আবার চোখ রাঙ্গাচ্ছে করোনা

উত্তরাপথ

ছবি সৌজন্যে: WHO

নয়াদিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা সহ সারা দেশে কোভিড -১৯ মামলা বৃদ্ধির পরে ভারতের বড়ো বেসরকারি সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা চালু করছে। ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে বাড়ি থেকে কাজের নীতি, নিয়মিত পরীক্ষা এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং মাস্ক ম্যান্ডেটরি করা। জিন্দাল স্টিল ও পাওয়ারের মতো কোম্পানিগুলি কোভিড-উপযুক্ত আচরণের বিষয়ে কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছে এবং কর্পোরেট অফিসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে থাকতে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গত কোভিড -১৯ মহামারীর সময় বড়ো শিল্প সংস্থাগুলি চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার ফলে গ্রস শিল্প উৎপাদন অনেক কমে গিয়েছিল এবং শিল্পগুলিতে খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছিল। এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র বলেন যে তাদের সংস্থা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে এবং জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১০,১৫৮ কোভিড -১৯ নতুন কেস বৃদ্ধি রেকর্ড করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সক্রিয় রগীর সংখ্যা ৪৪,৯৯৮ এ দাঁড়িয়েছে। এই বছর বুধবার প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে প্রতিদিন ১,০০০ টিরও বেশি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত প্রতিদিনই এই রোগীর সংখ্যাই বৃদ্ধি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত মঙ্গলবার ভারতে যেখানে ৫,৬৭৫ টি কেস নথিভুক্ত ছিল বুধবার তা বেড়ে হয় ৭,৮৩০।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আমাদের দেশে সাম্প্রতিক কোভিড বৃদ্ধির পিছনে কোভিড -১৯ উপযুক্ত আচরণের শিথিলতা, কম পরীক্ষারহার এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি নতুন রূপের উত্থান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতে গত সপ্তাহে প্রায় ৮,০০০ নতুন কেস রেকর্ড করা হয়েছিল, এবং এখন ১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮,৩৮৯ টি সক্রিয় কেস রয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য

অনয় কিরণ মাহাতো: কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। এরপর হুমানোইড রোবর্ট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর .....বিস্তারিত পড়ুন

মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top