টাটা আইপিএল ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস

উত্তরাপথ

গুজরাত টাইটানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস । পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছুঁয়ে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার স্বপ্নের ১০ রানেই চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।  ১৫ ওভারে ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় ম্যাচ। ফাইনালে ৫ উইকেটে জিতে IPL চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই।

প্রথমে ব্যাট করে ২১৪ রান তোলে গুজরাত। বৃষ্টিতে আটকে যায় খেলা। ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের টার্গেট ছিল ১৭১। মোহিত শর্মার ওভারে যখন পরপর দুই উইকেট পড়েছে, স্তব্ধ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। প্রথম বলে উইকেট খুইয়ে সাইডলাইনে বসে নিঃসঙ্গ ধোনিও তখন প্রার্থনা করছেন।সেই সময়ই জাদেজার পরপর দুই বলে ১০ রান। সাই সুদর্শনের ৯৬ রানের ইনিংসকেও ম্লান করে দিল। পঞ্চমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস।

টানা ২ দিন আইপিএল ফাইনালে ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। সোমবার রিজার্ভ ডে-তে প্রথমে টসে জিতেই সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জানান, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তোলে গুজরাত। ৩৯ রান করে স্টাম্প হয়ে ফেরেন শুভমান গিল । ঋদ্ধিমান সাহা করেন ৫৪ রান। সাই সুদর্শনের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান।

দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার ৩ বল পরেই বৃষ্টি নামে। দেড় ঘণ্টা খেলা শুরু করা যায়নি। ১২টা ১০ থেকে খেলা শুরু হয়। ঠিক হয়, ১৫ ওভারে ১৭১ রান তুলতে হবে চেন্নাইকে। ওপেনিং পার্টনারশিপে ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গাইকোয়াড় দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ করেন। ১৬ বলে ২৬ রান করেন রুতুরাজ। ২৫ বলে ৪৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে। এই জুটি ভাঙেন নুর আহমেদ। দুজনকেই ফেরান তিনি। এরপর  ১৩ বলে ২৭ রান করেন রাহানে। বিদায়ি ম্যাচে ৮ বলে ১৯ রান করে ফেরেন রায়াডু। তিন ওভারে ২২ রান বাকি ছিল। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন মোহিত শর্মা। এক ওভারে দুটি ৬ ও একটি ৪ দেওয়ার পরেও পরপর দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম বলে এসেই উইকেট হারান মহেন্দ্র সিং ধোনি। খেলা ঘুরে যায়। কিন্তু জাড্ডু ম্যাজিকে ফের ম্যাচের পট পরিবর্তন। ২ বলে ১০ রান তুলে ঘরের মাঠে গুজরাতকে হারিয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই। এটা যে তাঁরও হোমগ্রাউন্ড, সেটাই যেন দেখিয়ে গেলেন জাদেজা।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top