জাপানে কুকুরে রূপান্তরিত হতে এক ব্যক্তি ব্যয় করলেন ১৪০০০ ডলার

কুকুরে রূপান্তরিত ব্যক্তি। ছবি – টুইটার

উত্তরাপথঃ টোকো নামের একজন জাপানি ব্যক্তি কাস্টম তৈরি পোশাকের জন্য ১৪,০০০ ডলারের (১২ লাখ টাকা) বেশি ব্যয় করার পরে নিজেকে একটি কুকুরে রূপান্তরিত করেছেন। অস্বাভাবিক এই পোশাকটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪০ দিন। তবে এই পোশাকটিতে একটি মানুষ তার “কুকুর হয়ে ওঠার” স্বপ্ন পূরন করতে পেরেছে।

টোকো নামের ব্যক্তিটি এর আগে তার ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাগ করেছে, যেখানে তিনি কুকুরে রূপান্তরিত হওয়ার পর প্রায় ৩৩,০০০ সাবস্ক্রাইবার নিয়ে গর্ব করেছেন। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে টোকো মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে এবং ফেচ খেলছে।

টোকো সম্প্রতি প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে বেরিয়ে আসার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। পাঁচ মিনিটের ভিডিওতে, টোকোকে মানুষ এবং অন্যান্য কুকুরের সাথে যোগাযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। টোকো বলেছেন যে ভিডিওটি গত বছর জার্মান টিভি স্টেশন আরটিএল-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময় চিত্রায়িত হয়েছিল। সেইসাথে তিনি বলেন আমি ভিডিওগুলি ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছি, তাই আমি সেগুলি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করছি!

ক্লিপটিতে টোকো  লিখেছেন, “আপনি কি ছোটবেলা থেকে আপনার স্বপ্নের কথা মনে রাখেন? আপনি একজন নায়ক বা জাদুকর হতে চান।” ভিডিওতে, টোকোকে চার পায়ের ফারবলের মতো আচরণ করতে দেখা যায়। কিছু কুকুর প্রথমে তাকে মানুষ কুকুর বুঝতে পেরে ভয় দেখিয়েছিল।

টোকো তার ইউটিউব চ্যানেলে এখনও জনসমক্ষে তার পরিচয় প্রকাশ করেননি। গত বছর আপলোড করা একটি ভিডিওতে, টোকো একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি সবসময় “একটি প্রাণী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন”।

স্থানীয় জাপানি নিউজ আউটলেট news.mynavi-এর মতে, Zeppet যারা টোকোর এই অস্বাভাবিক পোশাকটি কাস্টমাইজ করেছে,সেই সংস্থাটি সিনেমা, বিজ্ঞাপন এবং বিনোদনের সুবিধার জন্য প্রচুর সংখ্যক ভাস্কর্য সরবরাহ করে এবং এছাড়াও টিভিতে দেখা পোশাক এবং জাপানের বিখ্যাত মাসকট চরিত্রের পোশাক তৈরি করে।

টোকোর এই অদ্ভুত পোশাক দেখে কেউ কেউ ‘অসাধারণ’ বলে জীবন-সদৃশ পোশাকের প্রশংসা করেছেন । আবার কেউ বলেছেন যে তাকে অপ্রাকৃতিক দেখাচ্ছে এই পোশাকে । আবার একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন: ‘আপনি যতই অর্থ ব্যয় করুন না কেন, আপনি সত্যিকারের কুকুর হতে পারবেন না।’

 Zeppet একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আসল কুকুরের আদলে তৈরি এই পোশক একটি চার পায়ে হাঁটা আসল কুকুরের চেহারা পুনরুত্পাদন করে।’

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


রবি কিরণে “আদিত্য”

ড. সায়ন বসুঃ বীর "বিক্রমে" চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র (ISRO)-এর লক্ষ্য সূর্য | আমাদের ৮টি গ্রহ (প্লুটো এখন বামন গ্রহের তালিকায়) যাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সেই সূর্যের দিকে পাড়ি দিয়েছে "আদিত্য" ২রা সেপ্টেম্বর| চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ১০ দিনের মাথায় আদিত্যকে সূর্যের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে ISRO বাকি বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলির কাছে যে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে তা বলাই বাহুল্য| আদিত্য মিশনের সূচনা ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত একটি উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে|প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয় যে একটি ছোট এবং কম ওজনের (৪০০ কেজি) কৃত্রিম উপগ্রহকে low Earth orbit (LEO ;লিও) যে কক্ষপথের উচ্চতা ১,২০০ কিলোমিটারের থেকে কম সেখানে পাঠানো হবে এবং তার কাজ হবে সূর্যের একদম যে বাইরের স্তর যাকে আমরা সৌর-করোনা বলি তার সম্বন্ধে তথ্য পাঠানো। .....বিস্তারিত পড়ুন

লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম, প্রভাব রাজ্যেও

উত্তরাপথঃ বাংলাদেশ ও ইলিশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক মনে হলেও বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্র মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে  প্রকৃতির অপার দান হলেও শিকার থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অঙ্ক যোগ হয়ে তা চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।পরিস্থিতি এমন যে গরিব তো দূর থাক মধ্যবিত্তের পাতেও এখন আর জুটছে না ইলিশ। বুধবার বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৬০ হাজার টাকা মন দরে। ৪২ কেজিতে মন হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৮শ টাকা। যে কারণে জাতীয় এই মাছ এখন শুধু বিত্তশালীদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top