলে একটু আদর করে। অনেক নিম্নচাপের রাত ইন্দিরার পুরুষ্টু শরীর হরিপদ আদরে আদরে তোলপাড় করে তোলে। ইন্দিরার যৌবনের অনন্ত ক্ষুধা যেনো হরিপদ ঠিক মেটাতে পারেনা।

এদিকে যাত্রার আসরে ইন্দিরার পেছনে কে যেনো শিস দেয় , এতো চেনা শিস। শিস তো নয় সংকেত। যৌবন বন্যায় উদ্বেলিত ইন্দিরার কামনার খেলাঘরে যার অবাধ অনুপ্রবেশ বলাই …… বলাই মাঝি। চওড়া ছাতি , মাথা ভরতি বাবরিছাঁট চুল। সরু গোঁফে বেশ বলশালী চেহারা। বিয়ে করেছে হরিপদ আর নেপোয় মারে দই এর মতো ইন্দিরাকে গোপনে ভোগ করে বলাই। বলাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সব্জী চাষ করে। হরিপদর মতো লোক ঠকানো ব্যাবসা নয়। লোকের বৌ এর বন্ধ্যাত্ব দূর করতে গিয়ে নিজের টাই পেরে ওঠে না। ইন্দিরার গর্ভে তাইতো বলাইয়ের সন্তান।
ইন্দিরাকে একটা রাতেও সুখ দিতে পারেনি ভূত তাড়ানো গুনীন। তাইতো বলাইকে ইশারায় ডেকেছিলো ইন্দিরা। যৌবন বন্যায় উদ্বেলিত ইন্দিরা নিজেকে উজাড় করেছিলো বলাইয়ের কাছে প্রথমবার ঘোষেদের বাঁশ বাগানে। তিনমাস আগে স্থানীয় হেল্থ সেন্টারে ইউরিন টেস্ট করে আয়রন ক্যালসিয়ামের বড়ি দিয়ে ডাক্তার দিদিমনি বলেছে সে মা হতে চলেছে। অথচ বলাইয়ের সাথে সহবাসের আগে অবধি কোন লক্ষনই ছিলো না, মাঝে মাঝে ভাবে ইন্দিরা যদি বাচ্চার চেহারাখান বলাইয়ের মতো হয়ে যায় ….
যাত্রা আসরে বলাইকে দেখে ভয় পেয়ে যায় ইন্দিরা , আর যাই হোক হরিপদ তাকে বড্ড ভালোবাসে, বলাই তো তার কামনার পুরুষ। ভালোবাসা হরিপদর সাথেই। বলাইয়ের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে , এই নাগর তোরে কচুকাটা করবে আমার বর জানতে পারলে , এখানে কি করতে এসেছিস। বলাই বলে দেখতি এলাম রে , হাজার হোক আমার পোলার মা হবি তুই। ইন্দিরা বলে আ মরণ ভাগ এখন, বলাই হাসতে হাসতে চলে যায়।

যাত্রা শেষ হতে বেশ দেরী হয়।
তবে খুব সুন্দর অভিনয় সবার। হরিপদ ইন্দিরার হাত ধরে টর্চের আলো ফেলে বাড়ির পথে চলতে শুরু করে। বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে । গ্রীষ্মের রাত বড়োই মনোরম ।
গলা ছেড়ে গান ধরে হরিপদ,
“ও পীরিত তোর জ্বালা তবে ঘুচাতে পারি , তেজে সুখ সাধ লোক পরিবাদ , যদি পরের মরণে আপনি না মরি “।
মাঠ ছেড়ে ধান জমিতে এসে পড়েছে তারা, রাস্তা টা এখন শুনসান। এখানে অনেক পুরানো দুটো বট আর নিম গাছ রয়েছে, জায়গা টা খুব একটা ভালো নয়। কেমন একটা গা ছমছমে পরিবেশ। হঠাৎ কোথা থেকে কালো মিশমিশে চেহারার চারটে ছায়ামূর্তি রাস্তা রোধ করে দাঁড়ায়। জলদ গম্ভীর স্বরে বলে ওঠে , এই গুনীন ছোঁড়া ছাড়ো – ই ফুলের পারা ফুলমতীকে হামদের হাতে ছোড় দে। একটু দলাই মলাই করে দেখি, মালটার ঝাঁঝ কতটা। ভূত তাড়ানো হরিপদ মুশ্কিল আসান হরিপদ একি ঝামেলায় পড়লো রে বাবা । হরিপদর মুখ শুকিয়ে যায়। ছায়ামূর্তি গুলো ইন্দিরার দিকে এগুতেই এমন সময় বাঘের মতো হুংকার দিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায় বলাই। বলে ওঠে কোন বেটার এতো সাহস রে , মরদ হলে ছুয়ে দেখ , সব কটারে লাশ বানাই দিবো। হাহাহাহা করে হেসে ওঠে ছায়ামূর্তি গুলো , তাদের একজন বলে হামি কালু ডোম আছে , এখানের মিনিষ্টারের খাস লোক, হামার শিকার আটকাবে কোন বেটা- থানা পুলিশ সব ভি হামারা জেব মে, তু কোন হ্যায় রে বেটা। বলাই মেলায় আঁচ করেছিলো বলেই চোখে চোখে রেখেছিলো ইন্দিরা কে। এবং একটা খেলনা পিস্তলও কিনেছিলো। রাতের বেলা এটাতেই অপরাধীদের ঘুম উড়ে যাবে, তাছাড়া দু চারটা পাতি মস্তানকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করতে সে ওস্তাদ।
বলাই বেশ দাপটের সাথে বলে ওঠে , আরে কালু ওস্তাদ ওসব মিনিষ্টার তোর পকেটে রাখ , আমার হাতে এটা আছে , তোর কোন বাপ এটা থেকে বাঁচাতে পারে শালা ডাক তাকে ….. বলেই খেলনা পিস্তল টা উঁচিয়ে ধরতেই চারজন পড়ি মরি করে দে দৌড়।
হরিপদ বলাইয়ের হাতদুটো ধরে বলে , বড়ো বাঁচালিরে ভাই , তোর ঋণ আমি কেমনে শুধি বল। বলাই মনে মনে বলে , শালা তোর বৌটারে যদি পারমান্ট দিতিস — সে কথা মনে চেপেই হাসি মুখে বলে খুড়া বেটা হলে ভোজ খাওয়াবে , সব শোধ। এবার তিনজনেই হাসে। দুজন পুরুষের মাঝে এগিয়ে চলে ইন্দিরা। একটা হাত হরিপদকে ধরে আর মনটা যেনো বলাইয়ের কাছে বাঁধা। তার গর্ভে যে বড়ো হচ্ছে সেও তো বলাইয়ের মতো এমনি সাহসী আর বুদ্ধিমান হয় যেনো। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ইন্দিরা বলাই কে বলে ওঠে , ইবার তোর ঘরে চাঁদের পারা বৌ আসুক। বলাই মুচকি হেসে তার টিনের চালের ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। বলাই ইন্দিরার কেওই জানলো না যে হরিপদ সব জানে। বাঁশবাগানে দেখেওছে। ওঝা মানুষ , পাঁচ খানা গাঁয়ের গুনীন কি এমনি এমনি …… সে তো জানতো যে জড়িবুটি তে সব হয় না। ভেক ধরা এসব গুনীন যদি সব পারতো তাহলে ভগবানের আর বিজ্ঞানের কি দরকার। নিজে পারেনি বলেই তার অক্ষমতাকে সে অবলীলায় মেনে নিয়েছে। ইন্দিরা খুশী থাকলেই সে খুশী। তার মনের ভেতরে কষ্টের চারাগাছটা তাকে আজ একটু হলেও ছায়া দিয়েছে , ভরসা দিয়েছে। কবে কি হয় কে জানে, সংসারে সুখী হতে গেলে বোবা হতে হয়। বোবার যে শত্রু নেই। চাঁদের আলোয় যেনো সব দুঃখ গলে যায় , সব পাপবোধ মুছে যায়। এই জোছনারাতে সব ভূলে ইন্দিরাকে জড়িয়ে ধরে হরিপদ ধীরে ধীরে শান্তির ঘুমে তলিয়ে যায়।।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

কতো অজানা রে

মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন

মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব

দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top