১ লা অক্টোবর ২০২৩

ডেঙ্গি রোধে জনগণকে সতর্ক থাকার বার্তা সরকারের

উত্তরাপথঃ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ডেঙ্গু হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাল সংক্রমণ যা ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে জীবন-হানির  জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মশাবাহিত এই রোগে কলকাতা সহ সারা রাজ্যে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত । একইসঙ্গে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার। প্রশাসনিকস্তরে চলছে একের পর এক বৈঠক। জেলাস্তরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশিকা। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের তরফে মানুষকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর সামনে আসছে । তাই সীমান্তরর্তী জেলাগুলির জেলাশাসকদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে । সেখানে ডেঙ্গির মশার উৎসগুলিকেই নির্মূল করার ওপরে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শহরাঞ্চলে বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহ-সহ যথাযথ সাফাই অভিযান চালাতে হবে। যে সমস্ত জায়াগাগুলিতে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি, সেখানে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।সেইসাথে. দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সকল সম্পত্তির মালিক ডেঙ্গিবিধি মেনে চলছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রেল, বন্দর, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি এবং অন্যান্য শিল্প-সহ কেন্দ্রীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিটগুলিকে তাদের এলাকায় সঠিক সাফাই অভিযানের অনুরোধ করা হয়েছে।সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক না ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য সবপক্ষকে নিয়ে নিয়মিতভাবে রিভিউ মিটিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং হোম কেয়ারে থাকা সমস্ত ডেঙ্গি রোগীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও হোম কেয়ারে থাকা রোগীদের আরও কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেমন -জ্বর এবং শরীরে ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামলের খান।

 কোনও পেইন কিলার খাবেন না।প্রচুর জল ও ফলের রস খান।

কোনও রকম কো-মর্বিডিটি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই অবস্থায় সরকার চাইছেন,প্রতিটি ব্যক্তি যেন একক ভাবে সচেতন হন ,তাহলেই এই রোগের বাড়াবাড়ি অনেকটা কমানো যাবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই  সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন

Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন