

অসীম পাঠকঃ ঠিক পাঁচটায় আ্যালার্ম বেজে ওঠে ব্রজমাধবের । আর একদম দেরি করা ঠিক হবেনা , সাড়ে পাঁচটার বাসটা ধরতে না পারলে মুশকিল আছে, সাতটা দশে রূপসী বাংলা ট্রেন ধরে কোলকাতা যেতে হবে। শালডিহা থেকে বাঁকুড়া দেড় ঘন্টার বাস জার্নি শেষ করে ট্রেন ধরার জন্য তার সময় থাকবে মাত্র পনেরো মিনিট। পুরো দিনটাই দৌড়ের উপর। পাঁচ ঘন্টার ট্রেন জার্নি। তারপর কোলকাতার কাজ গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা।
ব্রজ স্টেশনে এসে দেখে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির সকাল , মেঘলা আকাশ বোধহয় আর কিছু পরেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে। মেঘ মল্লার রাগের কথা মনে হলো তার , ব্রজর বাবা কি দরদ দিয়ে গাইতেন। বলতেন মেঘ মল্লার রাগ মানে মনে করতে হবে ঝমঝম বৃষ্টি নয় , এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে , চারদিকে বৃষ্টি স্নাত সজীব সবুজ প্রকৃতি , আকাশ কালো করে আছে , আরো বৃষ্টি নামবে। মেঘ মল্লারের আদর্শ সময় এটাই।
যাইহোক তার ভাবনায় ছেদ পড়ে , রূপসী বাংলা নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে।
উঠেই জানালার পাশে সিট পেয়ে যায় ব্রজ। একি তার সামনে মুখোমুখি বসে তার পছন্দের সিঙ্গার নিশা মুখার্জি।
বিবর্তন ব্যান্ডের কোকিলকন্ঠি তন্বী ছিপছিপে সুদর্শনা গায়িকা নিশা। গত ডিসেম্বরে বিষ্ণুপুর মেলা কভার করতে গিয়েছিলো আনন্দ বাজারের পক্ষ থেকে ব্রজমাধব। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়া শেষ করার পর আনন্দ বাজারে ধারাবাহিক ভাবে গ্রাম বাংলার লৌকিক বিষয়ের উপর লিখে চলেছে সে। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে সংরক্ষিত করাই তার কাজ। ফেরার পথে ভিড় বাসে দেখাও হয়েছিলো। কিন্তু মনের সংকোচ কাটিয়ে পারেনি পরিচয় করতে। সেবার নিশাকে সিটটা সেই ছেড়েছিলো ,তার স্টপেজ আস্তে মিনিট দশ বাকি ছিলো। নিশা ছোট্ট করে থ্যাঙ্ক ইউ বলে সিটে বসে পড়েছিলো। প্রায় আড়াই মাসের ব্যাবধানে আবারও সহযাত্রী নিশা।
কনকনে শীতের রাতে নিশার সেই মাতাল করা সুর মনে পড়ে ব্রজর, “আমাদের গল্পগুলো অল্প সময় ঘর বাঁধালো, তারপর পথ হারালো তোমায় আমায় নিয়ে “।
দ্বিধা দ্বন্দ কাটিয়ে সামনের পাঁচ ঘন্টা সময় নিশার উষ্ণ সান্নিধ্য পেতে চায় ব্রজ।
পরিচয় শুরু করে , হেলো নিশা , আই আ্যাম ব্রজমাধব পাত্র , আর আপনাকে আমি চিনি , আপনি নিশা , বলতে পারেন আমি আপনার গানের গুনমুগ্ধ শ্রোতা।
রেড টপ আর ফেডেড জিন্সে স্মার্ট নিশা আরো যেনো আ্যাট্রাক্টিভ। হাত বাড়িয়ে বলে, হাই, আমি আর কি বলি আমার কথা সবই তো জানেন।
ব্রজ বলে জানি শিল্পী নিশার কথা , আমি আপনাদের প্রোগ্রাম নিয়ে আনন্দ বাজারে লিখেছি, আপনাদের ব্যাতিক্রমী ভাবনা এবং আপনাদের বিবর্তন ব্যান্ডের বিষয়ে। নিশা বলে , ও হো আপনি সেই ব্রজমাধব, কেমন যেনো গুলিয়ে যাচ্ছিলো। আপনার ওই লেখাটা আমি শুনেছিলাম। আসলে এতো শিল্পী আর হরেক প্রতিভার মাঝে আমাদের কথা বলার লোক যে খুব কম ব্রজ বাবু। ব্রজ বলে এই বাবু টাবু একদম নয়। আর আমরা তুমি দিয়ে কথা বলতে পারি। এবার নিশা বলে আপনার নামটা তো বেশ পুরানো পুরানো , তবে অনেক আদুরে। ব্রজ সীমিত হেসে বলে হ্যাঁ ওই পারিবারিক প্রথা , ঠাকুর দেবতার নাম তো, তবে বলতে পারো অনেকটা ঠিক কানা ছেলের পদ্মলোচন এরকম গোছের । কথাটা বলেই সরি বলে ব্রজ। নিশা বলে ইটস ওকে , নো প্রোবলেম।
ব্রজ বলে আর কেও নেই আপনার সাথে ? নিশা বলে না, তবে সমস্যা হবে না। বাঁকুড়া স্টশনে কাকু এসেছিলো আর হাওয়াতে আমার এক দূর সম্পর্কের ভাই ভাই আসবে আমাকে নিতে। আর তাছাড়া আমার একা একা পথ চলা অভ্যাস আছে।
এমন সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে ।
নিশা বলে কাঁচের জানালার বাইরের আকাশটা এই সময় কত সুন্দর তাই না। আর এমনিতেও বৃষ্টির মধ্যে ট্রেইন জার্নি বেশ মজাদার। ব্রজ বলে , একদম , তবে রাতের জার্নি আরও সুন্দর।
এরপর কিছু সময় চুপ থেকে ব্রজ বলে জানো এই সময় পাহাড়ে যদি ঘুরতে তাও সেটাও দারুন। আর দেরাদুন মুসৌরি হলে তো কথাই নেই। ফায়ার প্লেসের সামনে ব্রান্ডি হাতে বসা আর বাইরে এক অপুর্ব সুমিষ্ট গন্ধমাখা নাম না জানা ফুলে ভরা প্রকৃতি। সোনালী রোদ আর মিঠে বাতাস।
নিশা বলে , তোমার বুঝি পাহাড় পছন্দের ? আমার কিন্তু সমুদ্র। কি বিশাল কি সুন্দর।
ব্রজ বলে আমার সবই পছন্দের। আমার সবচেয়ে পছন্দ মুহূর্তের প্রেমে পড়া। অজস্র ভালো লাগার স্বর্নালী মুহূর্ত জীবন জুড়ে , সেগুলোই প্রেরনা। যেবার গোয়া গিয়েছিলাম আরব সাগরের উত্তাল ঢেউ ,,,, ব্রজর মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে যেনো নিশা বলে , আহা কি দারুন , আমিও গেছি …. গোয়ার একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে, সামুদ্রিক ভাংড়া মাছ সুজি দিয়ে আর মোটা চালের ভাত সাথে চাটনি আর কাজুর স্পেশাল ড্রিংকস।
ব্রজর চোখ চকচক করে ওঠে , বলে ওঠে একদম, সী বীচের সেই দীর্ঘতম বালি রাস্তা আর বিদেশী ট্যুরিস্টদের অপরূপ সম্ভার একটা সাজানো গোছানো ছিমছাম স্বপ্নের মত শহর।
নিশা বলে ওল্ড গোয়াটা আরো বেশী সুন্দর।
এমন সময়ে একজন হকার আসে চা নিয়ে , ব্রজ দুটো চা আর বিস্কুট অর্ডার দেয়, নিশাকে ধরিয়ে দিলে থ্যাংকস বললে ব্রজ বলে , এতো থ্যাংকস দিও না , বইতে পারবো না।
এরপর সংক্ষিপ্ত নীরবতা।
নিশা মনে মনে ভাবে আচ্ছা এই ব্রজ ছেলেটা কেমন , কেমন দেখতে ? তার গা থেকে কেমন যেনো একটা মিষ্টি গন্ধ আসছে , ওর চুল গুলো কি কোঁকড়া? চোখ গুলো নিশ্চই খুব সুন্দর ?
এমন সময় ব্রজ বলে কি ভাবছো ?
নিশা মনের অব্যক্ত কথা চেপেই বলে , তেমন কিছু না , ভাবছি এইযে আমাদের প্রতিবন্ধীদের কথা ভেবে তুমি কলম ধরেছো আনন্দ বাজারে , ওটাই।
ব্রজ বলে শারিরীক প্রতিবন্ধকতা জয় করে তোমরা অপরাজেয়। তোমার গানে এক সোনালী সময়ের স্বপ্ন দেখি আমি। পৃথিবীর সবটুকু রঙ তোমার মুখে লেগে থাক নিশা।
নিশা বলে ডাক্তার বলছে একটা সার্জারি করলে আমি আংশিক দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবো , যদি সেটুকুও পাই , তার জন্যই কোলকাতা যাওয়া।
ব্রজ বলে আমি যাচ্ছি নন্দন চলচ্চিত্র উৎসব কভার করতে। নিশা বলে শুভেচ্ছা শুভকামনা সবসময়, এরপর কালো চশমাটা খুলে বলে , জানো ব্রজ কখনও যদি আমি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাই ওই তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে গাইবো , তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।
ব্রজ বলে , দেখো একদিন সব ঠিক হবে। তারপর নিশার চোখে চোখ রেখে বলে , চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা , মুখে তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য … তুমি জানো নিশা তোমার চুলগুলো খুব সুন্দর। তুমি ব্যাতিক্রমী সৌন্দর্যে উজ্জ্বল। নিশা বলে এতো জানি না , কখনো তো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি , তবে এটুকু শুনি যে এক্সেলেন্ট ওয়ান্ডারফুল , এসব শুনতে শুনতে হাসি পায়। ব্রজ বলে তা যা বলেছো আসলে আমরা এখন এতো বেশী এক্সেলেন্টে এগিয়ে যাচ্ছি যে সুন্দর কথাটা হারিয়ে যাচ্ছে।
নিশা বলে তুমি খুব সুন্দর করে কথা বলো ব্রজ।
ব্রজ বেশ খুশী হয়ে বলে , ফোলাবে না কিন্তু, তবে নিজের সম্পর্কে ভালো শুনতে কার না ভালো লাগে। একটা মিষ্টি হাসির ঝংকার। জীবন যেনো কতো রঙিন দুজনের কাছেই।
অনেকক্ষণ দুজনেই চুপ। বৃষ্টিও থেমে গেছে। একটা খসখস শব্দ শুনছে নিশা। কে জেনো কাগজের উপর কিছু লিখছে , নিশা বলে কিছু কি লিখছো তুমি ব্রজ ? ব্রজ বলে আজ্ঞ না ম্যাডাম ,ছবি আঁকছি। তোমার মনে আছে আজ রোজ ডে ? নিশা বলে হ্যাঁ তবে কি হবে মনে রেখে ? আমাকে গোলাপ দেবার লোক নেই, আর সবাই শিল্পী নিশাকে চায় , মানুষ নিশার খবর আর কে রাখে ? ব্রজ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলে, আমি মানুষ নিশার খবরই রাখতে চাই। আজ আমার হাতে গোলাপ নেই। এই ট্রেনে আর কোথায় গোলাপ পাবো, তাই ডায়েরীতে একটা গোলাপ আঁকলাম আর হ্যাঁ এটা তোমাকে দিলাম , এই ডাইরীটা রাখো। নিশা বলে আচ্ছা , আমি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেই এটা দেখবো , আর সেদিন তুমি যেখানেই থেকো ঠিক তোমাকে খবর দেবো , যে আমার ভাবনার গোলাপ আর তোমার আঁকা গোলাপ কতটা এক কতটা মিল তাদের মধ্যে।
এসে পড়ে জনবহুল হাওড়া স্টেশন।
এবার নামতে হবে, মিলিয়ে যাবে জন অরন্যে। কিন্তু এই ট্রেনে আজ যা পেলো ব্রজ তাকে সে কেমন করে সাজাবে জীবনের আঙিনায়। সুগন্ধি ফুলের নির্যাসটুকু নিয়ে পাড়ি দেবে অজানা ভবিষ্যতে। পড়ে থাকবে মোহময় ভালোবাসার আনন্দঘন এই মুহূর্ত। এই গন্তব্য শেষ , কিন্তু জীবনের গন্তব্য তাকে কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে। অপরদিকে নিশার মনেও দোলা লাগে , এই ভালোবাসার আভাস টুকু ঝরা ফুলের মত বিস্মৃত বেদনায় নিরুদ্দেশের পথে মিলিয়ে যাবে না তো ?
স্টেশনের বাইরে এসে ব্রজ বলে , আসি আবারো দেখা হবে। নিশা অস্ফুটে যেনো কিছু বলতে গিয়েও পারে না।
আরও পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন