এবার মাত্র ১ দিনেই ভারতের ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশিদের যাতে দ্রুত ভারতের ভিসা দেওয়া যায়, সেই জন্য বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে ছবি – উত্তরাপথ

উত্তরাপথঃ সারা বছর ভারতে চিকিৎসার জন্য আসেন বহু বাংলাদেশি। করোনার সময় প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল দুই দেশের মানুষকেই। কিন্তু, বর্তমানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি।বহু মানুষের বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কারণ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়া। এবার বাংলাদেশিদের যাতে দ্রুত ভারতের ভিসা দেওয়া যায়, সেই জন্য বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর থেকে আবেদনের পরের দিনই রাজশাহী অঞ্চলের রোগীদের দেওয়া হবে মেডিক্যাল ভিসা, এমনটাই জানিয়েছেন রাজশাহীতে কর্মরত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।

তবে কী ভাবে মিলবে ভিসা?এই ব্যাপারে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, “ভারতের ভিসা দফতরে আবেদন পৌঁছনোর একদিন পরেই রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের দেওয়া হবে ভিসার কাগজপত্র।”সেই সাথে তিনি রাজশাহীতে কাটান  নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। তাঁর কথায়, রাজশাহীতে তিনি এক বছর কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষের সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন। রবিবার থেকে যে সমস্ত ব্যক্তিরা মেডিক্যাল ভিসার জন্য আবেদন জানাবেন তাঁদের আবেদনপত্র বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হবে এবং আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রথম কাজের দিন অর্থাৎ পরের দিনই তাঁরা ভিসা পেতে যাবেন।

শুধু মেডিক্যাল ভিসার ক্ষেত্রেই কি এই নিয়ম কার্যকরী?এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মনোজ কুমার জানান, এই সপ্তাহে শুধুমাত্র মেডিক্যাল ভিসার জন্যই নিয়মটি লাগু হতে চলেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রেও তা কার্যকরী হবে। ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম প্রযোজ্য হবে? শুধু চিকিৎসার জন্য নয়, বেড়ানোর জন্যও বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এক দিনে যদি ভিসা পাওয়া যায় সুবিধা হবে তাঁদেরও।

ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা কবে থেকে এই সুবিধা পাবেন?বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মনোজ কুমার বলেন, “আপাতত যাঁরা মেডিক্যাল ভিসার জন্য আবেদন করেন তাঁরা কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আগাম তারিখ পেয়ে থাকেন। কারণ শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে কোনও রকমভাবেই আপোস করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা যাতে দ্রুত পান সাধারণ মানুষ সেই জন্য এই উদ্যোগ। তবে ধীরে ধীরে ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রেও আবেদনকারীদের সময় এগিয়ে আনার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।“এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বহু মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তন আমাজনের রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে

উত্তরাপথঃ আমাজন রেইনফরেস্ট, যাকে "পৃথিবীর ফুসফুস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুত্তন্ত্র যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একটি নতুন তত্তের বর্ণনা করা হয়েছে ,সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে বর্ষার মৌসুমে বিকল্প বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে খরা, যাকে ডবল-স্ট্রেস বলা হয়, বন প্রতিষ্ঠাকে সীমিত করছে।উদ্বেগজনক গবেষণাতে আরও বলা হচ্ছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন-প্ররোচিত খরা আমাজন রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে, যা জীববৈচিত্র্য এবং সামগ্রিকভাবে গ্রহের জন্য সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি আনতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

গ্লোবাল ওয়ার্মিং রিপোর্ট: ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগজনক প্রতিবেদন

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্ব যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের কেন্দ্র করে শুরু হওয়া জলবায়ু সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেই সময়, ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে একটি উদ্বেগজনক প্রতিবেদন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ৮ আগস্ট যে পরিসংখ্যান আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন,তাতে আগামী দিনের ভয়াবহ পরিণতির জন্য বিশ্ববাসীকে সতর্কবাণী শুনিয়েছেন।এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে তাপ তরঙ্গ এবং দাবানলের জন্য ২০১৯ সালের জুলাই মাসটিকে চিহ্নিত করা হত । কিন্তু এবছর জুলাই মাসের তাপমাত্রা গত ২০১৯ সালের থেকেও ০.৩৩ সেন্টিগ্রেড বেশি ছিল EU-এর কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, "গত ১২০,০০০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণমূলক রেকর্ড এবং প্যালিওক্লাইমেট রেকর্ড এক সাথে সমন্বয় করে বিশ্লেষণ করলেও এত গরম ছিল না।" .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top