উত্তরাপথ
গুজরাত টাইটানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস । পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছুঁয়ে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার স্বপ্নের ১০ রানেই চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। ১৫ ওভারে ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় ম্যাচ। ফাইনালে ৫ উইকেটে জিতে IPL চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই।
প্রথমে ব্যাট করে ২১৪ রান তোলে গুজরাত। বৃষ্টিতে আটকে যায় খেলা। ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের টার্গেট ছিল ১৭১। মোহিত শর্মার ওভারে যখন পরপর দুই উইকেট পড়েছে, স্তব্ধ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। প্রথম বলে উইকেট খুইয়ে সাইডলাইনে বসে নিঃসঙ্গ ধোনিও তখন প্রার্থনা করছেন।সেই সময়ই জাদেজার পরপর দুই বলে ১০ রান। সাই সুদর্শনের ৯৬ রানের ইনিংসকেও ম্লান করে দিল। পঞ্চমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস।
টানা ২ দিন আইপিএল ফাইনালে ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। সোমবার রিজার্ভ ডে-তে প্রথমে টসে জিতেই সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জানান, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তোলে গুজরাত। ৩৯ রান করে স্টাম্প হয়ে ফেরেন শুভমান গিল । ঋদ্ধিমান সাহা করেন ৫৪ রান। সাই সুদর্শনের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান।
দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার ৩ বল পরেই বৃষ্টি নামে। দেড় ঘণ্টা খেলা শুরু করা যায়নি। ১২টা ১০ থেকে খেলা শুরু হয়। ঠিক হয়, ১৫ ওভারে ১৭১ রান তুলতে হবে চেন্নাইকে। ওপেনিং পার্টনারশিপে ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গাইকোয়াড় দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ করেন। ১৬ বলে ২৬ রান করেন রুতুরাজ। ২৫ বলে ৪৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে। এই জুটি ভাঙেন নুর আহমেদ। দুজনকেই ফেরান তিনি। এরপর ১৩ বলে ২৭ রান করেন রাহানে। বিদায়ি ম্যাচে ৮ বলে ১৯ রান করে ফেরেন রায়াডু। তিন ওভারে ২২ রান বাকি ছিল। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন মোহিত শর্মা। এক ওভারে দুটি ৬ ও একটি ৪ দেওয়ার পরেও পরপর দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম বলে এসেই উইকেট হারান মহেন্দ্র সিং ধোনি। খেলা ঘুরে যায়। কিন্তু জাড্ডু ম্যাজিকে ফের ম্যাচের পট পরিবর্তন। ২ বলে ১০ রান তুলে ঘরের মাঠে গুজরাতকে হারিয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই। এটা যে তাঁরও হোমগ্রাউন্ড, সেটাই যেন দেখিয়ে গেলেন জাদেজা।
আরও পড়ুন
ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে
উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন