প্রীতি গুপ্তা
ওজন কমানো একটি ধীর এবং স্থির প্রক্রিয়া। বারবার এটির জন্য লোক এক্সরসাইজ এবং ডাইট করে । কিন্তু আয়ুর্বেদে ওজন কমানোর জন্য অনেক জুড়ি বুটি পাওয়া যায়, যা আপনার রান্নাঘরে মজুত রয়েছে। এই ধরনের লেখার মাধ্যমে আমরা আপনাদের আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কিভাবে ওজন কমাতে পারেন সেই ব্যাপারে একটি ধারনা দিতে চাই । মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের নিয়মিত আভ্যাসে আপনি স্লিম ট্রিম হতে পারবেন । এর জন্য আপনাকে কোনো স্টিরয়ড বা ফ্যাট বার্নারের প্রয়োজন নেই বরং আপনি কিছু আয়ুর্বেদিক বিষয়গুলিকে ব্যবহার করে এর সুফল পেতে পারেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া।
হলুদ – ওজন কম করার জন্য হলুদের ব্যবহার যথেষ্ট কার্যকর । তার জন্য রোজ সকালে খালি পেটে এক গিলাস গরম জলে একটি চুটকি হলুদ এবং কালো মরিচ মেশান এবং পান করুন।
জিরা জল – ওজন কমানোর জন্য জিরাজলকে অব্যর্থ উপায় হিসাবে মনে করা হয় । জিরা খাওয়ার স্বাদকে যেমন বহুগুন বৃদ্ধি করে । সেইসঙ্গে পাঁচনতন্ত্রকে ঠিক রাখে ।পাঁচন সংক্রান্ত গুরুতর অসুস্থতা অনেকটা কম করতে সাহায্য করে । এটা পেটকে কম করার সাথে গ্যাস কব্জ থেকেও মুক্তি দেয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং রোজ সকালে নীচে পেটে সেবন করুন।
কালো মরিচ – একটি অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে কালি মিরচে যথেষ্ট পরিমাণে পিপেরাইন নামক উপাদান থাকে , এটি পাঁচনতন্ত্রকে ঠিক রাখার সাথে গ্যাস, কব্জ, পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। সেইসঙ্গে এই মেদ কম করতেও সাহায্য করে । তার জন্য সকালের খালিপেটে এক গিলাস গরম জলের সাথে কালো মরিচ সেবন করুন।
দারুচিনি – দারুচিনি খাবারকে সুস্বাদু তৈরি করার সাথে দ্রুত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি ব্লাড সুগার লেভেল কম রাখার সাথে ক্ষুধাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। এটির জন্য প্রতিদিন সকালে দারুচিনির একটি ছোট টুকরো চিবাতে পারেন।
আদা – আদা আমাদের রান্নায় ব্যবহৃত এমন একটি উপাদান যাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেন্ট্রি গুণমান প্রচুর পরিমাণে আছে । আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষত আমাদের পাঁচনতন্ত্রের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। সেই সঙ্গে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে দ্রুত ওজন কম করে। এর জন্য আপনি প্রতিদিন চা ও দুধে অদা যোগ করতে পারেন।


আরও পড়ুন
আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম
উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে । এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে, প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তন আমাজনের রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে
উত্তরাপথঃ আমাজন রেইনফরেস্ট, যাকে "পৃথিবীর ফুসফুস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুত্তন্ত্র যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একটি নতুন তত্তের বর্ণনা করা হয়েছে ,সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে বর্ষার মৌসুমে বিকল্প বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে খরা, যাকে ডবল-স্ট্রেস বলা হয়, বন প্রতিষ্ঠাকে সীমিত করছে।উদ্বেগজনক গবেষণাতে আরও বলা হচ্ছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন-প্ররোচিত খরা আমাজন রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে, যা জীববৈচিত্র্য এবং সামগ্রিকভাবে গ্রহের জন্য সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি আনতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন,কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না
উত্তরাপথঃসু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন ,কিন্তু কিভাবে একজন ব্যক্তি তার সঠিক ওজন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে । অনেক লোক বিশ্বাস করে যে ক্যালোরি গণনা সাফল্যের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল সঠিক মাপে ক্যালোরি গ্রহণ , কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না।আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের শরীর প্রক্রিয়া করে সেটিকে ক্যালোরিতে রুপান্তরিত করে । পরে আমরা সেই ক্যালোরিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি।এই বিষয়ে কথা বলার জন্য, আমরা একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের কাছে প্রশ্ন রাখি আমরা যে ধরনের খাবার খাই তা আমাদের শরীরের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ। .....বিস্তারিত পড়ুন
সুপার পটেটোর অনুসন্ধান - বিজ্ঞানীরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন
উত্তরাপথঃ আলু বহু শতাব্দী ধরে রান্নার বহুমুখীতা এবং উচ্চ পুষ্টির মানের জন্য খাদ্যের একটি প্রধান উৎস। আলু আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে উৎপাদিত হয়, যা আলুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে । বছরের পর বছর ধরে, বিজ্ঞানীরা আলুর ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টি উপাদান উন্নত করার জন্য এবং আরও ভাল আলুর জাত প্রজননের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আলুর জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন যা আলু গবেষণা এবং প্রজননে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা । .....বিস্তারিত পড়ুন