

ছবি সৌজন্য – উত্তরাপথ
অসীম পাঠক : অপূর্ব সুন্দর দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। পৃথিবীর পূর্বদিকে সোনার খনি বললেই আমাদের দেশকে সঠিক বোঝানো যায়। বিদেশী শক্তি চিরকালই রত্নগর্ভা এই ভারতবর্ষকে অধিকার করতে চেয়েছে।তারা এখানে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে।১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আম্রকুঞ্জে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ মনুষ্যত্বের অপমানের জঘন্যতম বোঝা ঘাড়ে নিয়ে থাকতে রাজি ছিলোনা।
শোসন শাসন পরাধীনতার বিরুদ্ধে হাজার হাজার দেশের মানুষ প্রান দিয়ে আমাদের দেশকে বৃটিশদের নাগপাশ থেকে মুক্ত করেছেন। ধাপে ধাপে পৌঁছে দিয়েছেন প্রাপ্তির সবুছ দ্বীপে। তাদের রক্তে রাঙা পথ আলোর পথ সূর্যের পথ মুক্তির পথ , অন্ধকার থেকে আলোয় বিবর্তনের পথ, যুগে যুগে নিপীড়িত মানুষের তীর্থের পথ। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট হলো সেই শুভদিন যেদিন আমাদের শৃঙ্খল মোচন হয়েছিল। ১৫ ই আগষ্ট ত্যাগ ও তিতিক্ষার প্রতীক। চিরন্তন মৃত্যু চেতনার শরীক। ৭৫ বছর আগে এশিয়ার পূর্বপ্রান্তে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার এই দেশে বহু প্রান বহু রক্ত বহু শ্রম বহু আত্মবলিদানের মূল্যে এ দেশের ত্যাগব্রতী মানুষ শান্তি মৈত্রী ও স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করেছিলেন দিল্লীর ঐতিহাসিক লালকেল্লায়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবীর বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে লালকেল্লায় উড্ডীয়মান সেই পতাকা শুধুমাত্র একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক ছিলো না। বিশ্বজনীন মৈত্রী ও কল্যানবোধের প্রতীক হিসেবে আমাদের এই ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা সেদিন বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের অকুন্ঠ অভিনন্দন লাভ করেছিলো। দ্বিধাগ্রস্ত পৃথিবীর বুকে মানব মহত্ত্বর বিজয় ঘোষণা করেছিল। দুঃখ ও বঞ্চনা পীড়িত ধরিত্রীর প্রানে অমৃতের চিরঞ্জীব বার্তা বহন করে এনেছিল। ৭৫ বছরের যাত্রাপথে একটি বৈপ্লবিক সত্যের, একটি জাতির দৃঢ় প্রতীতির, এক উজ্জ্বল প্রানময়তার, এক অকল্পনীয় হলদয় শক্তির প্রোজ্জ্বল ইতিহাসকে প্রনাম জানানোই ১৫ ই আগষ্টের উদ্দেশ্য।
ভারতবর্ষের বিগত ৭৫ বছরের ইতিহাস বহু পরীক্ষায় পরীক্ষিত। ভারতবর্ষ শান্তির পূজারী। কিন্তু বারবার এই শুভ ইচ্ছা আহত হচ্ছে প্রতিবেশীর বৈরীতায়। আজ সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ ভারতবর্ষের কাছে শান্তির পথনির্দেশ চায়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ মানব ইতিহাসের ক্রান্তিলগ্ন আজ সমাগত। সভ্যতার আদিম সূর্য মানুষকে অমৃতের সন্ধান দিয়েছিল। সত্য শিব ও সুন্দরের তপস্যায় অমৃত সন্ধানী মানুষ মানব মহত্ত্বর কালজয়ী আশ্বাস বহন করে অনেক যুগান্তর নির্ভয়ে অতিক্রম করে এসেছে। সেই সনাতন বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিকে চূড়ান্ত রূপদানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব এ যুগের মানুষকে সগৌরবে বহন করতে হবে। এ দায়িত্ব নবীন প্রবীন সবার। ভারতবর্ষের যুব সমাজের কাছে ক্লান্ত পৃথিবীর যে আকাঙ্ক্ষা তা যদি তাঁরা বাস্তবায়িত করতে পারেন তাহলে আজকের যে বর্তমান অনাগত প্রজন্মের কাছে অতীত হবে, সেই অতীতের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যৎ বংশধরেরা বলতে পারবে যে তাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁদের সময়ের যথাযথ সদ্ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। জরাজীর্ণ পৃথিবীকে মানুষের বাসোপযোগী করতে পেরেছিলেন। দেশের তরুনরাই হলো দেশের প্রান।
আমাদের সংবিধানে আমরা অঙ্গীকার করেছি সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা ভারতবর্ষের সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে। ভারতবর্ষের সংবিধানে যে গনতন্ত্রের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবল রাজনৈতিক গনতন্ত্র নয় , অর্থনৈতিক গনতন্ত্রও বটে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নানান প্রতিবন্ধকতায় সে লক্ষ্যের পথে সাধারণ নাগরিকেরা কন্টকের অভ্যর্থনা লাভ করছে বারেবারে। তথাপি স্থির নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি ব্যার্থ হবেনা, যদি আজকের ভারতবর্ষের বৈপ্লবিক রনধ্বনি হয় – দারিদ্র্য দূর করো , গরিবী হঠাও।
ভারতবর্ষের গৌরবান্বিত অতীতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই এই সত্য উপলব্ধি করা উচিত যে আমাদের নিয়তি আমাদের সামনে নৈরাশ্যের বিষপাত্র এনে হাজির করেনি। বিশ্বাসের দৃঢ়তায়, উদ্দেশ্যের স্থিরতায় সতর্ক পদক্ষেপে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।যে মহান মূল্যবোধ অতীত ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেছিলো বর্তমানে তা ম্লান হয়ে গেছে। বাঙালির জীবনে আজ নেমেছে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। বেকারত্ব ও বঞ্চনার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে আকাশ অরন্য নদী উত্তাল। ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ের হোলি খেলা চলছে। সন্ত্রাসবাদের কালো হাত ধ্বংসলীলায় মেতেছে। কতো যে তাজা সবুজ প্রান অকালে ঝরে যাচ্ছে কে তার হিসাব রাখে ? চারিদিকে এতো সব সর্বনাশা ধ্বংস তান্ডবের মধ্যে বসে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছি আমরা সবাই। সে যন্ত্রনার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায় যখন দেখি এইসব ধ্বংস ও সর্বনাশের মূলে আছে মানুষ। একদল মানুষের দানবীয় হিংসা লোভ আর চরম অপদার্থতাই এসবের জন্য দায়ী।
আমাদের সংবিধানে আমরা অঙ্গীকার করেছি সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা ভারতবর্ষের সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করবে। ভারতবর্ষের সংবিধানে যে গনতন্ত্রের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবল রাজনৈতিক গনতন্ত্র নয় , অর্থনৈতিক গনতন্ত্রও বটে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নানান প্রতিবন্ধকতায় সে লক্ষ্যের পথে সাধারণ নাগরিকেরা কন্টকের অভ্যর্থনা লাভ করছে বারেবারে। তথাপি স্থির নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি ব্যার্থ হবেনা, যদি আজকের ভারতবর্ষের বৈপ্লবিক রনধ্বনি হয় – দারিদ্র্য দূর করো , গরিবী হঠাও।
ভারতবর্ষের গৌরবান্বিত অতীতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই এই সত্য উপলব্ধি করা উচিত যে আমাদের নিয়তি আমাদের সামনে নৈরাশ্যের বিষপাত্র এনে হাজির করেনি। বিশ্বাসের দৃঢ়তায়, উদ্দেশ্যের স্থিরতায় সতর্ক পদক্ষেপে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।যে মহান মূল্যবোধ অতীত ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেছিলো বর্তমানে তা ম্লান হয়ে গেছে। বাঙালির জীবনে আজ নেমেছে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। বেকারত্ব ও বঞ্চনার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে আকাশ অরন্য নদী উত্তাল। ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ের হোলি খেলা চলছে। সন্ত্রাসবাদের কালো হাত ধ্বংসলীলায় মেতেছে। কতো যে তাজা সবুজ প্রান অকালে ঝরে যাচ্ছে কে তার হিসাব রাখে ? চারিদিকে এতো সব সর্বনাশা ধ্বংস তান্ডবের মধ্যে বসে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছি আমরা সবাই। সে যন্ত্রনার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায় যখন দেখি এইসব ধ্বংস ও সর্বনাশের মূলে আছে মানুষ। একদল মানুষের দানবীয় হিংসা লোভ আর চরম অপদার্থতাই এসবের জন্য দায়ী।
এতোসব সর্বনাশা তান্ডবের মধ্যে অতিক্রান্ত স্বাধীনতার ৭৫ বছর নতুন কোন আলোর প্রতীক কিনা তা জানার জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত। আজকের অসহায় যৌবন জনগণের অগ্রগামী সচেতন অংশের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চায় , হে নাবিক এ জীবন অপরিমেয় নাকি ? পৃথিবীর ভান্ডার থেকে হেমন্ত ফুরিয়ে গেছে। এখানে কোন সোনালী ফসলের বার্তা নেই, চারিদিকে কেবল নিঃসীম শৈত্যপ্রবাহ।আজকের প্রজন্ম স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর শহীদদের ভাবেন অপাংক্তেয় ফসিল।
আশাবাদী মানুষ ঘর বাঁধে নতুন স্বপ্নে, যে এইসব অজ্ঞতা একদিন দূরীভূত হবে। অন্ধকার ছিন্নভিন্ন হয়ে একদিন সোনালী প্রভাত উদিত হবেই।
ইতিহাসের অমোঘ বিধানে ইংরেজরা এ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলো, পেছনে রেখে গিয়েছিলো দীনতার পুঞ্জীভূত আবর্জনার ভস্মস্তূপ। কিন্তু ৭৫ বছরে এই সর্বগ্রাসী দীনতার বিরুদ্ধে দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সংস্কৃতিবান মানুষেরা সংগ্রাম করে চলেছেন। সমাজের অবহেলিত মানব গোষ্ঠীর জীবনে আজও দারিদ্র্য ও অনগ্রসরতার অভিশাপ তার মর্মান্তিক বোঝা নিয়ে অনড় হয়ে আছে। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৭৫ বছর পরেও যদি সমাজের দুর্বল অংশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব না হয় তাহলে দেশের সার্বিক ঊন্নতি কিভাবে সম্ভব ? একটা জাতি যদি ভন্ডামি মিথ্যাচার ও আত্মপ্রবঞ্চনার মাঝে ডুবে থাকে তাহলে দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥২০॥
ন, জায়তে, ম্রিয়তে, বা, কদাচিৎ,
ন, অয়ম্, ভূত্বা, ভবিতা, বা, ন, ভূয়ঃ,
অজঃ, নিত্যঃ, শাশ্বতঃ, অয়ম্, পুরাণঃ,
ন, হন্যতে, হন্যমানে, শরীরে ॥২০॥
অনুবাদ : আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না৷ তিনি জন্মরহিত শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।
যাঁরা জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে ভাবনাহীন চিত্তে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে ভারতবর্ষের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনেছিলেন তাঁরা আজ আমাদের সাথে নেই। কিন্তু তাঁদের বানী তাঁদের জীবনাদর্শ আমাদের চলার পাথেয়। আদর্শের মৃত্যু হয়না। শহীদদের সেই আলোর পথ ধরে যদি আমরা এগিয়ে যেতে না পারি তাহলে শুধুমাত্র জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কোন অর্থ হয়না।
আজো গায়ে কাঁটা দেয় অগ্নিযুগের সেই লোমহর্ষক কাহিনী, সেই গান
“সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মেঁ হ্যায়”।
কালের কঠোর আঘাতে অমলিন সেই স্বাধীনতার ইতিহাস আমরা যতোবার অনুধাবন করবো , অনুসরন করবো , ঠিক ততবারই কবির কথায় , “আমার সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবে ফুল ফুটবে
আমার সকল ব্যথা রঙিন হয়ে গোলাপ হয়ে উঠবে”। আর যথার্থ শ্রদ্ধাঞ্জলী হবে সোনার ভারত তৈরী। বিদ্রোহী কবির কবিতা আজ কি ভীষণ প্রাসঙ্গিক, “গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।–”
অভুক্ত থাকবেনা কেও যেদিন একমুঠো খাবারের জন্য যেদিন লড়াই থাকবেনা , যেদিন গ্রাম বাংলার মেয়েরা ধর্ষিতা হবেনা, নারী পুরুষ সমানাধিকার আসবে সেদিনই আসবে আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা।।
আরও পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে
উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন