

উত্তরাপথঃঅন্ধ্র ফুটবল সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি সাফ বলে দিচ্ছেন, কল্যাণ চৌবে সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফেডারেশন সভাপতির পদেরও অপব্যবহার করেছেন তিনি। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে ক্ষমতা যাওয়াটাই বিরাট বড় ভুল। গোপালকৃষ্ণ কোশারাজুর দাবি, ফেডারেশনে এখন যে প্যানেল ক্ষমতায় সেটা অস্থায়ী প্যানেল। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলেই এই প্যানেল শেষ হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত করতে বলতে পারি কল্যাণ চৌবে আর সভাপতি হতে পারবেন না।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না AIFF সভাপতি কল্যাণ চৌবের। AIFF-এর সদ্য প্রাক্তন আইনি পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন ভট্টাচার্যর পর এবার ফেডারেশন সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটালেন অন্ধ্র ফুটবল সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি গোপালকৃষ্ণ কোশারাজু। তাঁর দাবি, কল্যাণের আমলে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। গোটা ভারতীয় ফুটবলের পরিস্থিতিই জঘন্য।
শুধু ফেডারেশন সভাপতির পদই যে কল্যাণ খোয়াবেন তা নয়। গোপালকৃষ্ণ কোশারাজুর বক্তব্য, লোকসভায় বিজেপির টিকিটের আশা যদি তিনি করে থাকেন, তাহলে সেটাও জুটবে না। তিনি বলছেন,”কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। আর ফেডারেশনের সভাপতিও থাকবে না। বিজেপি লোকসভার টিকিটও দেবে না।”
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে ফেডারেশনে যে নির্বাচন হয়েছিল, তা ফিফার (FIFA) নির্বাসন তোলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী নির্বাচন ছিল। যদিও ফেডারেশন কর্তারা বলছেন, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর ফিফার থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই কমিটি চার বছর থাকতে পারে। তবে আদালত মনে করছে, সেটা জরুরি ভিত্তিতে তিন মাসের জন্য অন্তবর্তী নির্বাচন করা হয়েছিল। কারণ, তখনই বলা হয়েছিল, নতুন সংবিধান তৈরি করে ফের নির্বাচন করতে হবে। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভবিষ্যৎ ঠিক কোন রাস্তায় যাবে, তা জানার জন্য সবাই তাকিয়ে আছেন ৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। নির্বাচন জনিত সংবিধান তৈরি করে আদালতের তরফে খসড়া পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) কাছে।
আরও পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন