সিঙ্গাপুরের দুটি উপগ্রহ সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করে ইতিহাস গড়ল ইসরো

উত্তরাপথ

অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান! ২২ এপ্রিল, শনিবার ঠিক দুপুর ২টো বেজে ১৯ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO ) পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল (RLV) সফলভাবে পরীক্ষা করেছে । এই পুনঃব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ যান স্যাটেলাইট পাঠানোর পর এটি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এর মাধ্যমে আবারও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা যাবে। এখন পর্যন্ত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের যানগুলো আকাশে যাওয়ার পর ধ্বংস হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই  অভিযানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ঘিরে উত্তেজনা ছিল একেবারে তুঙ্গে। দুপুর ২টো ১৯ মিনিটে  শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিল TeLEOS-2 উপগ্রহ। আর তা সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন হতেই তৈরি হল ইতিহাস।এই উৎক্ষেপণের পর কক্ষপথে পাঠানো উপগ্রহের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২৪।

এটি প্রধানত একটি বাণিজ্যিক অভিযান। এই অভিযানের আয়োজক নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই অভিযানে প্রধান উপগ্রহ হিসেবে যাচ্ছে TeLEOS-2, একই সঙ্গে Lumelite-4- উপগ্রহকেও মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। TeLEOS-2 একটি রাডার স্যাটেলাইট। এটি সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থা প্রস্তুত করেছে। এই স্যাটেলাইটটি এর সাথে একটি কৃত্রিম অ্যাপারচার রাডার বহন করবে এবং এটি দিনরাত আবহাওয়ার সঠিক তথ্য প্রদান করবে। দ্বিতীয় উপগ্রহটি হল LUMELITE-4, এটি একটি উন্নত স্যাটেলাইট যার ওজন ১৬ কেজি। এটি মূলত খুব উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ডেটা এক্সচেঞ্জ সিস্টেম প্রদর্শনের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল

অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন

আবার জেগে উঠবে চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার,আশাবাদী ISRO

উত্তরাপথঃ চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার বর্তমানে চাঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। অন্ধকার চাঁদে বিক্রম ল্যান্ডার দেখতে কেমন?  এটি জানতে চন্দ্রযান-২ অরবিটার পাঠানো হয়েছিল।চন্দ্রযান-২ অরবিটার বিক্রম ল্যান্ডারের একটি ছবি তোলেন।ISRO সেই ছবিটি প্রকাশ করেছে, যা রাতে চন্দ্রযান-3 ল্যান্ডার দেখায়।ISRO টুইট করে জানায় রোভার প্রজ্ঞানের পরে, এখন ল্যান্ডার বিক্রমও ঘুমিয়ে পড়েছে। ISRO প্রধান এস সোমনাথ এর আগে বলেছিলেন যে চন্দ্র মিশনের রোভার এবং ল্যান্ডার চান্দ্র রাতে নিষ্ক্রিয় করা হবে।  তারা ১৪ দিন পরে আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে যখন সেখানে ভোর হবে। 23 আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে অবতরণের পরে, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান উভয় ডিভাইস তাদের কাজ খুব ভাল .....বিস্তারিত পড়ুন

মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প

উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে।  রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত।  রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top