

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য!
এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )।


কাঁচি দুয়ারি : অমাবস্যার দিনে দিগন্তরেখায় সূর্য মুখ লুকোলেই শালপাতায় চালগুঁড়োর পিণ্ড বানিয়ে, তাতে পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি ঢেলে- তারপর কাপাস তুলোর সলতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দুয়ার, আঙিনা, নির্মীয়মান খামার সর্বত্র টিমটিম করে জ্বলে ঘৃতপুষ্ট অগ্নিশিখা। এর পোষাকী নাম কাঁচি দুয়ারি বা কাঁচি জিওরি। ঘরে দুয়ারে এহেন মঙ্গলদীপ জ্বেলে গাওয়া হয় সহরই গীত- “ভালা অহিরে…. কণ দিয়া বরয়ে সাঁঝেকো বেরিয়ারে, বাবু হো…. কণ দিয়া বরত বিহান, কণ দিয়া বরয়ে আম মাড়য়াঁই, সেই দিয়া বরত বিহান।”
Bandna য় খড়ি মাটির জ্যামিতিক নকশায় সেজে ওঠে ঘর। কারও বা দেওয়ালে ফোটে মোটিফ-কুসুম। স্বশিক্ষিত শিল্পীদের হাতের এই অপূর্ব শিল্প সুষমা দেখে বিস্ময়াপন্ন হতে হয় নাগরিক দৃষ্টিকেও!
গঠপূজা: অমাবস্যার দিন গাঁয়ের লায়া বা দেহরি দিনভর নির্জলা উপোস করে গ্রাম শেষের ঐ রাঙামাটির পথে ৯টি ঘর কেটে কপিলাসন্তানদের মঙ্গল কামনায় গঠ পূজা করেন। গঠ অর্থাৎ গোরুর পাল। পূজাস্থলে রেখে দেওয়া হয় দেশী মুরগীর ডিম অথবা তার প্রতীকী চাল গুঁড়োর মণ্ড। যার বলদের পদাঘাতে সেই ডিম ভাঙে, সেই খামিদকে ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। ভাগ্যবান খামিদ সব গোপালকদের পা ধুইয়ে আদরযত্ন করে ‘গঠ ডেঙ্ঘা’ নামক নেগটি সুসম্পন্ন করেন।
জাগরণ: এরপর অমানিশা নামলেই নিকষ অন্ধকারে ভারতের নানা প্রান্তে যখন দীপান্বিতার আলোকসজ্জা আর কালীপূজা, ঝাড়খণ্ডী সংস্কৃতিপুষ্ট বাংলার পশ্চিম প্রান্তে কিন্তু সেসবের বালাই নেই। তবে প্রতিটা গোয়ালঘরে জ্বলে শুভঙ্করী মৃৎপ্রদীপ। গোরু, কাড়ার তেল চকচকে শিংগুলি মায়াবী হয়ে ওঠে পিদিমের আলোয়। ঢোল, ঢমসা, মাদৈলের বজ্র নির্ঘোষে গোসন্তানদের অভিনন্দন জানায় বন্দনাকারীরা। এদের প্রচলিত নাম ঝাঁগড়। একজন ঝাঁগড়িয়া কানে হাত দিয়ে অহিরা গীত ধরে, অনুবৃত্তি করে বাকিরা- “ভালা অহিরে…. জাগহ চনদা, জাগহ সুরুজরে, বাবু হো…. জাগহ গহালিকের গেইয়া, জাগরণ পরতি ফল দেবে বুঢ়াবাপে, পাঁচ পুতা দস ধেনু গেইয়া।” – জাগান শেষ হলে গৃহস্বামী মনানন্দে ঝাঁগড় দলের হাতে তুলে দেয় দু’পাঁচ টাকা, দু’এক সের চাল। গিন্নী ঝুলি ভরে পিঠা-লাঠা, মুড়ি-চিড়া দিয়ে ঝাঁগড় বিদায় করে।
গরইয়া: জাগরণের পরদিন পানিয়া লতা মাড়াই করে নিষ্কাশিত করা হয় এর সান্দ্র দেহরস। তাতে আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নতুন মাটির তকতকে উঠোনে আঁকা হয় চউক। চউক পুরা অঙ্গনে সাজিয়ে রাখা হয় হাল, জোয়াল। কর্তা পুণ্যতোয়া পুষ্করিণী থেকে তুলে আনে ডাঁটাসহ শালুক ফুল। কর্ত্রী দুধ দিয়ে চালগুঁড়োর পিটুলি বানিয়ে নবনির্মিত মাটির চুলোর আঁচে তৈরি করে ঘিয়ের ছাঁকা-পিঠে। দুধ, গুড়, আতপচাল, পিঠে উপচারে- গোয়ালঘরে পূজিত হন গরাম, ধরম, বসুমাতা, গঁসাইরাই, নাজি লিলঅউরি, গাই গরইয়া, মৈষ গরইয়া, ডিনি ঠাকুরাইন ও বড়োপাহাড়। গরাম ঠাকুরের উদ্দেশ্যে লাল মোরগ ও ধরম ঠাকুরের উদ্দেশ্যে সাদা মোরগ উৎসর্গের মাধ্যমে সমাপন ঘটে গরইয়ার।


গরুখুঁটা: গরইয়া পেরোতেই বাঁদনার(Bandna Festival) “বরদ ঘুরা”, প্রান্তজনের “বুঢ়ি বাঁদনা”। ছোটোনাগপুরের কৃষিজীবী লোকেদের কাছে বলদ পুত্রস্বরূপ। গৃহস্থের শ্রীবৃদ্ধির জন্য চাষির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বছরভর অক্লান্ত খাটে এরাও। তাই পরবের চতুর্থ দিনে প্রহারের বদলে ধান্য নির্মিত হারে বিভূষিত করা হয় কপিলাসন্তানদের। জোয়ালক্ষত কাঁধে পরম মমতায় লাগিয়ে দেওয়া হয় তেল। কাঁচাপাকা ধানের শীষ ছিঁড়ে তৈরি করা হয় “মোড়”। অনিন্দ্যসুন্দর ধানের মুকুট ও সিঁথলী পরানো হয় গোরুর মাথায় – কপালে। স্নেহার্দ্র চিত্তে গবাদি পশুদের পদপঙ্কজ ধুইয়ে দেয় গৃহিণীরা। লাল, নীল রঙে সাজিয়ে দেওয়া হয় গরুর দেহ, কেউ বা এঁকে দেয় নিজের গোষ্ঠীর টোটেম! পাটভাঙা শাড়ি পরিহিতা গৃহিনীরা খিলি পান মুখে নতুন কুলোয় নৈবেদ্য সাজিয়ে ভক্তি ভরে চুমান-বাঁদান করে। এই পর্যায়ের নেগাচারের সাথে সাথে হড়দের আত্মপরিচিতির প্রসঙ্গটিও প্রতিভাত হয়েছে নিম্নোক্ত অহিরাটিতে- “ভালা, অহিরে…. কুড়ুমা পাহাড়ে কেরি, কঁচি কঁচি ঘাসঅরে, বাবু হো…. হড়প্পা নগরেক ডমিন, সরু সরু সরু বাঁসিয়াই সুপতি বানাঅ হ, সেই সুপে গেইয়ানি চুমাই।” অশুভ শক্তির হাত থেকে গোধনকে বাঁচাতে বাড়ির রমণীরা একটি মৃৎপাত্রে আগুন সহ ধুনা নিয়ে গিয়ে গাঁয়ের শেষে নেগাচার অনুযায়ী পায়ের আঘাতে সেটি ভেঙে ফেলে। মৃৎপাত্রটি ভেঙে ফেলার রীতিটির পরিভাষাগত নাম ‘নিমছান’।
এদিনই শেষ বিকেলে গাঁয়ের প্রান্তে সুপরিসর মাঠে সবাই ভিড় জমায়। শক্ত খুঁটিতে বাঁধা হয় সুপুষ্ট, বলবান, তেজি বলদ আর দুর্দম, উদ্দাম কাড়া। ঝাঁগড়ের তারস্বরে অহিরা আর অভ্রভেদী বাজনা শুনে রোষে ফুলে ওঠে বরদা, কাড়া। সাহসী পুরুষরা বাঁধাড় কাড়ার সামনে মৃত পশুর চামড়া ধরে! সমবেত কুলকুলি শুনে উন্মত্তের মতো ফুঁসে ওঠে খুঁটানো কাড়া, খুঁটিকে ঘিরে চরকির মতো পাক খায়, কখনো প্রবল বিক্রমে গুঁতো মারে চর্মখণ্ডে! নিজের আপাত শান্ত বলদটিকে উত্তেজিত করতে, কেউ কেউ কানে আঙুল চেপে অহিরা হাঁকায়- “ভালা অহিরে…. সব দিন যে চরাই ভালা, বনে জঙ্গলে রে, বাবু হো…. আজি তর দেখিব মর্দানী, আজকার রণে ভালা, জিতি যদি যাবে রে, বাবু হো…. চারিপায়ে নূপুর ছাহাবো।” আপাত দৃষ্টিতে বলদ খুঁটার মধ্যে কৃষিকর্মে ক্লান্ত, প্রান্তভূমির ব্রাত্যজনদের চিত্তবিনোদনের দিকটি পরিলক্ষিত হলেও, অনেকের মতে এটি এই অঞ্চলের আদিম অধিবাসীদের জীবন সংগ্রামের ইতিহাসের চলমান দলিল। অরণ্য বেষ্টিত এই ভূখণ্ডটি ছিল শ্বাপদসঙ্কুল। প্রায়ই অযোধ্যা, দলমা থেকে আগত হানাদার জন্তুর কবলে পড়তে হতো এদের। কাজেই অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করে নিজেরা। অনুরূপ কসরত শিক্ষা দেওয়া হয় গৃহপালিত পশুদেরও। একবিংশ শতাব্দীর গোরুখুঁটা সেই কসরত শিক্ষারই একটি পরিবর্তিত রূপ। প্রচলিত অহিরাতেও এমন ইঙ্গিত মেলে- “ভালা অহিরে…. কপিলাকর পুতা ভালা, সিসু বালকঅরে, বাবু হো…. মহিষাকর পুতারে ডামাল, বাঘেকর পুতা ভালা, অতি বলীয়ান হে, রগড়ি ধরতে ধেনু গাই রে….”।
বৃষ যদি হয় বল ও বীর্যের প্রতীক, তবে গাভী হল কল্যাণী, শুভশক্তির প্রতীক। বুঢ়ি বাঁদনা গৃহপালিত বলদের মর্দানী দেখানোর তিথি। কোনো কোনো অঞ্চলে গুঁড়ি বাঁদনার দিনে সেই মর্দানী ক্ষেত্রে বন্ধ্যা গাভীকে বেঁধে ঘোরানোর রেওয়াজ প্রচলিত। এর ফলে গাভী প্রজননে সক্ষম হবে- এই লোকবিশ্বাস থেকে গাইখুঁটা! এদিন বছরভর দুধ দেওয়া ধেনুদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনেরও দিন। গাভীদের অভিমান ভাঙানো, কৃতজ্ঞতা জারিত অহিরা ধ্বনিত হত পথে প্রান্তরে- “ভালা অহিরে…. আশ্বিন যাইতে কার্তিক সামাতে রে, বাবু হো…. কাঁদে ত শিরমণি গাই হে, না কাঁদ, না কাঁদ, সুরধনী গেয়া হো, মাখাব শিং ভরি তেল রে।
গ্রাম্য কবিদের রচিত, লোকমুখে প্রচলিত অহিরাগুলির মূলভাষা কুড়মালি। পুরুলিয়ার উত্তরাংশে, পশ্চিম মেদিনীপুর, ছোটনাগপুরের হাজারিবাগ, রাঁচীর পাঁচ পরগণা অঞ্চলে প্রচলিত অহিরাতে কখনও ফুটে ওঠে সরল কথায় মানব জীবনের জটিল জীবনদর্শন, – “ভালা অহিরে… মানুষ জীবন ভালা, ঝিঞাফুলের কলি রে, বাবু হো….. সাঁঝে ফুটে বিহানে মলিনঅ রে।” আবার কখনও উৎসারিত হয় নিজেদের সাংস্কৃতিক সঞ্জাত আবেগ- “ভালা অহিরে… দেসে দেসে ঘুরল ভালা, কাঁহু নি পাউঅল গমি, বাবু হো…. কলকলিয়া গীত ঝুমৈরের চাস! এহ মানভূমেক মাটি যখন হামি পাউঅল, দাঁপি ঋঝে উড়ি গেল ভুখ পিয়াস।”
ঘাওয়ার দিন পাঁচেক পর- পশ্চিম বাঁকুড়া, উত্তর পশ্চিম মেদিনীপুর, ধলভূম, মানভূম, সাঁওতাল পরগণার রূক্ষভূমি, স্বল্পতৃণ প্রান্তর, সবুজদ্বীপের মতো শাল পিয়ালের বনে আর ঢোল, ঢমসা, মাদৈলের ধিমিক ধিমিক প্রতিধ্বনি শোনা যায় না। পরবে আগত নতুন বিটিজামাই ফিরে যায় নিজ গাঁয়ে। মাংস, পিঠা, ঘিয়ের পোড়া পোড়া গন্ধ হারিয়ে যায় ঈষৎ শীতল বাতাসে। শুধু অনার্য সভ্যতার প্রতিনিধিদের একান্ত নিজস্ব বাঁদনা(Bandna)পরবের স্মৃতিটুকু বেঁচে থাকে মনের গভীরে। আবারও দিন গোণা শুরু হয়—নাচ-গান-বাজনা, মকর-করম-বাঁদনা(Bandna)।
আরও পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন