ডোপিংয়ের নিয়ম না মানার অভিযোগ, কুস্তিগির বিনেশ ফোগটের বিরুদ্ধে

উত্তরাপথ

ছবি সংগৃহীত

ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (নাডা)  নোটিশ পাঠাল দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগির বিনেশ ফোগটকে। নিয়ম মেনে ডোপিং এজেন্সি (নাডা) কে তিনি নিজের ব্যাপারে সব তথ্য জানাননি, এই অভিযোগ উঠেছে বিনেশের বিরুদ্ধে। দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিনেশকে।

নিয়ম অনুযায়ী, ক্রীড়াবিদদের তিন মাস অন্তর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সিকে দিতে হয়। বিনেশ সেই সব তথ্য নাডাকে দেননি বলে অভিযোগ। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিনেশকে সব তথ্য যেমন তাঁরা কোথায় আছেন, অসুস্থতা বা চোটের জন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করেছে কিনা— এমন বিভিন্ন তথ্য দিতে হয় ক্রীড়াবিদদের। দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে নাডা। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্রীড়াবিদ ঠিক মতো তথ্য না দিলে নির্বাসিত হতে পারেন। বিনেশকে পাঠানো নাডার নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘ডোপিং সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনাকে অবহিত করার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চিঠি দিতে হচ্ছে। আমরা কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার বক্তব্য আশা করছি। চিঠিটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। কারণ বিষয়টি আপনার জন্য গুরুতর হতে পারে।’

সূত্রের খবর ২০২২ সালে ৮ মার্চ এবং ১২ ডিসেম্বর দু’বার ই-মেল পাঠানো হয়েছিল বিনেশকে। ডোপ পরীক্ষা করানোর জন্য নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ই-মেলেরই নাকি জবাব দেননি বিনেশ। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজের অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে নাডাকে অবহিত করেননি। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বিনেশকে তথ্য জানানোর এবং ডোপ পরীক্ষা করানোর কথা বলা হলেও তিনি নাকি গুরুত্ব দেননি।

নাডার নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আপনি গত ২৭ জুন, সকাল ১০টা সোনিপথে ডোপ পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। একই সঙ্গে বাকি সব তথ্যও দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই মতো আমরা সব ব্যবস্থা করেছিলাম। অথচ আপনার দেওয়া জায়গা এবং সময়ে আপনি নিজেই উপস্থিত ছিলেন না।’’ নাডা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিনেশ বার বার অসহযোগিতা করায় তাঁরা নোটিশ পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন এবং আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্য তলব করা হয়েছে। বিনেশ বার বার তাঁদের পরামর্শ বা নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ায় খুশি নন নাডা কর্তৃপক্ষ। বিনেশ কেন শেষ ১২ মাসে তিন বার নির্দিষ্ট তথ্যগুলি দেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


শৈশবে ঘুমের ব্যাঘাত শিশুদের মধ্যে অটিজম ঝুঁকি বাড়াতে পারে

উত্তরাপথঃ সম্প্রতি এক গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে প্রাথমিক জীবনে (শিশু অবস্থায়) ঘুমের ব্যাঘাত মস্তিষ্কের বিকাশের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং অটিজমের মতো নিউরোডেভেলপমেন্টাল ব্যাধিগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। একটি সাম্প্রতিক  ইঁদুরের উপর গবেষণায় এটি প্রমানিত হয়েছে ।অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, ঘুমের অভাব দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সাথে যুক্ত, যার মধ্যে শরীরের খারাপ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ওজন বৃদ্ধি, বিষণ্নতা এবং ডিমেনশিয়ার বর্ধিত ঝুঁকি রয়েছে। ঘুম জন্ম থেকেই অপরিহার্য, এবং মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশু হিসাবে, আমাদের মস্তিষ্ক এখনও নিউরনের প্রান্ত তৈরি করছে, যাকে সিন্যাপ্স বলা হয়, যা শেখার, মনোযোগ, কাজের স্মৃতি এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম এই নিউরনগুলিকে বিকাশ করতে এবং একে অপরের সাথে সংযোগ করতে দেয়, এবং বাকি জীবনের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকারিতা স্থাপন করে।যদি এই সূক্ষ্ম, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াটি ক্রমাগত জেগে ওঠা বা বিচ্ছেদ উদ্বেগের মাধ্যমে ব্যাহত হয়, তবে এটি মস্তিষ্ক এবং আচরণের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। বাচ্চাদের মস্তিষ্ক সিন্যাপ্স গঠনে ব্যস্ত থাকে- যা শিক্ষা, মনোযোগ, কাজের স্মৃতি এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর ঘুম এই নিউরনগুলির বিকাশ এবং সংযোগকে সহজতর করে, সারা জীবন জ্ঞানীয় কার্যকারিতার ভিত্তি স্থাপন করে। ক্রমাগত জেগে ওঠা বা বিচ্ছেদ উদ্বেগের মতো কারণগুলির কারণে বাধাগুলি মস্তিষ্কের গঠন এবং আচরণ উভয়ের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।ইউএনসি স্কুল অফ মেডিসিনের পিএইচডি ল্যাব গ্রাহাম ডিরিং-এ স্নাতক ছাত্র শন গে-এর নেতৃত্বে একটি নতুন গবেষণায় আলোকপাত করা হয়েছে যে প্রাথমিক জীবনে ঘুমের ক্ষতি কীভাবে মস্তিষ্কের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিকে প্রভাবিত করে, সম্ভাব্যভাবে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ায়। (এএসডি)। তাদের ফলাফল প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। এখন, ইউএনসি স্কুল অফ মেডিসিনের সেল বায়োলজি অ্যান্ড ফিজিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, গ্রাহাম ডিয়ারিং, পিএইচডি-এর ল্যাবের স্নাতক ছাত্র শন গে-এর নেতৃত্বে একটি নতুন গবেষণা, .....বিস্তারিত পড়ুন

মুভি রিভিউ: আই ওয়াণ্ট টু টক

অভিনেতা: অভিষেক বচ্চন, অহিল্যা বামরু, জনি লিভার, জয়ন্ত কৃপালানি, ক্রিস্টিন গুডার্ড পরিচালকঃ সুজিত সরকার বিভাগ: হিন্দি, নাটক, বায়োপিক আমাদের যদি এমন জায়গা থেকে শুরু করতে হয় যেখানে জীবন শেষ হওয়ার কথা? যদি ডাক্তার আপনাকে বলেন যে আপনার জীবনের আর মাত্র ১০০ দিন বাকি আছে, তাহলে হয় আপনি জীবনের সেই শেষ পর্বে আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করতে শুরু করবেন অথবা আপনি হাল ছেড়ে দেবেন, কিন্তু পরিচালক সুজিত সরকারের এই নায়ক এই দুইয়েরই সমাধান। এইগুলি থেকে কোন বিকল্প বেছে নেয় না। তিনি মৃত্যুকে অস্বীকার করেন এবং শ্রোতাদের একটি অবিশ্বাস্য যাত্রায় নিয়ে যান যা আপনাকে অনেক জায়গায় অসাড় করে দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাকে আশা এবং ভালো অনুভূতি দেয়। আই ওয়াণ্ট টু টক এর গল্প গল্পটি অর্জুন সেনের (অভিষেক বচ্চন), যিনি সুজিত সরকারের বন্ধুও বটে। অর্জুন ক্যালিফোর্নিয়ার বিপণন জগতে তরঙ্গ তৈরি করছেন। পেশাগত জীবনে সফল অর্জুন বিয়ের ক্ষেত্রে অতটা ভাগ্যবান বলে প্রমাণিত হয়নি। তিনি তার স্ত্রীর থেকে আলাদা হয়ে গেছেন এবং মেয়ে রেহা তার বাবার সাথে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে থাকে। একদিন, অফিসের একটা চাপা মিটিং চলাকালীন, অর্জুন কাশি হয় এবং মুখ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, তিনি ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং বেঁচে থাকার জন্য তার কাছে মাত্র ১০০ দিন বাকি আছে। এতক্ষণে অর্জুনও বুঝতে পেরেছে যে তার মেয়ে (অহিল্যা বামরু)ও তার ঘনিষ্ঠ নয়। সে তার চাকরি হারায়।এরপর তার জীবনে একের পর এক সমস্যা আসতে থাকে, কিন্তু তার জীবনের এই সবচেয়ে বেদনাদায়ক সময়ে, অর্জুন তার জীবন জয়ের জন্য যুদ্ধে নামে। যদিও মাঝে মাঝে তিনি নিজের জীবন নেওয়ার কথাও ভাবেন, .....বিস্তারিত পড়ুন

মাত্র ৭১ বলে ইনিংস ভেঙে পড়ল, ১০০ বছর পর এতটাই বিব্রত শ্রীলঙ্কা!  

উত্তরাপথঃ বৃহস্পতিবার কিংসমিডে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন ৪২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীলঙ্কাকে বোল্ড করে, মার্কো জানসেন (১৩ রানে ৭ উইকেট) তার ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্সটি করেন। এই ঘটনার, ২০ বছর আগে ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ছিল যেখানে দলটি মাত্র ৭১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৩ বলে (১৩.৫ ওভার) শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ১০০ বছরে এত কম বলে একটি ইনিংস সম্পূর্ণ করার একটি রেকর্ডও এটি। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭৫ বলে পরাজিত করেছিল। এটি ছিল কিংসমিডে সর্বনিম্ন স্কোর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৩ সালে কেপটাউনে নিউজিল্যান্ড দল ৪৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পিচটি ব্যাটিংয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ভোরে চার উইকেটে ৮০  রান যোগ করে এবং ১৮২ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। আবার ২০২০2020 সালে, ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে খেলা সিরিজের প্রথম টেস্টে মাত্র 36 রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে এই কীর্তি ঘটল। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরেছে ভারতীয় দল। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন চার খেলোয়াড়। দক্ষিণ আফ্রিকার মিডিয়াম পেস বোলার ইয়ানসেন তার ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেন, ৬.৫ ওভারে ১৩ রানে সাত উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ার হিউ ট্রাম্বলের (১৯০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) পর ইয়ানসেন হলেন দ্বিতীয় বোলার যিনি টেস্ট ইনিংসে সাত ওভারে সাত উইকেট নেন। এভাবেইটসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম .....বিস্তারিত পড়ুন

জানেন কিভাবে ভূমিকম্প সোনার মণ্ড গঠনে আশ্চর্যজনক ভূমিকা পালন করে

উত্তরাপথঃ আপনি কি জানেন যে ভূমিকম্প সোনার মণ্ড গঠনে একটি আশ্চর্যজনক ভূমিকা পালন করতে পারে। নেচার জিওসায়েন্স-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, গবেষকরা দেখেছেন যে কোয়ার্টজ ভেনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ভূগর্ভস্থ তরল সিসমিক কার্যকলাপের সময় পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ তৈরি করতে পারে যা থেকে সোনার মণ্ড তৈরি হয় বলে গবেষকদের ধারণা। মেলবোর্নের মোনাশ ইউনিভার্সিটির ভূতাত্ত্বিক ক্রিস্টোফার ভয়সি এটিকে ভালভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের খনি বেশিরভাগ সোনা অরোজেনিক গোল্ড ডিপোজিট নামে পরিচিত, যা এক ধরণের সঞ্চিত পদার্থ থেকে আসে, যা কোয়ার্টজ এবং অন্যান্য খনিজ নিয়ে গঠিত। এই আমানতগুলি সাধারণত গভীর ভূগর্ভে প্রায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার নীচে অবস্থিত, যেখানে ভূমিকম্পের ফলে ফাটল তৈরি হয়। যখন এই ফাটলগুলি তৈরি হয়, তখন তারা খনিজ-সমৃদ্ধ তরল নির্গত করে যা কোয়ার্টজ এবং সোনা জমা করে এরপর সময়ের সাথে সাথে ঠান্ডা হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে সোনার ভেন তৈরি হয়। যদিও বলা হচ্ছে যে এটি  যে এই প্রক্রিয়া ভূগর্ভে অল্প পরিমাণে সোনা তৈরি করতে পারে, তবে গবেষকরা যা আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন তা হল কীভাবে সেই ক্ষুদ্র বিটগুলি একত্রিত হয়ে বড় মণ্ড তৈরি করতে পারে। তারা দেখতে পেল যে কোয়ার্টজ নিজে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে না, তাহলে কিভাবে ভূগর্ভে বড় সোনার মণ্ড গঠন হচ্ছে তা গবেষকদের কাছে এক বড় রহস্য হয়ে  রয়েছে। এই রহস্যের সমাধান করার জন্য, Voisi এবং তার দল পাইজোইলেকট্রিসিটির ধারণাটি অন্বেষণ করেছিল - কোয়ার্টজের ভেতরের প্রপার্টি যা অত্যাধিক চাপের সময় বৈদ্যুতিক চার্জ তৈরি করে। তারা দ্রবীভূত সোনার দ্রবণে কোয়ার্টজ স্ল্যাব স্থাপন করে এবং তারপর স্ল্যাবগুলিতে আঘাত করে ছোট ভূমিকম্পের অনুকরণ করে পরীক্ষা চালায়। ফলাফল? কোয়ার্টজ ১.৪ ভোল্ট পর্যন্ত ভোল্টেজ তৈরি করেছিল, .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top