উত্তরাপথঃ এখুনি না! এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে ল’কমিশন। কারণ, এই কাজের জন্য একদিকে যেমন সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে আবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া তৈরির জন্য একাধিক বৈঠক ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে ল’কমিশন (Law Commission of India)।
কমিশনের তরফ থেকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হলেও কেন্দ্র সরকার অবশ্য দ্রুতগতিতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই এক দেশ , এক নির্বাচন নিয়ে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রথম বৈঠকও সেরে ফেলেছে। কমিটির পরবর্তী বৈঠক গুলিতে ল কমিশনকে ডাকা হতে পারে বলেই শোনা গিয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার পরে সে বিষয়ে তাঁদের চূড়ান্ত রিপোর্টে তৈরি করে তাতে কমিশনের সুপারিশ কী তা উল্লেখ করার কথা ছিল। তবে সূত্রের খবর, এদিন সেই চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি করে নয়, সময় নিয়েই কমিশন তাদের মত জানাতে চাইছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কমিশন এ বিষয়ে তাদের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে জমা দেবে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিনের বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচনের পাশাপাশিই পকসো আইনের অধীনে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মতির ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা উচিত কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। তবে এখনই এটি করার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।তবে এ বিষয়ে ল’কমিশনের মতামত সংক্রান্ত রিপোর্টও একই সঙ্গে জমা হতে পারে।
উল্লেখ্য পকসো আইনে ১৮ বছরের কম বয়সির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেয়েদের ক্ষেত্রে, সম্মতিতে হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা প্রযোজ্য। এছাড়াও বৈঠকে, অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার বিধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য ঘরে বসেই পুলিশে অভিযোগ জানানোর সুবিধা রয়েছে। যে কোনও রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-এফআইআর বা অনলাইন এফআইআর দায়ের করা যায়।
আরও পড়ুন
West Bengal Panchayet Election 2023: পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ
উত্তরাপথ: এ যেন অনেকটা প্রত্যাশিত ফলাফল । সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ Panchayet Election 2023 ফলাফল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট হতাশাবাঞ্জক । এই নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে যে আশার বাণী শুনিয়েছিল বাস্তবে তা অশ্বডিম্ব প্রসব করল । গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গলমহল,উত্তরবঙ্গ সহ নন্দিগ্রামে যে বিশাল গেরুয়া ঝড়ের আশা করেছিল শুধুমাত্র নন্দিগ্রামে ছাড়া পুরটাই হাতছাড়া হল বিজেপির । .....বিস্তারিত পড়ুন
ডোপিংয়ের নিয়ম না মানার অভিযোগ, কুস্তিগির বিনেশ ফোগটের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (নাডা) নোটিশ পাঠাল দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগির বিনেশ ফোগটকে। নিয়ম মেনে ডোপিং এজেন্সি (নাডা) কে তিনি নিজের ব্যাপারে সব তথ্য জানাননি, এই অভিযোগ উঠেছে বিনেশের বিরুদ্ধে। দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিনেশকে। নিয়ম অনুযায়ী, ক্রীড়াবিদদের তিন মাস অন্তর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং .....বিস্তারিত পড়ুন
তৃণমূলের রাজ্যসভা প্রার্থী
উত্তরাপথ: রাজ্যসভার প্রার্থী অবশেষে ঘোষণা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভা নির্বাচন। আজ ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলো দল । এরা হলেন সুখেন্দুশেখর রায়,ডেরেক ও’ব্রায়েনও দোলা সেন।এরা গত রাজ্যসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। এই ৩ জন যে পুনরায় টিকিট পাবেন তা নিয়ে কোন দ্বিমত ছিল না । জল্পনা চলছিল বাকি ৩ টি আসনে তৃণমূল কাদের পাঠাবে সেই নিয়ে। বাকি ৩ টি আসনের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে সমিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বরাইক এবং সাকেত গোখলেকে। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেবের জায়গায় .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন