বেহাল অর্থনীতির ফল না কি মেধার প্রাচুর্য?

উত্তরাপথ

এই বিজ্ঞপ্তি বেহাল অর্থনীতির ফল

বেহাল অর্থনীতির ফল না কি মেধার প্রাচুর্য এই প্রশ্নটা বার বার উঠে আসছে।সম্প্রতি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে, সেখানে পদার্থবিদ্যা বিভাগের চারটি অস্থায়ী অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন পত্র আমন্ত্রণ করা হয়েছে।  প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে সেট বা পিএইসিডি  সহ পদার্থবিদ্যায় ন্যূনতম এমএসসি।  নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ চারটি ক্লাস নিতে হবে, এবং ক্লাস পিছু ৩০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।  অর্থাৎ মাসে ১৬ টি ক্লাসে সর্বমোট একজন আবেদনকারী (৩০০x১৬)=৪৮০০ টাকা পাবেন। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে প্রকাশিত ইউজিসির একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকদের প্রতি ক্লাস পিছু ১৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ একজন অধ্যাপক প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পেতে পারেন।

এখন প্রশ্ন কেন এই বেতন বৈষম্য? ইহা  রাজ্যের বেহাল অর্থনীতির ফল না কি মেধার প্রাচুর্য সেই সাথে অপ্রতুল চাকরির বাজার। এটি সত্য যে আমাদের রাজ্য ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থান এর সন্ধান কারীদের সংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে কর্ম সংস্থান তৈরি করতে পারেনি। বেহাল অর্থনীতির যার পরিণতি এই বিশাল সংখ্যাক শিক্ষিত বেকারত্ব।  সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকারত্বের হার এর তুলনায় উচ্চশিক্ষিত বেকার এর হার বৃদ্ধি একটি নিত্য দিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে।  উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। যত বেশি উচ্চশিক্ষা তত বেশি বেকার থাকার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে। যার ফলশ্রুতি এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের চাকরির আশায় লাগাতার আন্দোলন। আজ সন্তোষজনক চাকরি পাওয়া নিয়ে উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণীদের মধ্যে হতাশা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে বহু ছাত্রছাত্রী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পড়াশুনা থেকে বৃত্তি মূলক শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা

উত্তরাপথ: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে শনিবার শিলিগুড়িতে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক। এই নিয়োগে ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে ইন্টারভিউয়াররাই বিচারপতির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা .....বিস্তারিত পড়ুন

যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী

উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top