উত্তরাপথ


আপনার পরিবার আপনার রোগা হওয়ার ইচ্ছা কে কি কম করে দিচ্ছে ? সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ সারে থেকে একটি মজার গবেষণা সামনে এসেছে তাতে বলা হয়েছে একজন মানুষের রোগা হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনরা। তাঁরা অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত অতিরিক্ত খাবার খায়িয়ে আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে কম করে দিতে পারে। এই অধ্যয়নটি ক্রমবর্ধমান প্রমান করে যে প্রিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধব সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। সারের এই গবেষকদলটি দেখিয়েছেন সামাজিকতা সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করছে, এবং স্বাস্থ্য রক্ষা মূলক গোষ্ঠীতে যোগদানে বাধা সৃষ্টি করেছে, যা প্রায়শই একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মানকে ক্ষুন্ন করে, ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
জেন ওগডেন, হেলথ সাইকোলজির অধ্যাপক এবং সারে ইউনিভার্সিটির গবেষণার প্রধান লেখক বলেছেন: ওজন কমানোর ফলে প্রায়ই একজন ব্যক্তির মানসিক পরিবর্তন হয় যার প্রভাব তার সামাজিক সম্পর্কের উপর পড়ে, সেই সময় একজন ব্যক্তির আরও বেশী আত্মবিশ্বাস দরকার হয় ।অনেকে এই ধরনের পরিবর্তনগুলিকে স্বাগত জানায় না এবং সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে, জিনিসগুলিকে একই ভাবে রাখার জন্য ওজন কমানোর জন্য একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টাকে সেভাবে উৎসাহিত নাও করতে পারে। বরং অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাসকে আরও বাড়াতে পারে। অধ্যাপক ওগডেন আরও বলেন “লোকেরা বিভিন্ন কারণে ওজন কমানোর চেষ্টা করে, তা তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য হোক বা নিজেদের সম্পর্কে ভাল বোধ করার জন্য হোক। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কাছ থেকে সমর্থন মানুষকে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি অমূল্য হাতিয়ার হতে পারে তবে কখনও কখনও তাদের সবচেয়ে কাছের লোকেরা তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।
উৎস: “Sabotage, Collusion, and Being a Feeder: Towards a New Model of Negative Social Support and Its Impact on Weight Management” by Jane Ogden and Sophia Quirke-McFarlane; Current Obesity Reports 2023: DOI: 10.1007/s13679-023-00504-5
আরও পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে
উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন