উত্তরাপথঃ ১২৮ বছর পর আবার অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ক্রিকেট। ২০২৮ অলিম্পিক গেমস যেটি লস অ্যাঙ্গেলসে অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ক্রিকেট এবং স্কোয়াশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করেছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কার্যনির্বাহী বোর্ড দ্বারা লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তির জন্য ক্রিকেট এবং পতাকা ফুটবল সহ পাঁচটি খেলা অনুমোদিত হয়েছে, তাদের অলিম্পিক স্পটগুলি সিল করার জন্য তাদের একটি শেষ বাঁধা রয়েছে।
২০২৮ অলিম্পিক গেমসের আয়োজকরা এই সপ্তাহে বলেছিলেন যে তারা এই ইভেন্টে ক্রিকেট, পতাকা ফুটবল, ল্যাক্রোস, স্কোয়াশ এবং বেসবল-সফটবল যোগ করতে চায়। প্রতিটি আয়োজক শহর, কয়েক বছর আগে অনুমোদিত আইওসি নিয়মের অধীনে, তাদের গেমসের সংস্করণের জন্য কয়েকটি খেলা অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করতে পারে।কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভা শেষে আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাচ এক সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এই প্রস্তাবগুলোকে তারা আইওসি নির্বাহী বোর্ড প্যাকেজ হিসেবে গ্রহণ করেছেডি।রবিবার থেকে শুরু হওয়া IOC অধিবেশনে এখন বোর্ডের সুপারিশকে রাবারস্ট্যাম্প করতে হবে।
প্রসঙ্গত ১২৮ বছর পর আবার অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ক্রিকেট। ১৪ ও ১৫ অক্টোবর মুম্বইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠক। সেই উপলক্ষ্যে মুম্বই এসেছেন আইওসির (IOC) প্রধান টমাস বাখ। মুম্বইয়ে এসেই তিনি জানিয়েছেন, অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। তবে কীভাবে কোন ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলা হবে, বা কটা দল অংশগ্রহণ করবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।
আইওসি সূত্রের খবর, ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির একজিকিউটিভ কমিটি ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সিলমোহর দিল। শুধু ক্রিকেট নয়, ক্রিকেট-সহ বেসবল/সফ্টবল, ফ্ল্যাগ ফুটবল, ল্যাকরোসে ও স্কোয়াশ, এই পাঁচটি খেলাকে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির একজিকিউটিভ কমিটি। টমাস বাখ এদিন জানিয়েছেন, “আইওসি কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা করবে না। তবে আইসিসির (ICC) সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে কীভাবে ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করা যায়। অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে। কটা দল অংশ নেবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।”
এবারের এশিয়া কাপে ক্রিকেট ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট দেখা গেলে তা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেরই। শোনা যাচ্ছে, মহিলা ও পুরুষ দুবিভাগেই ছটি করে দল ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে। র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে ছটি দল অলিম্পিকে খেলবে। যদিও ফরম্যাট চূড়ান্ত নয়।
আরও পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
সময়
অনসূয়া পাঠক: একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার সবুজ বোস। রাজারহাট নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখী জীবন তার। কাজের বাইরে উনার নেশা বলতে নামীদামী পুরানো মডেলের হাত ঘড়ি কালেকশন। এই বিষয়ে তাঁর সংগ্রহশালাটি রীতিমতো চমকে দেবার মতো। তিনি যে বিদেশী মডেলের রিস্ট ওয়াচটি সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করেন সেটা হঠাৎই একদিন খারাপ হয়ে যাওয়াতে পার্শ্ববর্তী করিম চাচার ঘড়ির দোকানে তিনি যান। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দোকানের শো কেসে তাঁর নজর আটকে যায় জার্মানি মডেলের একটি পুরানো ঘড়ির দিকে। এই .....বিস্তারিত পড়ুন
ইঞ্জিনিয়ারড ব্যাকটেরিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে
উত্তরাপথ: লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং ইউসি বার্কলে এর সহযোগিতামূলক গবেষণায় গবেষকরা একটি অভিনব ব্যাকটেরিয়া ইঞ্জিনিয়ারড করেছেন যা জ্বালানি, ওষুধ এবং রাসায়নিক উত্পাদনের সময় উত্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে ডিকার্বনাইজশন এর মাধ্যমে। সম্প্রতি Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই আবিষ্কারটি । আর এটি "Carbene Transfer Chemistry in Biosynthesis" নামে পরিচিত । একটি অভিনব প্রতিক্রিয়ার সাথে প্রাকৃতিক এনজাইমেটিক বিক্রিয়াকে সংহত করতে ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগায়। আর যা সাধারণত জীবাশ্ম .....বিস্তারিত পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন