ধর্ম ও মোহ

অসীম পাঠকঃ ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে অন্ধ সে-জন মারে আর শুধু মরে । নাস্তিক সেও পায় বিধাতার বর, ধাৰ্মিকতার করে না আড়ম্বর।Religion অর্থ উপসনা ধর্ম। শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি religion থেকে, যেমন, “religious community” অর্থ ধর্মীয় সম্প্রদায়। আবার এটি এসেছে লাতিন religionem থেকে nom. religio. যার অর্থ “পবিত্র বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ঈশ্বরদের প্রতি নিষ্ঠা” “respect for what is sacred, reverence for the gods”এবং “বাধ্যতা, যা মানুষ ও ঈশ্বরদের মধ্যে সেতুবন্ধনস্বরূপ” “obligation, the bond between man and the gods” যেটি আবার লাতিন religiō থেকে পাওয়া।

রবীন্দ্রনাথ ‘ধর্মমোহ’ নামক অবিস্মরণীয় কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/অন্ধ সে জন শুধু মারে আর মরে।’ লালমনিরহাটে ‘ধর্মের অবমাননার অভিযোগে’ এক ব্যক্তিকে দলবদ্ধভাবে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনার দিকে তাকালে রবীন্দ্রনাথের কথার সারবত্তাই প্রমাণিত হয়।শুধু হত্যা নয়, বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের গুজব রটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলবদ্ধ সহিংসতা ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ও বিকৃতি ছড়িয়ে আত্মসুখ লাভ করেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই এখন ধর্মমোহের জয়জয়কার। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা- কোথায় নেই ধর্মমোহ? বলা বাহুল্য, ধর্মমোহের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি উগ্রবাদ ও সহিংসতা।

ধর্মমোহের অপর পিঠে রয়েছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা তথা পরধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা। অন্যের মতামতকে মূল্য দেয়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গণতান্ত্রিক চেতনা এবং যুক্তিবাদী মানসিকতা। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের অমর বাণী উত্তরোত্তর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে- ‘তোমার মতের সঙ্গে আমি একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে পারি।’ অন্যের মতামতকে মূল্য দেয়ারই অপর নাম পরমতসহিষ্ণুতা। আজকের সভ্যতার সংকটের মূলে রয়েছে পরমতসহিষ্ণুতা তথা ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাব।

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা অর্থাৎ পরধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধার মনোভাব তৈরি হয় ধর্মের প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করতে না পারার কারণে। বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক টলস্টয় ধর্মের তিনটি দিকের কথা বলেছিলেন- Essentials of Religion (ধর্মের মূল মর্ম), Philosophy of Religion (ধর্মের দর্শন) এবং Rituals of Religion (ধর্মের আচার)। তিনি দেখিয়েছিলেন প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মর্ম অভিন্ন। পার্থক্য শুধু দর্শনে ও আচারে। মর্মের অভিন্নতা সত্ত্বেও যুগে যুগে একদল মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেছে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রাণ হরণ ও সম্পদ বিনষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডে, শ্রীলংকায় ও ফ্রান্সে এমন সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

ধর্মীয় উৎসবগুলো ইতোমধ্যে সম্প্রদায়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে। ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমার মতো উৎসবগুলো রঙিন হয়ে ওঠে সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণে। দর্শনে ও আচারে পার্থক্য থাকলেও উৎসবমুখরতা এ পার্থক্য ঘুচিয়ে দিয়ে সব মানুষকে এক কাতারে শামিল করে। কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলা এ উৎসবগুলোয়ও বিষণ্নতার কালিমা লেপে দিয়েছে। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের আগেই রাষ্ট্রকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়। এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের বহু দেশেই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করার জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা বর্তমানে দৃশ্যমান।

ধর্মের নামে যারা বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা বয়সে তরুণ। কেন তরুণরা এমন আত্মঘাতী কর্মে লিপ্ত হচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা হচ্ছে। পারিবারিক বন্ধনের শৈথিল্য, হতাশা, দারিদ্র্য, প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, আনন্দময় শৈশবের অনুপস্থিতি বিভিন্ন কারণে তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে উগ্রবাদী তৎপরতায়। যে নেতিবাচক মতাদর্শ তাদের উগ্রবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করছে, এর বিপরীত ইতিবাচক মতাদর্শের শক্তিশালী অবস্থানের অনুপস্থিতিও একটি বড় কারণ। তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক জীবনবোধ তৈরি করাটাই এ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রধান করণীয়। এ দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও প্রতিভাবান। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির মধ্যে এ মেধা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে। পরীক্ষার পড়াশোনার পাশাপাশি যদি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ক্রীড়ার বর্ণিল জগতের সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে, তবে তাদের হৃদয় মনুষ্যত্বের দীপ্তিতে ভাস্বর হবে। সুকুমারবৃত্তির অনুশীলন মানুষকে সৃষ্টিশীল ও মননশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ দায়িত্ব আমরা কতটুকু পালন করছি?

ধর্মীয় ভেদাভেদের প্রাথমিক শিক্ষা শিশুরা পরিবার থেকে লাভ করে। এ শিক্ষায় পরধর্মকে সম্মান করার বার্তা অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, মনের অজান্তে অনেক অভিভাবক শিশুমনে অন্য ধর্মকে অবজ্ঞার বীজ রোপণ করেন, যা পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষে রূপান্তরিত হয়। পরোক্ষভাবে এ ভেদবুদ্ধিকে পরিপুষ্ট করে তোলে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধার্মিকতা ও ধর্মমোহের পার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে শুরুতেই। ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা যদি শৈশবে একজন শিক্ষার্থী না পায়, তবে তার মানসিক গড়ন একপেশে ও সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য। যে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়া হয়, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’- এ চেতনাকে উচ্চকিত করে তোলা হয় সেই পরিবারে ও প্রতিষ্ঠানে ধর্মান্ধ উগ্রবাদীর জন্ম হয় না।

মানবপ্রীতি ও সামাজিক সম্প্রীতি গড়তে সংস্কৃতিচর্চার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্ত্বের বিপরীতে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটেছিল। ভাষা আন্দোলনের পথ পেরিয়ে ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণ অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল। উগ্রবাদ বিস্তার লাভ করে ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে।ধর্মের অপব্যবহার আগেও ছিল। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এ দেশীয় দোসর মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হতে পারেনি আমাদের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক চেতনার কারণে। সেই চেতনার মূলমন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িকতা তথা ধর্মীয় সম্প্রীতি। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এ সত্যকে ধারণ করেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল।

সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ধর্মীয় উগ্রবাদকে কত ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, এর জ্বলন্ত উদাহরণ পাকিস্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আমাদের ঋণ অন্তহীন। সবচেয়ে বড় ঋণ এই যে, পাকিস্তানের মতো একটি বর্বর রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার অভিশাপ থেকে তারা আমাদের মুক্ত করেছেন। ধর্মান্ধতার ভিত্তিতে রচিত রাষ্ট্র পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। সেই বাংলাদেশে ধর্মমোহে ও উগ্রবাদের বিস্তার কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘মালিনী’ নাটকে উগ্রবাদীদের মনস্তত্ত্ব নিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথ। ধর্মমোহে আচ্ছন্ন ক্ষেমঙ্করের উদ্দেশে সুপ্রিয় বলেছে- ‘ধর্মাধর্ম সত্যাসত্য/কে করে বিচার! আপন বিশ্বাসে মত্ত/করিয়াছে স্থির, শুধু দল বেঁধে সবে/সত্যের মীমাংসা হবে, শুধু উচ্চরবে?/ যুক্তি কিছু নহে?’ উগ্রবাদী এবং উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষক উভয়েই যুক্তিবিরোধী। যুক্তিবাদিতা ও পরমতসহিষ্ণুতাকে যদি সমাজ গ্রহণ করে, তবেই ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাবে। সহিষ্ণুতাই সভ্যতার আত্মরক্ষার পথ। এছাড়া ধর্মমোহের আত্মঘাতী পরিণতি থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই।

একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যেখানে তার জনগণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ম অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধর্মকে সমর্থন বা বিরোধিতা করে না। এটি এমন একটি পরিবেশ যেখানে মানুষ তাদের জাতি, ধর্ম এবং সংস্কৃতি নির্বিশেষে একসাথে বসবাস করতে পারে। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হওয়ার অর্থ এই নয় যে একটি রাষ্ট্র সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ।খ্রিস্টান এবং কিছু অ-খ্রিস্টান ধর্ম ঐতিহাসিকভাবে বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলির সাথে ভালভাবে একত্রিত হয়েছে , যেমন প্রাচীন মিশরীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা একেশ্বরবাদী প্রান্তে প্রয়োগ করা হয়েছিল, অটোমান সাম্রাজ্যের সময় মুসলিম পণ্ডিতদের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের অধীনে গণিত।


বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে সম্পর্ককে সাধারণত একটি দ্বন্দ্ব হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, বিশেষ করে উৎপত্তির ইস্যুতে (সৃষ্টিবাদ বনাম বিবর্তন) । ঐতিহাসিক বাস্তবতা হল যে বিজ্ঞান এবং ধর্ম প্রায়ই একে অপরের পরিপূরক হয়েছে, এবং সম্পর্কযুক্ত।কেউ ধর্মে জন্মায় না, কিন্তু প্রত্যেকেই একটি ধর্মের জন্য জন্মগ্রহণ করে। কোন দুই ব্যক্তির একই ধর্ম নেই। এক ধর্ম সবার সাথে মানানসই হতে পারে না। ধর্ম খুব কম মানুষের কাছে একটি প্রয়োজনীয় জিনিস এবং মানবজাতির বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে এটি একটি বিলাসিতা। স্বামীজীর কথার তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে, আজকের দিনে ভীষন প্রাসঙ্গিক এটা …..সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা …. একমাত্র নিজের প্রতি বিশ্বাস বদলাতে পারে আমাদের ভ্রান্ত জীবনদর্শন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়

উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে।  সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top