ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে  প্রবীণ নাগরিকদের জন্য  সুখবর

উত্তরাপথ

খুব শীঘ্রই  ভারতীয় রেলওয়ে  শুরু করতে চলেছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্লিপার এবং 3A ক্লাসে  টিকিটে ছাড়। এর আগে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ২০২০ সালে দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন  ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটে  ছাড় দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। সেই সময় যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, কোভিড অতিমারীর বাড়বাড়ন্তে লাগাম দিতে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রেলভ্রমণের ভাড়ার ওপর ধার্য ছাড়ে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বর্তমানে রেলওয়ে সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অন্তত স্লিপার এবং 3A-তে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড়ের বিষয়টি পর্যালোচনা এবং বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছে। সেই মত রেল মন্ত্রক আবার উদ্যোগ নিচ্ছে। রেল মন্ত্রকের মতে, সরকার ২০১৯-২০ সালে যাত্রীদের টিকিটে ৫৯,৮৩৭  কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।  এটি রেলে ভ্রমণকারী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গড়ে ৫৩ শতাংশ ছাড়ের পরিমাণ।  সকল যাত্রীদের জন্য এই ভর্তুকি অব্যাহত রয়েছে।  এই ভর্তুকি পরিমাণের বাইরে আরও ছাড়গুলি প্রতিবন্দী, ছাত্র এবং রোগীর মতো অনেক বিভাগের জন্য অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও আইআরসিটিসি রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে বিনামূল্যে অক্ষম এবং বয়স্ক যাত্রীদের জন্য ব্যাটারি চালিত যান সরবরাহ করে।  প্রসঙ্গত প্রবীণ নাগরিকদের  এই সুবিধা পেতে তাদের বয়স বা জন্মতারিখের প্রমান হিসেবে  আধার  কার্ড বা সরকার দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনও কার্ড বহন করতে হবে এবং অন-বোর্ড টিকিট চেকিং কর্মীরা দেখতে চাইলে  তা উপস্থাপন করতে হবে।  টিকিট কেনার সময় বয়সের প্রমাণের প্রয়োজন নেই।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে  

উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে  উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়।  সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

এবার থেকে সংসদের কর্মীরা নতুন ইউনিফর্ম সহ ভারতীয় ঐতিহ্য প্রদর্শন করবে

উত্তরাপথঃ আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ঘোষণা ৩১ আগস্ট সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহলাদ যোশী করেছিলেন। অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রের দ্বারা ভারতের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাখার প্রস্তাবও আনা হতে পারে।সংসদের বিশেষ অধিবেশন এগিয়ে আসার সাথে সাথে, কর্মীদের পরের সপ্তাহে নতুন ভবনে যাওয়ার সময় সংসদ কর্মীদের নতুন ইউনিফর্ম পরতে হবে।এই ইউনিফর্মগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । নেহেরু জ্যাকেট' এবং খাকি রঙের প্যান্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নতুন ড্রেস কোড সংসদের উভয় কক্ষে কার্যকর করা হবে।ইউনিফর্মটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (NIFT)। তবে নতুন সংসদ ভবনে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে,সেদিন গণেশ চতুর্থীর একটি ছোট 'পূজা' অনুষ্ঠান হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

রেলওয়ে ইউনিয়নের নতুন সূচনা, গান গেয়ে মানসিক চাপ দূর করছেন রেলের কর্মচারীরা

উত্তরাপথঃ আপনি যদি সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলে এই খবর আপনাকে স্বস্তি দেবে।কারণ ভারতীয় রেলওয়ের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েম্যানস ফেডারেশন (এআইআরএফ) এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে এক অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে।তারা তাদের কর্মীদের গান গেয়ে তাদের মানসিক চাপ দূর করতে পরামর্শ দিচ্ছে।    এআইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুকেশ মাথুরের নির্দেশে, জয়পুর এবং অন্যান্য শহরের কর্মচারীরা একটি মাঠে জড়ো হয় এবং সেখানে তারা গান গায় এবং আন্তাক্ষিরি খেলে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top