ডেঙ্গি রোধে জনগণকে সতর্ক থাকার বার্তা সরকারের

উত্তরাপথঃ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ডেঙ্গু হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাল সংক্রমণ যা ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে জীবন-হানির  জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মশাবাহিত এই রোগে কলকাতা সহ সারা রাজ্যে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত । একইসঙ্গে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার। প্রশাসনিকস্তরে চলছে একের পর এক বৈঠক। জেলাস্তরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশিকা। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের তরফে মানুষকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর সামনে আসছে । তাই সীমান্তরর্তী জেলাগুলির জেলাশাসকদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে । সেখানে ডেঙ্গির মশার উৎসগুলিকেই নির্মূল করার ওপরে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শহরাঞ্চলে বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহ-সহ যথাযথ সাফাই অভিযান চালাতে হবে। যে সমস্ত জায়াগাগুলিতে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি, সেখানে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।সেইসাথে. দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সকল সম্পত্তির মালিক ডেঙ্গিবিধি মেনে চলছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রেল, বন্দর, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি এবং অন্যান্য শিল্প-সহ কেন্দ্রীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিটগুলিকে তাদের এলাকায় সঠিক সাফাই অভিযানের অনুরোধ করা হয়েছে।সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক না ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য সবপক্ষকে নিয়ে নিয়মিতভাবে রিভিউ মিটিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং হোম কেয়ারে থাকা সমস্ত ডেঙ্গি রোগীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও হোম কেয়ারে থাকা রোগীদের আরও কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেমন -জ্বর এবং শরীরে ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামলের খান।

 কোনও পেইন কিলার খাবেন না।প্রচুর জল ও ফলের রস খান।

কোনও রকম কো-মর্বিডিটি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই অবস্থায় সরকার চাইছেন,প্রতিটি ব্যক্তি যেন একক ভাবে সচেতন হন ,তাহলেই এই রোগের বাড়াবাড়ি অনেকটা কমানো যাবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top