নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগীরদের সংঘর্ষ

উত্তরাপথ

ছবি- টুইটার

দিল্লিতে একদিকে যেখানে রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  অন্যদিকে, কুস্তিগীরদের মিছিল নিয়ে দিল্লি পুলিশের কড়া পদক্ষেপ দেখা গেছে।  যন্তর মন্তর থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে কুস্তিগীরদের মিছিল দিল্লি পুলিশ আটক করেছে।  এ নিয়ে পুলিশ ও পালোয়ানদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়।

ভারতীয় রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্নার পরে, কুস্তিগীর এবং খাপ পঞ্চায়েত নতুন সংসদ ভবনের সামনে একটি ‘মহিলা পঞ্চায়েত’ ডেকেছিল, যার জন্য প্রতিবাদী কুস্তিগীররা যন্তর মন্তর থেকে একটি মিছিল বের করে, সেই সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করে, তারপরে পুলিশ এবং কুস্তিগীরদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

 কুস্তিগীররা তাদের হাতে তেরঙ্গা ধরে নতুন সংসদ ভবনে পৌঁছানোর জন্য পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডিং ভেঙে দেয়, তারপরে ফোগাট বোনেরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে মাটিতে পড়ে যায়।  শুধু তাই নয়, সাক্ষী মালিক সহ বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।  এর পাশাপাশি যন্তর মন্তরে বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের লাগানো তাঁবুও সরিয়ে দেয় পুলিশ।

পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পরে, কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক বলেন যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম, কিন্তু তারা পুলিশ জোর করে আমাদের টেনে নিয়ে যায় এবং আটক করে।   কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া বলেন যে আমরা কোনও ব্যারিকেড ভাঙিনি।

অন্যদিকে, কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত , কুস্তিগীরদের সমর্থনে দিল্লী আসছিলেন ।গাজীপুর সীমান্তে পুলিশ কৃষক নেতাদের আটকে দেয় বলে অভিযোগ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Camel Cloning: দুবাই ‘উট' ক্লোনিং‘এর জন্য খবরের শিরোনামে

উত্তরাপথ: দুবাই, তার ঐশ্বর্য এবং জাঁকজমকের জন্য পরিচিত হলেও এবার দুবাই তার ‘উট ক্লোনিং ‘এর জন্য খবরের শিরোনামে।এবার আশা যাক ক্লোনিং কি তা নিয়ে আলোচনায়। ক্লোনিং হল প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে অভিন্ন জিনোম সহ পৃথক জীব উৎপাদনের প্রক্রিয়া অর্থাৎ জীবের অভিন্ন অনুলিপি তৈরি করার প্রক্রিয়া।২০০৯সালে বিশ্বের প্রথম উটের ক্লোনিংয়ের নেতৃত্ব দেওয়া, নিসার ওয়ানি এখন দুবাইয়ের একটি ল্যাবে বছরে কয়েক ডজন উটের প্রতিলিপি তৈরি করছেন যা উপসাগরীয় অঞ্চলের এখন একটি বড় ব্যবসা যেখানে উট লালন-পালন করা হয় সৌন্দর্য ও রেসিং .....বিস্তারিত পড়ুন

 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top