ছোটগল্প: স্মৃতির চেয়ে বিস্মৃতি ভালো

অসীম পাঠক: মফঃস্বল কলেজের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক এটুকু পরিচয়েই আমি সন্তুষ্ট। একা মানুষ হাত পুড়িয়ে রান্না করি , না পারলে গঞ্জের দোকানে পাউরুটি বেকারি বিস্কুট আর মুরগির ডিম তো আছেই। যা হোক চলে গেলেই হলো। সপ্তাহে বারো ঘন্টা ক্লাশ, অবসর সময়ে লেখালিখি আর ছুটিছাটা তে বেরিয়ে পড়া মুসৌরী দেরাদুন হরিদ্বার পুরী। ঘুরেফিরে এই আমার পছন্দের জায়গা।
নিজের বলতে কেও নেই। আর দশ বছর পর রিটায়ার্ড করবো , এর মধ্যে একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলবো। ওটাই শেষ বয়সের অবলম্বন।দিন চলছে বেশ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। দিন যাপন আর প্রান ধারনের গ্লানির মাঝে আমার কোন বৈচিত্র্য বা বৈপরীত্য নেই। অযথা বন্ধু বান্ধবের ঝামেলা নেই , অহেতুক বিরক্তি নেই , অকারন টেনশন নেই।
ভলো লাগাা বলতে একটু বৃষ্টি বিলাসী আমি‌। মেঘলা দিনে বাড়িতে বসে ফ্লাস্ক ভর্তি কফি ঢুকঢুক করে খাই আর আকাশের বুক থেকে বৃষ্টির ঝরে পড়া দেখি। চারদিক কেমন সবুজ , মায়াময় অনুভূতি। যেনো আকাশ আর মাটির প্রেমে বৃষ্টি হলো গভীর সংযোগ।এরকম ই এক বাদল দিনে ভাবলাম সুকান্ত সমগ্র খুলে চিঠিগুলো পড়ি । দারুন লাগে সুকান্তের লেখা চিঠিগুলো। হাসপাতালে যক্ষ্মার সাথে যুদ্ধ করে ক্লান্ত মনে আবেগ অভিমানের কথা। সুকান্তের কবিতা আমার কৈশোরের প্রেম। সাহিত্যের প্রথম ভালো লাগা।সুকান্ত সমগ্র খুলতেই বেরিয়ে আসে একটা চেনা গন্ধ। বুক শেল্ফে এই পুরানো বই এর গন্ধে এক মাদকতা মিশে থাকে‌। মানুষ যেমন অনেকদিন পর পূজার পবিত্র শুকনো ফুল খুঁজে পায় পুরানো বই এর পাতার ভাঁজে, তেমনই একখানা ছবি বেরিয়ে পড়লো বই থেকে। একটা গ্রুপ ফটো।

এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। একটু বিরক্ত হলাম , অসময়ে আবার কে এলো ? দরজা খুলে দেখি সেকেন্ড ইয়ারের নিশা অদিতি আর কোয়েল। আমার পছন্দের তিন ছাত্রী । আমি এদের একসাথে ত্রিনয়নী বলে ডাকি। এরা মাঝে মাঝে আসে , আমার এলোমেলো ঘর গুছিয়ে দিয়ে যায়। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হয় , ওরা চা বানিয়ে দেয়। ব্যাক্তিগত আলাপচারিতা আমি খুব একটা পছন্দ করিনা। তাই আমাকে নিয়ে যাদের অনন্ত কৌতুহল তারা নিজের মত গল্প বানায় , আমার অবশ্য দূর থেকে সে সব শুনতে ভালোই লাগে।
মোট কথা সমালোচনা আলোচনা সবেতেই আমি নির্বিকার ।

আজ ওই গ্রুপ ছবিটা দেখে কেমন যেনো নষ্টালজিক হয়ে পড়ছি। স্মৃতির দরজা ঠেলে ভিড় করছে জীবনের প্রায়ান্ধকার ল্যাবরেটরিতে পরিক্ষীত কঠিন ভালোবাসার অনুভূতি।
ভিড় করছে কলেজ ক্যান্টিন গঞ্জের বুড়ো বটতলা পলাশ বাগান , ফুটবল মাঠ আর লাইব্রেরী রিডিং রুম। আপাতত সেই মন ভালো করা ট্যাবলেট তোলা থাক। পরে না হয় একাগ্রচিত্তে ভাবা যাবে।

ছাত্রীরা আমার ড্রইং রুমে বসতেই আমি ছবি ও বই যথাস্থানে রাখতে তৎপর হলে নিশা বলে স্যার এখনো সুকান্ত পড়েন , একটু বইটা দেখি । একপ্রকার ছোঁ মেরেই বইটা ওরা তুলে নেয়। অদিতি বেশ কিছুক্ষণ গ্রুপ ছবিটা দেখে। ওদের দেখার আগ্রহ দেখে আমি বলি এটা কলেজের থার্ড ইয়ার সরস্বতী পূজোয় আমাদের ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের ছবি।
কোয়েল বলে , স্যার এই ছবির সবার সাথে আপনার যোগাযোগ আছে ? আমি বললাম না , সময়র স্রোতে কে কোথায় আছে জানি না , আর তোরা তো জানিস আমি বড্ড সেকেলে , এসব সোশ্যাল মিডিয়ায়াতে আমার ঠিক পোষায় না, এখনো আমার কাছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠি টাই বেস্ট। অদিতি বলে স্যার সবাই যদি আপনার মত এরকম ভাবতো। ওকে থামিয়ে আমি বলি দূর পাগলী , সময় এগুচ্ছে , মানুষের অনুভূতির প্রকাশ বদলাচ্ছে। আমাদের মত ব্যাকডেটেড দের সংখ্যা কমছে।
নিশা ছবিটা দেখে বলে , স্যার এখানে কোনটা আপনি ? কোয়েল বলে এই যে নীল শার্ট , তাই না ? অদিতি বলে না ব্ল্যাক টি শার্ট ।
এদের ছেলেমানুষী দেখে মুচকি হাসতে থাকি আমি। তারপর এক এক করে ছবির সবার সাথে ওদের পরিচয় করিয়ে বলি এই ব্ল্যাক টি শার্ট টাই আমি। অদিতি বলে আচ্ছা স্যার এই ছবির পেছনে কি আর কোন গল্প আছে ?
আমি বুঝলাম এরা গল্পের রসদ পেয়ে গেছে। এতো সহজে আমার নিস্তার নেই। শিকারী বেড়ালের মত মাছের গন্ধে এদের চোখগুলো ঘুরছে।

কফিতে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে বললাম , প্রতিটি ছবির পেছনেই গল্প থাকে। আমার গল্পের নায়ক আমি নিজে , আর ঐ যে সবুজ শাড়ি যার দৃষ্টি মাটির দিকে ,ঐ চন্দনা হল আমার গল্পের নায়িকা।

নয় এর দশকের শুরু , তখন ভালোবাসার সংজ্ঞা এতো সহজ ছিলো না , অনেক ব্যাকরন মেনে তবেই । মেরুদন্ড সোজা না থাকলে প্রেমের দু়ঃসাহস দেখানো বোকামি । আমার আর চন্দনার দেখাটা আকস্মিক এক ভিড় বাসে এরকমই বাদল দিনে। বারো কিমি দূরে আমার গ্রাম থেকে কলেজ যাবার বাস ছিলো রামশরন। সেই ভিড় বাসে জবজবে ভিজে জামাকাপড়ে উঠেই দেখি এক সুশ্রী মেয়ে দাঁড়িয়ে , ভিড় ঠাসা বাস। আমি গোটা রাস্তা ওকেই দেখতে থাকি। সে তাকালে আমি চোখ ঘুরিয়ে নিই। আসলে ওই বয়সটাই ছিলো দুঃসহ । তাই বোধহয় কবি বলেছিলেন এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে। পরে কলেজে গিয়ে দেখলাম ঐ মেয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্টের।
ধীরে ধীরে পরিচয় থেকে ভালোলাগা কখন যে ভালোবাসাতে রূপান্তর হলো বুঝতেই পারিনি। কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা পরিবেশন করেছিলাম ম্যাকবেথ নাটক । আমি ম্যাকবেথ আর ও লেডি ম্যাকবেথ।
চন্দনা অনেক বুদ্ধিমতী, বিভিন্ন ছোট গল্পের দারুন নাট্যরূপ দিতে পারতো সে। আমাদের ভালোবাসার সেতু ছিলো সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা।

একসাথে তিনবছর পথচলা ,অনেক উজ্জ্বল মুহূর্ত এখনো স্মৃতির গভীরে। আমার চন্দনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ভালোবাসার অর্থ জীবনকে গতিশীল করা , সমাজের সার্বিক উন্নতিসাধন। কু সংস্কার মুক্ত মনে বিশ্বাস যদি অটুট হয় তখন কাছে আসার চেয়েও বড়ো হলো অপরের সুখের জন্য নিজের ত্যাগ।

গোটা ঘর নিস্তব্ধ, যেনো পিন পড়লে শব্দ হবে।

আমি যেনো আরো আবেগবিহ্বল। আমার বাড়ির চারপাশটা যেনো ঘষা কাঁচের ভেতর একটা বৃষ্টি ভেজা পৃথিবী।

নীরবতা ভেঙে অদিতি বলে , স্যার আপনাদের ভালোবাসা পূর্নতা পেলো না কেনো ?

আমি যেনো এক যুগান্তের দার্শনিক, বললাম বিরহের অগ্নিস্নানে প্রেম যে পরিশুদ্ধ।

কোয়েল বললো স্যার শেষটুকু বলুন।

গল্পের শেষটা যে চরমতম বেদনার।
আমি যখন কলেজ শেষ করে বাড়ি যাই তখন বাবা মৃত্যু শয্যায়। দাদা বৌদিকে নিয়ে আলাদ হয়ে গেছে। বাড়িতে অসুস্থ বাবা রুগ্ন মা , শেষে বাবাও বাঁচলো না , বাবা চলে যাবার তিন মাসের মধ্যে মা ও চলে গেলো। সে বছর আমার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া হল না। পরের বছর এক আত্মীয়ের সহায়তায় বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়। ওটাই হয়তো জীবনের একটা বাঁক। তবে জীবন নদীর প্রতিটি বালু কনায় আমার স্মৃতিগুলো সাঁতার কাটে। চন্দনা খোঁজ খবর করতো। আমিও নৈরাশ্যের মাঝে নেই রাজ্যে দাঁড়িয়ে ওকে অবলম্বন করেই যেনো বাঁচার তাগিদ অনুভব করছিলাম‌।

একদিন খবর এলো বাড়ি থেকে ওর বিয়ে ঠিক করেছে, ছেলেটি ব্যাঙ্কে কাজ করে। ওদের গ্রামেই নাকি মামাবাড়ি । আমার তখন চাল নেই চুলো নেই। মাথার উপরে কেও নেই অনিশ্চিত জীবন। তাই চুপ থাকলাম, ভবিতব্য কে খন্ডায়। চন্দনা আমার বুকের গভীরে তলিয়ে গেলো। তাকে আর কপালে রাখতে পারলাম না। সেই থেকে আমি বেঁচে আছি তার স্মৃতি বুকে নিয়ে।

নিশা বলে এখন কোথায় আপনার চন্দনা কিছু জানেন ? আমি বললাম সে আছে এই আকাশের নীচে , আর এই মাটিতে সে হাঁটছে , এই বাতাস থেকে শ্বাস নিচ্ছে। দীর্ঘ নীরবতা ভেদ করে শালিকের চিৎকার কানে এলো। আমি বললাম তোরা আজ আয় , আমি একটু একা থাকি।
অদিতি বাকি দুজনকে বলে তোরা দু মিনিট স্যারের বাগানে কদমতলায় একটু বোস আমি যাচ্ছি। বৃষ্টি টাও ততক্ষনে ছেড়ে গেছে‌। আবার নামবে কিছু সময় পর।অদিতি বললো স্যার একটা প্রনাম করবো ? আমি কিছু বলার আগেই সে আমার পা ছুঁয়ে প্রনাম করলো , বললো ঠিক এরকম একখানা ছবি আমাদের বাড়িতেও আছে স্যার , তাইতো গল্পটা শুনতে চাইছিলাম। আমার মায়ের নাম চন্দনা।
আমি অস্ফুট কিছু বলতে গিয়েও পারলাম না , অদিতির মাথায় হাত রাখলাম।
অদিতি করুন চোখে বললো আসি স্যার ।
আপনাদের ভালোবাসায় আমার প্রনাম রইলো।
এই ডিজিটাল সময়ে বেঁচে থাক আপনাদের একে অপরের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ভালোবাসা। আমাদের প্রেরনা এটুকুই ‌।

আমি যেনো তড়িতাহত এক অচল যন্ত্র। অনেক কথা বলতে চেয়েও চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করি।

ভালোবাসার মানুষগুলোর নিষ্পাপ আকাঙ্ক্ষা যতদিন পৃথিবীতে থাকবে ততদিন ভালোবাসা অপূর্ন অধরা থেকে যাবে। নাহলে সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে না যে , বিবেক বোধ জাগ্রত হবে না যে। আজ যেনো মনে হলো পেয়েছি , সব পেয়েছি। এটুকুই কজন পায় ?

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই  সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top