

ভারতীয় ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সংসদের কর্মীদের নতুন ইউনিফর্ম ছবি- X -একাউন্ট থেকে সংগৃহীত
উত্তরাপথঃ আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ঘোষণা ৩১ আগস্ট সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহলাদ যোশী করেছিলেন। অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রের দ্বারা ভারতের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাখার প্রস্তাবও আনা হতে পারে।সংসদের বিশেষ অধিবেশন এগিয়ে আসার সাথে সাথে, কর্মীদের পরের সপ্তাহে নতুন ভবনে যাওয়ার সময় সংসদ কর্মীদের নতুন ইউনিফর্ম পরতে হবে।এই ইউনিফর্মগুলিতে ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । নেহেরু জ্যাকেট’ এবং খাকি রঙের প্যান্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নতুন ড্রেস কোড সংসদের উভয় কক্ষে কার্যকর করা হবে।ভারতীয় ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ইউনিফর্মটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (NIFT)। তবে নতুন সংসদ ভবনে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে,সেদিন গণেশ চতুর্থীর একটি ছোট ‘পূজা’ অনুষ্ঠান হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী আমলারা তাদের ঐতিহ্যবাহী বাঁধগালা স্যুটগুলিকে ম্যাজেন্টা বা গভীর গোলাপী নেহেরু জ্যাকেট দিয়ে প্রতিস্থাপন করবেন, যা পদ্ম ফুলের প্যাটার্নে সজ্জিত গভীর গোলাপী শার্ট দ্বারা পরিপূরক হবে। তারা খাকি রঙের প্যান্টের সাথে এগুলো পড়বে।সাথে মণিপুরি পাগড়ি পরবে।মহিলা কর্মচারীরা পরবেন নতুন ডিজাইনের শাড়ি।সেইসাথে নিরাপত্তা কর্মীদের ইউনিফর্মেও পরিবর্তন হয়েছে
তবে এর মাঝে সরকারের ঘোষিত ভারতীয় ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই নতুন পোশাক নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, বিরোধী কংগ্রেস দল এতে পদ্মের মোটিফ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল,সেই সাথে এটি বিজেপির প্রতীক। লোকসভায় কংগ্রেসের হুইপ মানিকম ঠাকুর প্রশ্ন করেছেন, কেন ‘পদ্ম’ যোগ করা হচ্ছে এবং যথাক্রমে একটি বাঘ বা ময়ূর নয়, জাতীয় পশু এবং জাতীয় পাখি।শুধু পদ্ম কেন? ময়ূর কেন পারে না বাঘ কেন পারে না? ওহ, তারা বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক নয়। কেন এই পতন স্যার ওম বিড়লা,কে এই প্রশ্ন করেছেন টুঁইটারে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে “#NewDressforParliamentStaff”।
প্রসঙ্গত নতুন ড্রেস কোডে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মীদের পোশাকের ধরন আলাদা করা হবে। আগে সবাই সমানভাবে সাফারি স্যুট পরত। এখন, পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিস (অপারেশনস) একটি ভিন্ন পোশাক পড়বে। তারা তাদের পুরানো নীল রঙের সাফারি স্যুট পরিত্যাগ করে আর্মি ক্যামোফ্লেজ প্যাটার্নের পোশাকে তাদের দেখা যাবে, রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এবারের শুরু হতে চলা বিশেষ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশন সংসদের পুরানো ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এরপর সদস্যদের ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হবে, যা গণেশ চতুর্থী উৎসবের সাথে মিলে যায়।সেই দিনটি পুরনো ভবনের নির্মাণ ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য উৎসর্গ করা হবে বলে জানা গেছে। পরের দিন নতুন ভবনে সদস্যদের প্রবেশ ঐতিহ্যগত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
আর্চারি এশিয়াতে ভারতের সর্বোচ্চ পদক অর্জন
উত্তরাপথ: যাকে বলে ক্লিন সুইপ! আর্চারির এশিয়া কাপ স্টেজ ২ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ভারত। ফাইনালে ভারতের পুরুষ-মহিলা কম্পাউন্ড আর্চারি দলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনও প্রতিপক্ষ। পদকতালিকায় আসরে অংশগ্রহণ করা দেশগুলোকে পিছিয়ে সর্বোচ্চ পদক অর্জন করেছে ভারতের নারী ও পুরুষ আর্চারি দল। ৯টি সোনাসহ সবমিলিয়ে জিতেছে ১৪টি পদক। এছাড়াও ৫টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জ .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Green Washing থেকে সাবধান
প্রিয়াঙ্কা দত্ত, রঘনাথপুর: আপনি নিশ্চয়ই একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক? যদি নাও হন তবুও বাজার চলতি ভোগ্যপণ্য খরিদ করার সময় আপনি কি এখন একশ শতাংশ প্রাকৃতিক দ্রব্য কিনতেই পছন্দ করেন? এবং কেনেন? প্রসাধন দ্রব্য কেনার সময় কি আপনি নিম ,তুলসী, চন্দন বা গোলাপের নির্যাস যুক্ত জিনিসই কেনেন ? আর জামাকাপড়? একশ শতাংশ পচনশীল পদার্থ দিয়ে তৈরী? টুথ পেস্ট থেকে আরম্ভ করে তেল, সাবান, শাম্পু কিংবা ভোজ্য তেল , ফ্রুট জুস বা খাবার জিনিস! সব কিছুতেই আপনি পরিবেশে বান্ধব প্যাকেজিং এবং সম্পূর্ন প্রাকৃতিক এই লেবেল দেখেই কিনছেন। তাই না? বর্তমান যুগের .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন