গার্গী আগরওয়ালা মাহাতো
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/03/edupolicy.jpg)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/03/edupolicy.jpg)
১৯৮৬ সালের পর বহু প্রতীক্ষিত রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি ২০২০ ঘোষণা করা হয়। দেশব্যাপী বহু-স্তরীয় আলোচনা ও পরামর্শ ছাড়া এই নীতি গৃহীত হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সরকারের যুক্তি ছিল বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী বহু-স্তরীয় আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া এটি একটি পূর্ণ শিক্ষানীতি যা জনসাধারণের আশা-আকাঙ্খা ও প্রত্যাশায় পূরণে সক্ষম হবে।
১৯৫০ সাল থেকে আমরা শিক্ষাকে সংবিধানের ‘নীতি নির্দেশক সিদ্ধান্তে’র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে একের পর এক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে এসেছি। সেই সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আগামী দশ বছরের মধ্যে সমস্ত শিশুকে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। আজ ৭০ বছর অতিক্রান্ত । সেদিনের সেই প্রতিশ্রুতি আজ রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির পর্যায়ে চলে গেছে। অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়নি তা নয় তবে তা খুব সামান্য। এখন ‘নতুন শিক্ষানীতি ২০২০’তে বলা হচ্ছে , দশ বছরের মধ্যে স্কুলের বাইরে থাকা দুই কোটি শিশুদের আবার স্কুলমুখী করা হবে । তবে এই লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জনকরা সম্ভব তা সময়ই বলবে।
এই নূতন শিক্ষানীতিতে কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে জনসাধারণকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথে নিয়ে যেতে হবে। ‘স্কিল ইন্ডিয়া’র নামে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। তবে আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে মৌলিক শিক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। গান্ধীজির স্বপ্ন ছিল একটি স্বনির্ভর সমাজ গঠনের, যেখানে শিক্ষাকে কর্মসংস্থানমুখী, জীবন ও সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত এবং গ্রামমুখী করার কথা বলেছিলেন। এমনকি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরও শিক্ষাকে বহন না করে বাহন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্য গ্রামীণ ভারত নয় বরং বাজার ভিত্তিক শিক্ষা।
বর্তমানে ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের’ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘ড্রপ-আউট রেট’ (স্কুল ড্রপআউট রেট) হল ৪০%, স্কুলমুখী এই শিশুদের মাত্র ৫০ % ৮ ম শ্রেণী পর্যন্ত পৌঁছায় এবং তাদের মধ্যে ১৭ % মেয়ে। এই শিশুরা পড়াশুনা ছেড়ে কোথায় চলে যায় এবং কেন চলে যায় তা কারও কাছে গোপন নয়। এই পরিসংখ্যান দলিত, উপজাতি, সংখ্যালঘু, গ্রামীণ মেয়ে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ভাগ্য দেখানোর জন্য যথেষ্ট। এখন অষ্টম (১৪ বছর বয়স) শ্রেণী থেকে দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে। এত কম বয়সে পেশা ভিত্তিক শিক্ষার দেওয়ার কী খুব প্রয়োজন আছে? আবার কি আমরা বর্ণভিত্তিক সমাজে পরিণত হতে চলেছি? সন্তানদের কি তাদের পৈতৃক পেশায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ? তাদের কি তৈরি করা হবে কর্পোরেট জগতের খুচরা যন্ত্রাংশ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য মানব সম্পদ হিসাবে রেখে দেওয়া হবে? যার জন্য এমন উচ্চাভিলাষী নীতি প্রণীত হয়েছে তারই নাম কি শিক্ষা? নাকি জ্ঞানের ‘সুপার পাওয়ার’-এর আড়ালে সস্তাশ্রমের বাজার বসানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন