উত্তরাপথ
এবার বিরোধী শূন্য রাজ্যের সব কয়টি জেলা পরিষদ। এবার রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ একাই শাসন করবে তৃণমূল । ‘সুবজ ঝড়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা ।রাজ্যে বিরোধী দলগুলির ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছারখার হয়ে গিয়েছে । দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও একই ছবি। রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদই দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। জেলা পরিষদের মতোই শাসক শিবিরের আধিপত্য বজায় রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিতেও। মোট ৩৪১টি সমিতির মধ্যে তৃণমূল ৩১৩, বিজেপি ৭ এবং বামেরা মাত্র দু’টি দখল করেছে। বামেদের রাজনৈতিক সঙ্গী কংগ্রেস একটি পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করত পারেনি।
বুধবার রাত পর্যন্ত হাতে আসা নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলা পরিষদের মোট ৯২৮টি আসনের মধ্যে ৮৮০টি দখল করেছে তৃণমূল। শতকরা হিসেবে ৯৫ শতাংশ যা কার্যত বিরোধী শূন্য । বিরোধীদের দাবি, তাদের মনোনয়নই জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এই ফলাফলে তাই মানুষের মত প্রতিফলিত হয়নি। যদিও কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, জেলা পরিষদের মোট আসনের জন্য ৯৭ শতাংশ মনোনয়ন জমা পড়েছিল। বিজেপি নিজেই ৮৯৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিএম এবং কংগ্রেস যথাক্রম ৭৪৭ এবং ৬৪৪টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলা পরিষদে বিজেপি ৩.৩৪% বাম ০.২ % ও কংগ্রেস ১.৪ % । রাজ্যের মোট ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল দখল করেছে ২৬৪১টি (শতকরা হিসেবে ৮০ শতাংশ)। বিরোধী বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস দখল করেছে যথাক্রমে ২৩০, ১৯ এবং ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। শতকরা হিসেবে যথাক্রমে ৭, ০.৫৭ এবং ০.৩৩ শতাংশ।গত লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা ভোটের পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দুই দিনাজপুরকে বিজেপির গড় বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এই পাঁচ জেলায় জেলা পরিষদের মোট ১২৩টি আসনের মধ্যে একমাত্র কোচবিহারে দু’টি দখল করতে পেরেছে বিজেপি। শতকরা হিসেবে যা ১.৬ শতাংশ। একইভাবে জঙ্গলমহলেও গেরুয়া শিবিরের ভোটে চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে । শুধুমাত্র নন্দিগ্রামে মুখ রক্ষা হয়েছে বিজেপির তাও গত বিধানসভার তুলনায় ১৫হাজার ভোট কম হয়েছে ।এখানকার মোট পাঁচটি জেলায় জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ২৪৭। আর বিজেপি পেয়েছে ১৭টি আসন। শতকরা হিসেবে যা ৬.৮৮ শতাংশ। শুধু সমতলে নয়, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন
তিব্বতে ওজোন স্তরের গর্ত গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে
উত্তরাপথঃ ওজোন স্তর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি অপরিহার্য দিক, যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত। এটি সূর্য দ্বারা নির্গত ক্ষতিকারক অতিবেগুনী (UV) বিকিরণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওজোন স্তরের অবক্ষয় , বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর ধরনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে । এরকম একটি পরিণতি হল তিব্বতে ওজোন স্তরের গর্ত যা সেখানকার গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে।তিব্বতকে, প্রায়শই "বিশ্বের ছাদ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।এটি একটি বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র এবং অনন্য আবহাওয়ার নিদর্শন সহ এক বিশাল অঞ্চল। এর বিশাল এলাকা জুড়ে উচ্চ পর্বতমালা, মালভূমি এবং গভীর উপত্যকা রয়েছে । .....বিস্তারিত পড়ুন
WORLD CUP 2023: আফগানিস্তান ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল,অধিনায়কত্ব করবেন হশমতুল্লাহ শাহিদি
উত্তরাপথঃ আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ২০২৩-এর জন্য একটি শক্তিশালী ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে,এই দলে ফিরেছেন নবীন-উল-হক। ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ,চলবে১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দলে ফিরেছেন নবীন-উল-হক, যিনি এশিয়া কাপে দলের অংশ ছিলেন না।১৫ সদস্যের আফগান দলের অধিনায়কত্ব করবেন হশমতুল্লাহ শাহিদি ।একই সময়ে, ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই, যিনি এশিয়া কাপের দলে ছিলেন না, তিনিও বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
টাইফুন ইউন-ইউং এর আজ জাপানের টোকাই অঞ্চলে প্রত্যাশিত ল্যান্ডফল
উত্তরাপথঃ জাপানের জনগণ টাইফুন নং ১৩ যা ইউন-ইউং নামে পরিচিত যা শুক্রবার বিকেলের দিকে টোকাই অঞ্চলে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে নাগোয়া অবস্থিত। জাপান ইতিমধ্যে এর আগমনের জন্য নিজেদের আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছিল টাইফুন ১৩। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার টোকাই এবং কান্টো অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করছে, যা পরিবহন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।আবহাওয়া দপ্তরের মতে শুক্রবার সকাল ৬ টা নাগাদ ২৪ঘন্টা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ইজু দ্বীপপুঞ্জে ২৫০ মিলিমিটার, টোকাই অঞ্চলে ১৫০ মিলিমিটার এবং কান্টো-কোশিন অঞ্চলে ১০০ মিলিমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) .....বিস্তারিত পড়ুন
পোল্ট্রি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চলেছে নতুন জিন প্রযুক্তি
উত্তরাপথ - পোল্ট্রি শিল্পে পুরুষ ছানা মারার অভ্যাস দীর্ঘকাল ধরে নৈতিক উদ্বেগের বিষয়।পরিসংখ্যানে প্রকাশ প্রতি বছর পোলট্রিগুলিতে ৭ বিলিয়ন পুরুষ ছানাকে হত্যা করা হয়।কারণ পুরুষ ছানারা ডিম দিতে পারে না সেই সাথে তারা মাংসের জন্যও উপযুক্ত না হওয়ার কারণে,তারা অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক বলে বিবেচিত হয় । সেই কারণে ডিম ফোটার পরপরই তাদের euthanized করা হয়।এবার এই সমস্যা সমাধানে মধ্য ইস্রায়েলের Yuval Cinnamon এর গবেষণাগারে এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয় যার দ্বারা সমস্ত ছানাই মহিলা হবে।এক্ষেত্রে পুরুষ ছানাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ডিম থেকে বেরোনোর আগেই তাদের বাঁধা দেওয়া হবে। এই নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার মুর্গীর পুরুষ ছানাগুলিকে প্রায়শই ম্যাসারেশন বা গ্যাসিং পদ্ধতির মাধ্যমে হত্যা করার মত অমানবিক কাজ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। .....বিস্তারিত পড়ুন