বাংলাদেশে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কিছু খবর । ছবিটি The Daily Star এর আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত।
ড. সায়ন বসুঃ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলতে পারি”
এই অমর লাইনগুলির রচয়িতা যিনি সেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলেন আহত ছাত্রদের দেখতে। এঁরা ছিলেন সেই সব ছাত্র যারা নিজের মাতৃভাষার জন্যে লড়াই করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ছাত্র। তৎকালীন ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দৈনিক সংবাদের অনুবাদক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী যখন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে ঢোকেন, দেখতে পান সেখানে পড়ে আছে জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের মরদেহ। ১৪৪ ধারা ভেঙে যখন ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে আসে পুলিশ তখন গুলি চালায়। রফিকউদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার মরদেহ পড়ে ছিল। ৬-৭ জন ভাষা আন্দোলন কর্মী তার মরদেহ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। রফিকউদ্দিনের মরদেহ দেখে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মনে হয়েছিল, এটি যেন তার আপন ভাইয়েরই রক্তমাখা মরদেহ। এ সময়ই তার মনের আল্পনায় ভেসে এসেছিল কবিতার দুটি ছত্র যা এই লেখার শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে ।
হাসপাতালের বাইরে তখন ছাত্র-জনতার ভিড়। ঠিক তখনই বন্ধু সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর। সৈয়দ আহমদ হোসেন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিছিলে ছিলেন?’ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বললেন, ‘ছিলাম। কিন্তু গুলি শুরু হলে মেডিকেল হোস্টেলে চলে গেলাম। একটা মরদেহও দেখে এলাম বারান্দায়।’ একইসঙ্গে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কবিতার প্রসঙ্গটিও বললেন। সৈয়দ আহমদ হোসেন কবিতার প্রথম ছত্র শুনে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর হাত চেপে বললেন, ‘খুব ভালো হয়েছে। এই কবিতাটির বাকি অংশ এখনই লিখে ফেলুন না।’ এর পরের ইতিহাস তো আমরা কম বেশী সবাই জানি। ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলনে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নাম ও একুশের গান শিরোনামে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। একুশের গানে প্রথম সুর দিয়েছিলেন তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ। গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯৫৩ সালের ঢাকা কলেজের ছাত্র সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠানে। ওই বছর ঢাকা কলেজের ছাত্ররা কলেজে শহীদ মিনার স্থাপনের সময় গানটি গেয়েছিলেন। এই গান গাওয়ার অভিযোগে কলেজ থেকে ১১ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। পুলিশ গ্রেপ্তার করে সুরকার আব্দুল লতিফকে। পরে মওলানা ভাসানীর অনুরোধে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিবাদ জানালে ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন। ১৯৫৪ সালে প্রখ্যাত সুরকার আলতাফ মাহমুদ গানটিতে সুরারোপ করেন। ১৯৫৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে আলতাফ মাহমুদের সুরে গাওয়া হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’। ধীরে ধীরে এই সুরটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলার শ্রোতা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় এই গানটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। গানটি গাওয়া হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি, হিন্দিসহ মোট ১২টি ভাষায়।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ঠিক দু’দশক পরে ঘটে যায় একটি ঘটনা যা জন্ম দেয় ভাষা আন্দোলনের| ১৯৪৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসিত ন্যাশনাল পার্টি ক্ষমতায় আসলে বর্ণবাদের একটি কাঠামো তৈরি হয়, যার ফলস্বরূপ আফ্রিকানস ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়। ১৯৭৬ সালে, আফ্রিকানস ভাষার ওপর বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোয়েটোতে ব্যাপক ছাত্রবিক্ষোভ শুরু হয়। এই আন্দোলন শুধু মাতৃভাষার অধিকারের জন্যই ছিল না; বরং এটি ছিল বর্ণবাদী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্ররা আফ্রিকানস ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাধ্যতামূলক করাকে নিজেদের মাতৃভাষার ওপর আক্রমণ বলে মনে করেন এবং প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এই আন্দোলন দমন করতে পুলিশ গুলি চালালে বহু শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ১৩ বছর বয়সী হেক্টর পিটারসন নিহত হন। হেক্টরের মৃত্যু ও আন্দোলনের ভয়াবহতার চিত্র দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার হয়। এই আন্দোলনের পর, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ শুরু হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হওয়া এই ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব যারা তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্টিভ বিকো এবং নেলসন ম্যান্ডেলা। স্টিভ বিকো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্ল্যাক কনশাসনেস মুভমেন্টের (কালোদের চেতনা আন্দোলন) অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি আফ্রিকানদের মধ্যে আত্মগৌরব এবং জাতিগত গৌরববোধ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার আদর্শ আফ্রিকানস ভাষার বিরুদ্ধে ছাত্রদের সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি বৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন দেখতেন এবং তার জীবন এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। যদিও নেলসন ম্যান্ডেলা সরাসরি মাতৃভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন না, তবুও তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন এবং সাংস্কৃতিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এগিয়ে গিয়েছিল। ম্যান্ডেলার নেতৃত্ব এবং তার আপসহীন সংগ্রাম দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতিগত বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি এবং মাতৃভাষার অধিকারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার পর তার নেতৃত্বে দেশের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়, যেখানে ১১টি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে জুলু, কোসা, সোতো, সোয়ানা, আফ্রিকানস, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষা অন্তর্ভুক্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন বিভিন্ন কারণে গবেষণামূলক দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, উভয় আন্দোলনই প্রমাণ করে যে ভাষার ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত মানুষের আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত হানে এবং এটি থেকে জাতিগত ও সামাজিক বিদ্রোহের জন্ম হয়। দুই দেশের ভাষা সংগ্রাম ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। দক্ষিণ আফ্রিকায় আফ্রিকানস ভাষার মাধ্যমে শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশে উর্দুর ওপর চাপানো নীতির মধ্যে একটি মিল রয়েছে; উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার মাধ্যমকে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় শাসন শক্তি জাতির ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশে উর্দুর প্রতি আনুগত্যের দাবিটি ধর্মীয় ঐক্যের অজুহাতে চাপানো হয়েছিল, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় আফ্রিকানস ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে শাসক জাতিগত বৈষম্য জারি রাখতে চেয়েছিল। এর ফলে উভয় সমাজে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং গণমানুষের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের রূপ নেয়। দ্বিতীয়ত, উভয় আন্দোলনই কেবল ভাষা নয়, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতারও উদাহরণ। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটো আন্দোলন এবং বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন উভয়ই বৃহত্তর সামাজিক মুক্তির দাবিতে সাফল্য অর্জন করেছে। ভাষার অধিকারের জন্য লড়াইয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হয় এবং বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের জাতীয় সত্তা ও স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের এই চেতনা যুগ যুগ ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুক্তির চেতনায় অনুপ্রাণিত করে এসেছে। ভাষার প্রতি এই অমোঘ ভালোবাসা মানুষের মন ও মননে স্বাধীনতার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। জাতিগত ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার প্রতি এই আন্দোলন দুটি এক অমর মাইলফলক। ভাষা, যা প্রতিটি হৃদয়ের অন্তঃস্থলে বেঁচে থাকে, তার জন্য যে মানুষ জীবন দান করতে পারে, এই দুই আন্দোলন আমাদের তা রোজ মনে করিয়ে দেয়| মাতৃভাষার জন্য এই ত্যাগ ও সংগ্রামের গল্প কখনও হারিয়ে যাবে না; বরং এই গল্প প্রতিটি মানুষের অন্তরে চিরন্তন প্রেরণার শিখা হয়ে প্রজ্জ্বলিত থাকবে।


মাবুয়িসা মাখুবুর কোলে কিশোর হেক্টর পিটারসন। ছবিটি Daily Maverick সংবাদপত্রের আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত।
** লেখক বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার University of Witwatersrand-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে কর্মরত।
আরও পড়ুন
ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে
উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে
উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন